পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8送oo ఏ983ు তখন বারোটা। বাড়িতে আবার সেদিন লক্ষ্মীপূজা ছিল। থেতে গিয়ে দেখি রান্নাঘরের সামনের বারান্দাম আমার থাবার টীকা আছে, শৈলদি চুলচেন রান্নাঘরের চৌকাঠে বসে । মনে মনে অনুতাপ হ’ল, সারা বিকেল খাটুনির পরে শৈলদি বেচারী কোথায় একটু ঘুমূবে, আর আমি কি-না এ-ভাবে বসিয়ে রেথেচি ! আমায় দেখে শৈলদি বললে—বেশ, কোথাম ছিলি এতক্ষণ ? কথার উত্তর দিতে গেলে মুস্কিল, চুপচাপ থেতে বসলাম । শৈলদি বললে—ন খেয়ে ঢন ঢন করে বেড়িয়ে বেড়িয়ে কণ্ঠার হাড় বেরিয়ে গিয়েচে । চা খেতেও আসিস নে বাড়ির মধ্যে, কালোকে দিয়ে বাইরের ঘরে থাবার পাঠিয়ে দিলেও পাওয়া যায় না—থাকিস্ কোথায় ? খানিকক্ষণ পরে পাতের দিকে চেয়ে বললে—ও কি ভাল ক'রে ভাত মাথ । ঐ কট থেয়ে মানুষ বঁাচে ত ? তোরা এখন ছেলেমানুষ, থাবার বয়েস । লুচি আছে ভোগের, দোবো ? পায়েস তুই ভালবাসি, এক বাটি পায়েদ আলাদা করা আছে। কই মাছের মুড়ে ফেল্লি কেন, চুষে চুষে থা। আহা, কি ছিরি হচ্চে চেহারার ! পরদিন কিসের ছুটি। আমি দোতলার ছাদে কালোকে ডাকতে গিয়েচি তার প্রাইভেট টিউটার নীচে পড়াতে এসেচে ব’লে। সন্ধ্যার অন্ধকার হয়েছে । ও-ঘরে উঠেই আমি একে বারে ছোটবৌঠাকুরুণের সাম্নে পড়ে গেলাম। তার কোলে মেজদির দেড় বছরের খুকী মিন্ট —সে খুব ফুটফুটে ফসর্ণ বলে বাড়ির সকলের প্রিয়, সবাই তাকে কোলে পাবার জন্যে ব্যগ্র। ছোটবৌঠাকুরুণ হঠাৎ আমার সামনে এসে দাড়ালেন খুকীকে কোলে ক’রে । আমি বিস্মিত হলাম, কপালে ঘাম দেখা দিল। খুকী আমায় চেনে, সে আমার কোলে ঝাপিয়ে আসতে চায়। ছোটবৌঠাকুরুণ আমার আরও কাছে এগিয়ে এসে দাড়ালেন—খুকীকে আমার কোলে দিলেন। তার পায়ের গ্ৰাঙল আমার পায়ের আঙুলে ঠেকূল। আমি তখন লাল হয়ে উঠেচি, শরীর যেন ঝিম্ ঝিম্ কংচে। কেউ কোন দিকে নেই। : শ্লেষ্টীমকল সম্পূর্ণ অগ্রস্তশিতষ্ঠাৰ হল নী ক’রে বললেন—আপনি আর বাড়ির মধ্যে আসেন না কেন আজকাল ? আমার ওপর রাগ এখনও যায় নি ? আমি অতি কষ্টে বললাম—রাগ করব কেন ? —তবে সেদিন ও-ঘরে এলেন, আমার সঙ্গে কথা বললেন না ত ? চলে গেলেন কেন ? মরীয় হয়ে বললাম — আপনাকে সেদিন চিঠি দোবো ব’লে এসেছিলাম, কিন্তু পাছে কিছু মনে করেন, সেজন্যে দেওয়া হয় নি । পাছে কিছু মনে করেন ভেবেই বাড়ির মধ্যে আসি নি । তিনি খানিকক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর মৃদুস্বরে বললেন—মাথা ঠাণ্ড করে লেখাপড় করুন । কেন ও-রকম করেন ? আর বাড়ির মধ্যে আসেন না কেন ? ওতে আমার মনে ভারি কষ্ট হয়। যেমন আসতেন, তেমনি আসবেন বলুন ? আমায় ভাবনার মধ্যে ফেলবেন না ওরকম । আমার শরীরে যেন নতুন ধরণের অসুভূতির বিদ্যুৎ খেলে গেল । সেখানে আর দাড়াতে পারলাম না--মুখে যা এল, একটা জবাব দিয়ে নীচে নেমে এলাম। সারারাত ঘুমুতে আর পারিনে। আমার জন্যে এক জন ভাবে -এ চিন্তার বাস্তবতা আমার জীবনে একেবারে নতুন ! নতুন ! নতুন ! নেশার মত এ অনুভূতি আমার সারা দেহ-মন অভিভূত ক’রে তুললে । কি অপূৰ্ব্ব ধরণের আনন্দ-বেদনায় মাখানে দিন, সপ্তাহ, পক্ষ, মাস ! দিন রাতে সব সময়ই আমার ওই এক চিস্তা। নির্জনে কাটাই, কিছু ভাল লাগে না, অথচ র্যার চিস্ত। শমুনেশ্বপনে সৰ্ব্বদাই করি, তার সাম্নে পাছে পড়ি এই ভয়ে সতর্ক হয়ে চলাফেরা করি । লেখাপড়, থাওয়া, ঘুম সব গেল । বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি ছোট বৌঠাকুরুণের হ’ল অস্থখ । অঙ্ক থ ক্রমে বাড়াবাড়ি ধরণের হ’ল । চাতরা থেকে যদু ডাক্তার দেখতে এল। তার বাপের বাড়ি থেকে লোকজন এসে পড়ল-বাড়িসুদ্ধ লোকের মুখে উদ্বেগের চিহ্ন। আমি ডাক্তার ডাক, ওষুধ আনা, এসব করি বাড়ির ছেলেদের সঙ্গে, কিন্তু একদিনও রোগীর ঘরে যেতে পারলাম না—কিছুতেই না। একদিন ঘরের দোরের কাছে গিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম—কিন্তু চৌকাঠের ওপারে षाहें नि ।