পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ཏཻi, 位のど জন্য যেমন ইহার অবস্থান, নিগ্রেী শিল্প তদনুসারে স্বস্ট দুই-চারিট রেখা টানিম্ন মানুষের ধড়ের বা মুণ্ডের ছবি আঁকা যায়, সেই ছবির মধ্যেই ভাস্কর্ষ্যের বা প্রতিম-শিল্পের বীজ উপ্ত থাকে । আবার একটা বড় ফল বা গোলক, গাছের গুড়ি অথবা cylinder অর্থাৎ সমবৰ্ত্তল বস্তু দ্বারাও মানুষের মুণ্ডের বা দেহের দ্যোতনা হইতে পারে । দ্বিতীয় পদ্ধতি নিগ্রে। ভাস্কর্য্যের অন্তর্নিহিত পদ্ধতি । કરું solid, in the round অর্থাৎ যাহকে প্রদক্ষিণ করিতে পারা যায় এমন plastic quality অর্থাৎ রূপ-দ্যোতনার গুণ থাকায়, নিগ্রো ভাস্কয্যের জাতি, সভ্য জাতির ভাস্কর্য্যের জাতি হইতে স্বতন্ত্র । ইউরোপীয় শিল্পবিদগণ এইখানে একটা নুতন জিনিস পাইয়াছেন, এবং ইহাকে আশ্রয় করিম, নুতন ভাবে রূপ-কষ্টিতে, প্রতিমগঠনে লাগিয়া গিয়াছেন । নিগ্রো ভাস্কর্য্যের তৃতীয় লক্ষণীয় গুণ-ইহার ছন্দোময়ত্ব । মানব-দেহের আদর্শ কল্পনা করিয়া, মানবদেহান্থকারী অতিমানব মূৰ্ত্তি অথবা দেবমূৰ্ত্তি স্বষ্টি করা যায় ; স্বসভ্য জাতিগুলির প্রতিম-ভাস্কৰ্য্য এই লক্ষণাক্রোন্ত । আবার অভিমানব বা দেবতার কল্পনা বর্জন করিয়া, কেবল মানবদেহের যথাযথ অনুকরণ করিয়া ও প্রতিমূৰ্ত্তি প্রস্তুত করা যায় ; স্বসভ্য জাতির ভাস্কধ্যে এইরূপ realistic বা বাস্তবমুকারী রীতিও সাধারণ । এতদ্ভিন্ন, দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের লোচন-গ্ৰাহ রূপের উচ্চবিচত্বকে আশ্রয় করিয়া একটা যে ছন্দ আছে, মাত্র সেই ছন্দের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া, সেই ছন্দকেই প্রাধান্ত দিয়া, মূৰ্ত্তি স্বজন করা যায় । নিগ্রে শিল্পে প্রাকৃতিক বস্তুর যথাযথ অল্পকরণের চেষ্টাও আছে । তবে মুখ্যতঃ ইহার প্রেরণা—বস্তুর বাহ বা রূপ-গত ছন্দকে আকারে ধরিবার চেষ্ট,- প্রতিকৃতিকে নহে ; অথবা, প্রতিরুতিকে আধার করিয়া কল্পিত আদর্শকে রূপের দ্বার ধরিবার চেষ্টার মধ্যে ইহার রসস্থষ্টির উৎস নিহিত নহে ; বরঞ্চ, বাহ সৌষম্য ও ছন্দোগতিকেই প্রাধান্য দিম, সেই সৌষমাকেই দৃষ্টিগোচর করাইয়া ইহার অস্তনিহিত ছন্দটকে রূপে প্রকট করা এই শিল্পের উদ্দেশু । অতএব, বাস্তবের আধারেরই উপরে, ইন্দ্রিমু-গ্রাহ বস্তুর দর্শন স্পর্শনের উপরে প্রতিষ্ঠিত সমস্ত প্রাচীন স্বসভ্য জাতির শিল্পের মক্ত,নিগ্রে শিল্প কল্পনাত্মক অথবা কল্পনাবাহী বস্তু-অমুকুড়ি নহে। , , ఏ98ఏ নিগ্রে ভাস্কৰ্য্য নিগ্রে জাতির প্রাচীন ধৰ্ম্ম ও দেবত-বাদের বাহন—অতএব ইহা উদ্দেশুমুলক শিল্প , এই জন্য অনেকের কাছে ইহার একটা বিশেষ সার্থকতা ও মূল্য আছে—সে Iার্থকতা বা মূল্য আমাদর আজকালকার বহু উদেখহীন শিল্পপ্রচেষ্টার মধ্যে নাই । দেব-মূৰ্ত্তি বা দেব-প্রতীক, মৃতের মূৰ্বি, মুখস, মাতৃ-মূৰ্ত্তি বা কুমারী-মূৰ্ত্তি— এ সমস্তই বাস্তব রূপের অস্তনির্ণহত ছন্দকে প্রকট করিয়া দেয়, এগুলিকে আধ্যাত্মিক জগতের প্রতীক-স্বরূপে ব্যবহার করিবার চেষ্টা মাত্র । নিগ্রে শিল্প সম্বন্ধে আর একটা কথা মনে রাখিতে হইবে । ইহা আদিম অরণ্যবাসী জাতির শিল্প । স্বসভ্য নগরবাসী জাতির শিল্পে যে-সকল বিরাট জিনিস পাই, সেরূপ জিনিস ইহাতে নাই । উচ্চকোটির বাস্তু-শিল্প নিগ্রোদের মধ্যে উদ্ভূত হয় নাই-বিরাট বিশাল দেবায়তন ও অন্ত ইমারত ইহাদের মধ্যে নাই । রাজারাও মাটির বা কাঠেং দেওয়াল, খড়ে বা পাতায় ছাওয়া চালা ঘরে বাস করিত। একমাত্র দক্ষিণ-আফ্রিকাশ্ন Zimbabwe ঞ্জিস্থাবোএ ও অন্যত্র পাথরের বিশাল দেওয়াল ও অন্য ইমারত পাওয়া যায়, সেগুলি হয় তো অতি প্রাচীন কালে বাণ্ট-জাতীয় নিগ্রোর। তৈয়ারী কfরয়াছিল ; কিন্তু নিগ্রে বাস্তু-শিল্পে, Zimbabwe ও ভদ্রুপ সন্নিকটবৰ্ত্তী তন্ত দুই-একটা জায়গার বাস্তু-রীতি একক ও অদ্বিতীয় বস্তু। ছবি আঁকার রীতিও উহাদের মধ্যে জন্মলাভ করে নাই । বড় বড় মুক্টিও অজ্ঞাত । যে প্রকারের শিল্প ইহাদের মধ্যে পাওয়া যায়, তাহাকে Major Arts অর্থাৎ উচ্চকোটির শিল্প বলা চলে না, তাহা Minor Arts and Craits soils লঘুশিল্প ও কারুশিল্পের পৰ্য্যয়েই পড়ে । ভাস্কর্য্যে আবার নিগ্রোণের মধ্যে পাথর ব্যবহার হুইত না— অথবা খুব কম হইত, মাত্র দুই-চারিট প্রাচীন পাথরের মূৰ্ত্তি পাওয়া গিস্কাছে ; কাঠ, ধাতু, মাটি, হাতীর র্দাত – এইগুলিই প্রধান উপাদাম ছিল । নিগ্রে। শিল্পের বহু নিদর্শন ও চিত্র দেখিয়াছি । ইহার মধ্যে সবগুলিই আমার ভাল লাগে না ; অনেকগুলি বুঝি না, খারাপই লাগে—দুই-চারিট প্রবন্ধ বা বই পড়িয়াও এইরূপ কতকগুলি মুক্তি বা মুখসের মধ্যে রসের কোনও হদিস পাই না। তবে মোটামুটি, ইহার একটা আকর্ষণ অনুভব করি । প্রাচীন মিসরীয় ভাস্কৰ্য, খ্ৰীষ্ট-পূর্ব পঞ্চম শতকের গ্রীক ভাস্কৰ্য, Rhodesiu-Go,