পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* , -" Շ:Ջo গেল। বিষণ ভাবিতে লাগিল, লোকজন লইয়া রতিরাম এখনও আসিয়া পড়িল না, নিশ্চয় শীঘ্র জালিবে । রতিরাম তীরে উঠিয়া একটা বিড়ি ধরাইল। ভাবিল, ভারি ত বলদ–বিশ রূপেয়াতে তিন জোড়া মিলে—তাহার জন্য কি দুই শত টাকা ফেলিয়া দৌড়াইয় যাওয়া যায় ? দৌড়াইম্বা গেলে লোকজন সংগ্ৰহ করিয়া আধ ঘণ্টার মধ্যে ফিরিয়া আসা যায় বটে, কিন্তু টাকাটা কোথায় রাখা যায়— খুচরা টাকা ও পয়লা ; বাগুিলটা আধ মণ ভারি হইয়াছে যে ! আস্তে আস্তে যাওয়াই ভাল—আর এত রাত্রে লোকজনই বা কোথায় ? অর্থ মণ ভার বহিমা রতিরাম যখন ধীরে ধীরে পল্লীর দিকে চলিতেছিল তখন মেচির গর্তের বালুকারাশি ভেদ করিয়া দুইটি আৰ্ত্ত পশু ক্রমশঃ অনন্তের পথে অগ্রসর হইতেছিল। গাড়ীর উপর আর বসা যায় না-বিষণ গাড়ী ছাড়িয়া রতিরামের পথ চাহিয়া জলে দাড়াইয়া ! বলদ দুটি মাত্র নাক জাগাইয়া রহিয়াছে—এখনও আসিতে পারিলে হয় । "প্রবাসী ; ఎ98S. বিষণ শুদ্ধ হইয়াই ছিল, এখন নিশ্চল নিম্পদ হইয় | গিয়াছে—কখনও বলদের দিকে, কখনও রতিরামের পথের দিকে চাহিতেছে। মেচির স্রোত বহিয়া চলিয়াছে—খরধার, শব্দ নাই, স্পর্শ তাহার হিমশীতল। স্বচ্ছ জলের মধ্য দিয়া সৰ্ব্বগ্রাসী বালুক দেখা যাইতেছে। চন্দ্র ডুবিয়া যাইতেছে ; এ-পারের ক্ষেত ও ও-পারের বন যেন সমস্ত একাকার হইয়া আসিতেছে । ক্রমে আরও নীচে-আৰ্ত্ত পশু এবার উদ্ধনেত্রে আকাশমুখী হইমা রহিয়াছে। বিষণ রতিরামের পথ চাহিয়া; হঠাৎ দৃষ্টি ফিরাইয়া দেখিল, চতুর্থীর চন্দ্র কখন লাল হইয় একটা একচক্ষু বিরাট দৈত্যের মত দেখা দিয়াছে-এ-পারের একটা পত্রহীন বৃক্ষ যেন খলখল করিয়া হাসিতেছে, ও-পারের বন যেন ভ্ৰকুটি করিয়া বিশ্বকে গিলিতে আসিতেছে। বিষণ আবার চন্দ্রের দিকে চাহিল ; একচক্ষু দানব তাহার সৰ্ব্বগ্রাসী চিরক্ষুধিত রক্তবর্ণ চক্ষু মেলিয়া যেন নিম্নের আর্ন্ত পশুযুগলকে গ্রাস করিতেছে— সমস্ত জলট রাঙিয়া গিয়াছে। এমন কুৎসিত ও বীভৎস দৃপ্ত সে জীবনে দেখে নাই ! 腳 韃