পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

なへこのひ সকল বিখ্যাত নটীদেরই দেখিয়াছি, কিন্তু আপনার মত নৃত্য করিতে তাহদের মধ্যে একজনও পারে না। একবার আপনার দিকে চোখ পড়ার পর, আমি আর চোখ ফিরাইতে পারি নাই ।” প্রথমে তরুণীকে অত্যস্ত ক্রুদ্ধ বোধ হইতেছিল, কিন্তু যুবকের কথা শুনিতে শুনিতে ক্রমে তাহার মুখের ভাব বদলাইয় গেল। ঈষৎ হাসিয়া সে যুবকের সম্মুখে বসিয়। পড়িল। তাহার পর বলিল, “আমি আপনার উপর রাগ করি নাই। কিন্তু আপনি যে আমার নৃত্য দেখিয় ফেলিলেন, ইহাতে আমি দুঃখিত। একাকিনী ঐ ভাবে আমাকে নাচিতে দেখিয়া হয়ত আপনি আমাকে পাগল মনে করিয়াছেন, আমাকে এখন নিজের পরিচয় আপনার কাছে দিতেই হইবে।” তরুণী আপনার কাহিনী বলিতে আরম্ভ করিল। যুবক কিশোর বয়সে এই যুবতীর নাম গুনিয়াছে বলিয়া এখন তাহার মনে পড়িল । সে তখন রাজধানীর সর্বশ্রেষ্ঠ নর্তকী, তাহার পায়ে রাজার ঐশ্বৰ্য্য গড়াগড়ি যাইত, তাহার রূপেরও তুলনা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ একদিন এই সকলের মায়া কাটাইয়া সে কোথায় যে অদৃশ্য হইয় গেল, কেহ আর তাহার সন্ধান পাইল না। তাহার সঙ্গে সঙ্গে আর একটি যুবকও অদৃপ্ত হইল, সে তাহার প্রণয়ী। যুবকের ধনসম্পত্তি কিছু ছিল না, তরুণীর যtহ। সঙ্গে ছিল তাহাই সম্বল করিয়া তাহার পৰ্ব্বতের উপরে পর্ণকুটীরে মুখে বাস করিতে লাগিল । দু-জনে দু-জনকে ভিন্ন আর কিছু জানিত না । যুবক তরুণীকে সমস্ত প্রাণ ঢালিয়। ভালবাসিত। তাহার নৃত্য দেখাই যুবকের জীবনের সবচেয়ে গভীর আনন্দের বিষম ছিল । সন্ধ্য হইলেই সে নিজে কোন একটি প্রিয় স্বর বাজাইতে বসিত, আর যুবতী এই স্বরের তালে নৃত্য করিত। কিন্তু হঠাৎ শীতকালে অসুস্থ হইয়া পড়িয়া যুবক মারা গেল, তাহার প্রণয়িনীর প্রাণঢাল সেবাও তাহাকে ধরিম রাখিতে পারিল না । তখন হইতে তাহার স্মৃতি অবলম্বন করিয়া, তাঁহারই পূজা করিয়া তরুণী বাচিমা আছে। দিনের বেলা তাছার স্মৃতিফলকের সম্মুখে সে পুপ ও দীপের অর্থ্য সাজায়, - স্নাত্রে তাহার সম্মুখে পূৰ্ব্বের মতই নৃত্য করে। শ্রাস্ত অতিধিকে জাগাইয়া দেওয়ার তাহার কোনই ইচ্ছা ছিল না, ఏ98S সেই জন্য সে যথাসম্ভব দেরি করিম নৃত্য আরম্ভ করিয়াছিল। কিন্তু অতি লঘু ভাবে পদক্ষেপ করাতেও যে যুবক চিত্রকরের ঘুম ভাঙিয়া গিয়াছে, তাহার জন্য তরুণী ক্ষমাভিক্ষ করিল। তাহার পর তরুণী চা প্রস্তুত করিয়া আনিল। যুবক তাহার সহিত চা পান করিবার পর, তরুণীর অকুনয়-বিনয়ে বাধ্য হইয়া আবার শয্যায় ফিরিয়া গেল এবং অবিলম্বেই আবার নিদ্রিত হইয়া পড়িল । সকালে উঠিয় তাহার ক্ষুধাবোধ হইতে লাগিল। তরুণীও তাহার জন্য খাবার প্রস্তুত করিম রাখিয়াছিল । খাবার রাত্রেরই মত অতি সাধারণ । ক্ষুধা থাকা সত্ত্বেও যুবকের পেট ভরিমা থাইতে সঙ্কোচ বোধ হইতে লাগিল, সে ভাবিল হয়ত তরুণী নিজের জন্য কিছুই রাখে নাই । যাত্রা করিবার সময় সে তরুণীকে আহাৰ্ঘ্যের মূল্যস্বরূপ কিছু অর্থ দিতে গেল, কিন্তু তরুণী কোনমতেই তাহ লইতে সম্মত হইল না । সে বলিল, “আমি আপনাকে যাহ। থাইতে দিয়াছি, তাহা এত সামান্য যে, তাহার মূল্য বলিতে কিছু নাই এবং অর্থলোভের আশাম্ব আমি উহ দিই নাই, আতিথ্যধৰ্ম্ম রক্ষা করিবার জন্যই দিয়াছি। আপনার যাহ। অভাব-অসুবিধা হইয়াছে, তাহা ভুলিয়া গিয়া শুধু আমার সেবার আগ্রহটুকু যদি মনে রাখেন তাহা হইলেই আমি ধন্য হইব ।” অর্থ দিবার জন্য যুবক আর একবার চেষ্টা করিল ; কিন্তু বার-বার এ-বিষয়ে জেদ করাতে তরুণী ক্লেশ পাইতেছে দেখিয়া সে নিরস্ত হইল, এবং মুথের কথায় যথাসম্ভব নিজের কৃতজ্ঞতা জানাইম, তাহার কাছে বিদাম লইয়া সে আবার পথে বাহির হইয়া পড়িল । তাহার মন যেন এপানেই আটক পড়িয়াছিল, পা নড়িতে চাহিতেছিল না, কারণ যুবতীর রূপ ও গুণ সত্যই তাহাকে অতিশয় মোহিত করিয়াছিল। তাহাকে কোন পথে যাইতে হইবে, তরুণী তাহা ভাল করিয়া বুঝাইয়া বলিয়। দিল, এবং যতক্ষণ তাহাকে দেখা গেল দাড়াইয়া দেখিল । ঘণ্টাখানেক হাটিয়া, যুবক একটি সুপরিচিত পথে আসিয়া পৌঁছিল। তখন হঠাৎ তাহার মনে পড়িল ধুবতীকে সে নিজের নামটাও বলিয়৷ আসে নাই। পরক্ষণেই खादिल “दनिग्राहे द कि इहेड ? छिद्रकाणई झाऊ अ*ि এইরূপ দরিক্স থাকিব ।” |