পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& Bの পক্ষাস্তরে মিত্রাবাস মিত্রকোষ্ঠে, এবং উলুখলস্থান রোগকোষ্ঠে, কোশগেহ ভূধরকোষ্ঠে, স্কৃত (দধিমন্থন ) ও ঔষধালয় নাগকোষ্ঠে হইতে পারে। ক্রমান্বয়ে জয়ন্ত, অপবৎস, পর্জন্ত বা শিবকোষ্ঠে (২৭) বিষের প্রতৌষধিস্থান, (২৮) কূপ ও (২৯) দেবগৃহ, এবং ঋক্ষ, ভল্লাট, বা সোমকক্ষে (৩০) আস্থানমগুপ হওয়া উচিত। উত্তর-ভারতের পুরাণসমূহের অনুকরণে রচিত দক্ষিণভারতের আগমসমূহ প্রকাও প্রকাও সংগ্ৰহ-পুস্তক। পুরাণের ন্যায় আগমেও তাৎকালীন লোকের জ্ঞানের বিষয়ীভূত প্রায় সকল বিষয়ের অল্পবিস্তর বর্ণনা অেেছ । বস্তুতঃ এই কামিকাগমের ৭৫ অধ্যায়ের মধ্যে ৬০ অধ্যামুই বাস্তুবিবরণ ও মূৰ্ত্তিনিৰ্ম্মাণ-ব্যবস্থায় পরিপূর্ণ। স্থানান্তরে বিস্তারিত ভাবে প্রদর্শিত হইয়াছে যে, পৌরাণিক, আগমিক ও ক্ষুদ্র ক্ষুত্র দ্বিত্রিশত সংখ্যক বাস্তবিষয়ক গ্রন্থ শিল্পশাস্ত্রের মূলগ্রস্থ মানসারমূলক।* এই সকল সংগ্রহ-গ্রন্থের বিবরণের অল্পবিস্তর বিভিন্নতা স্থানীয় প্রয়োজনজনিত । মূল গ্রন্থ মানসার শিল্পশাস্ত্ৰে সৰ্ব্ব প্রদেশ ও স্থানের উপযোগী হয় এরূপ সমালোচনা ও নির্দেশ প্রায় সকল প্রস্তুত বিষয়েরই করা হইয়াছে । সকল বিষয়ের উল্লেখ এস্থলে অসম্ভব ও নিম্প্রয়োজন। কামিকাগম চতুদিক ও চতুক্ষেণের অতিরিক্ত যে সকল দিকৃপালের কোষ্ঠের ঘটনাক্রমে এখানে উল্লেখ করিয়াছে তাহাদের বিস্তারিত বিবরণ পদবিন্যাস’ নামক মানসার শিল্পশাস্ত্রের এক স্ববৃহৎ অধ্যাম্বে দেওয়া হইয়াছে + তাহা এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয় নহে। সংক্ষেপে এইমাত্র বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে নগর, গ্রাম ও গৃহাদির জন্য নানা পরীক্ষার দ্বারা কোন স্থান মনোনীত হইলে তাহ প্রয়োজন অনুসারে একপদ হইতে আরম্ভ করিম ১৯২৪ পদ বা প্রকোষ্ঠে বিভাগ করা যাইতে পারে । এই প্রকোষ্ঠসমূহ দিকপাল-সংজ্ঞক দেবতার নামে পরিচিত। মনোনীত স্থানের বিশেষ কোন স্থান যেখানে বিশেষ কোন প্রয়োজনীয় বিষয় নির্দিষ্ট হইতে পারে তাহ দিকপালের প্রকোষ্ঠের উল্লেখ করিয়া সঠিকভাবে নির্দেশ করা যাইতে পারে। কামিকাগমের নির্দেশ অনুসারে একাধিক প্রকোঠেও বিশেষ কোন কক্ষ স্থাপিত হইতে পারে। বস্তুত: মূল গ্রন্থ মানসার শিল্পশাস্ত্র হইতেই সাক্ষাৎভাবে অকুকরণ করিবার ফলে কামিকাগম ও উপরিউদ্ধৃত বাস্তুশাস্ত্রের পুস্তিকসমূহের মধ্যে এই প্রভেদ লক্ষিত হইতেছে। এই সকল ক্ষুত্র পুস্তিকা বিশেষ কোন স্থানের প্রয়োজনসিদ্ধির জন্ত রচিত হইয়াছিল। সেজন্য এ-সকল পুস্তকে একাধিক স্থানে বিশেষ কোন

  • লেখকের "ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র নামক গ্রন্থের পৃ. ৪৯-১৯৯, ১১•১৩৩, ১৬১-১৭৪ জষ্টব্য ।

+ টীকা ২ ফ্রষ্টব্য সপ্ত প্রাকার বা পরিবেষ্টনীতে বিভক্ত । SSD8S কক্ষ নিৰ্ম্মাণ করিবার ব্যবস্থা প্রদান করা হয় নাই। আগম নামক গ্রন্থসমূহ পুরাণের হামু অধিকতর প্রামাণিক হওয়ার অভিপ্রয়ে মানসার শিল্পশাস্ত্রের অনুকরণে একাধিক স্থানে একই কক্ষ নির্দেশ করিয়াছে। কিন্তু মানসার শিল্পশাস্ত্রে উদাহরণস্বরূপ যাহা যাহা নির্দিষ্ট হইয়াছে তাহারই আংশিক বিবরণ কামিকাদি আগম প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তন করিয়া গ্রহণ করিয়াছে । বস্তুতঃ রাজত্বৰ্ম্ম্যের ষে সাধারণ বিবরণ মানসার শিল্পশাস্ত্রে দেখিতে পাওয়া যায় তাহার উল্লেখ আগম পুরাণ বা ক্ষুদ্রতর বাস্তু গ্ৰন্থসমূহে নাই । রাজহুৰ্ম্ম্য নয় শ্রেণীর রাজার উপযোগী। এই নববিধ রাজহুৰ্ম্ম্য সংস্থাপনে পরম্পরের মধ্যে বিস্তর প্রভেদ আছে । সম্রাটাদির অভিরুচি, অবস্থা ও প্রয়োজন অনুসারে নিম্নে উদ্ধৃত রা হৰ্ম্মোর সাধারণ সংস্থাপন পরিবর্তন করিয়া লণ্ডয় যাইতে পারে তাহ মানসার শিল্পশাস্ত্রে ( অধ্যায় ৪০, শ্লোক ১৫৫ ) বিশেষ ভাবে বারংবার বলা হইয়াছে। সাৰ্ব্বভৌম বা চক্রবর্তী, মহারাজ, নরেন্দ্র, পাঞ্চিক, পট্রধর, মগুলেশ, পট্টভাজ, প্রাহীরক ও অস্ত্রগ্রাহ এই নয় শ্রেণীর রাজন্তবর্গের বাসোপযোগী নববিধ রাজহাৰ্য্য এক হইতে કરું છCસ્કાર નહીં প্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিভ এবং অস্কমণ্ডল, অস্তনিহার, মধ্যমহার, প্রাকার ও মহামর্য্যাদাদি নামে পরিচিত । এই সকল মণ্ডলের সিংহদ্বার বা গোপুর যথাক্রমে দ্বারশোভা, দ্বারশালা, দ্বারপ্রাসাদ, দ্বারহশ্ম, ও মহাগোপুর নামে বর্ণিত এবং এক হইতে সপ্তদশতলযুক্ত * এই মণ্ডলের প্রত্যেকটিতে এক হইতে দ্বাদশতলযুক্ত গৃহ সাধারণতঃ মধ্যে চতুঃসাল প্রণালীতে সংস্থাপিত হইলে এক হইতে দশশালা নামক শ্রেণীতে বিভিন্ন আকারে মুসজ্জিত হইতে পারে rী রাজহুৰ্ম্মোর মণ্ডল, শালা ও তলসংখ্য রাজন্তবর্গের শ্রেণী অস্থযামী । সাধারণত: মধ্যভাগে ব্ৰহ্মপীঠে রাজমন্দির-নিৰ্ম্মাণের ব্যবস্থা আছে । প্রধান রাজহুৰ্ম্ম ইন্দ্র, বরুণ, যম বা পুপদস্তাদি প্রকোষ্ঠে নিৰ্ম্মাণ করা উচিত। এই প্রধান হর্শ্যের চতুষ্পার্শ্বে রাজমহিষী, রাজকুমারী, প্রভূতির জন্য গৃহনিৰ্ম্মাণের ব্যবস্থা আছে। স্নানাগার, বস্ত্রপরিবর্তন-গৃহ, শয়নকক্ষ, আস্থানমগুপ, ভোজনগৃহ, রন্ধনশালা প্রভৃতি এবং পরিচারক, পরিচারিকাদির বাসস্থান ও পুষ্করিণী ও উদ্যানা’দ সুবিধামত ংস্থাপন করিতে হয় । অন্তঃপুরের পরস্থ মণ্ডলীতে রাজকুমার, রাজপুরোহিত, রাজমন্ত্রী প্রভৃতির জন্য যথোপযুক্ত প্রাসাদ

  • বিস্তারিত বিবরণের জন্য পূৰ্ব্বোক্ত ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্রের পৃ. ৫১-৫৩ এবং মানসার শিঙ্গশাস্ত্রের মূল ও ইংরেজী অনুবাদের অধ্যায় ৩১, ৩৩, এৰ পঞ্চম খণ্ডস্থ চিত্রাবণী দ্রষ্টব্য।

+ বিস্তারিত বিবরণের জন্ম মানসার শিল্পশান্ত্রের অধ্যায় ৩৫ এবং চিত্রাবলী ( পঞ্চম খণ্ডে ) দ্রষ্টব্য।