পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Toga &প্রবাসী; ఏ98S বেগম ; এর পর উৰ্ব্বশী কি তিলোত্তম কিছু একটা ইচ্ছা করছিল সবগুলো আগুনের মধ্যে ফেলের বলবে । চল না একবরটি তাকে দেখিয়ে আনি ।” মাস্খ,শুড়ী বলেছিলেন চুলগুলোও কেটে ফেলুতে।” জয়ন্তী তাহার গালে একটা চড় দিয়া বলিল, “চুপ কর পেড়ারমুখী, বিধব। মানুযের ওসব ঠাট্টাতামসি৷ শুনতে নেই।” উৰ্ম্মিল! কিছু বলিল না, শুধু নিজের হাত হইতে দুইগছ চুড়ি খুলিয়। জয়ন্তীক পরই দিল । কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া শেষে উৰ্ম্মিলার হাত ধরিয়া টানিয় জয়ন্তী বলিল, “একটা জিনিষ দে বি আয় ।” আপনার ঘরে গিয়া একটা মোড়ার উপর বসিয় বড় ষ্টিল টঙ্কট খুলিতে খুলিতে জয়ন্তী বলিল, “গত বছর ওঁর পঞ্চাশ টকা মইনে বেড়েছিল, আর ছেলে-মেয়েদুটো একটু বড় হয়েছে ব’লে দাইটকে জবাব দিয়েছিলাম । আগে মেটে কিছু বঁচাতে পারতাম না সংসা'রর গ্রস থেকে । গত বছর ত,ই সত শ’ টক বঁচিয়েছিলাম । ছেলবেল ত দেখছি ই ভাই, ভাল গয়না শাড়ী কখনও পরিনি । কিন্তু মনে মনে সধটা চিরকালই ছিল। মনে করেছিলাম এর পর ফি-বছরে কিছু কিছু করব ।” জয়ন্তী বাক্সের ডালটা তুলিয়া পাতলা কাপড় জড়ানো একটা পুলিন্দা এবং ছোট একটা পিতলের চেীকে কোটা বাহির করিল। পাতল কাপড়খানা সরাইয়। বাহির করিল ঘননীল রেশমের উপর ছোট ছোট জরির চৌখুপি করা একখানি শাড়ী, আর লাল ও সোনালী রেশমে টনা-পড়েন দেওয়া ঝলমলে একথান বেনারসী, শাড়ীট নাড়িতে চাড়িতে দুইদিক হইতে দুইটা রং ঠিকরিয়৷ পড়ে । উৰ্ম্মিল হাতে করিয়া সযত্নে কাপড় দুখান৷ তুলিয়া মুগ্ধ দৃষ্টিতে চাহিয়া বলিল, “বাঃ কিঃ চমৎকার ”ি জয়ন্তী বলিল “দুশো টাকা দিয়ে দুখানা কিং নেছিলাম, কিন্তু একদিনও প’রি নি ।” উৰ্ম্মিলার মুখে উত্তর যোগাইল না । খানিক ভাবিয়া বলিল, “বড় হয়ে ছবি পরবে এখন । মার কাপড় ত মেয়েই পর।” . জয়ন্তী বলিল, “তই ত রেখে দিলাম। নইলে দীই যেদিন কাপড়ের পাড় ছিড়ে থান পরিয়ে দিলে সেদিন উৰ্ম্মিলা নীরবে পিতলের কোঁটাটা নাড়িতে লগিল জয়ন্তী খুলিয়া দেখাইল দশগছ মুক্ত-বসানো চুড়ি । “চার-শ’ টকা দিয়ে গড়িয়েছিলাম। প্রত্যেকটি মুক্তে সমান দেখেছিস্ ।” উৰ্ম্মিল বলিল, “হা, চমৎকার, এমন নিটোল যেন জলে টল্টল করছে।” জয়ন্তী বলিল, “আমার চোখের জলের ফোট । স্যাকরবাড়ি থেকে চুড়িগুলো যখন এল তরকারি কুটুছিলাম । উনি পরিয়ে দিতে চাইলেন তখন প’রি নি তারপর সেই যে অজুখে পড়লেন আর ওকথা ভাববারও সময় রইল না । এখন এগুলো দেখলে চোখ জাল করে ।” জয়ন্তী চুড়িগুলি নীল কাগজে জড়াইয়া কোঁটার বন্ধ করিয়ী রাপিল । উর্মিল! আর একবার বলিল, “তোম ব মেয়ে রয়েছে, দুঃখ কি ভাই ? মেয়েকে পরিয়ে সাব ংি টিও ” জয়ন্তী ঝমাৎ করিয়! বাকুট বন্ধ করিয়া দিয় জানালার কাছে গিয়া দাড়াইল । তাহার দুই চোখ দিয় মুক্তার মত জলবিদু গড়াইয়া পড়িল । শমীন্দ্র ও উঞ্চিল অন্ত পাড়ায় বিবাহের নিমন্ত্রণে গিয়াছিল । বাঙালীর বাড়ির ব্যাপার, খাওয়-দাওয় সারিতেই রাত বারেট বাজিয়া গিয়াছিল, ফিরিত ফিরিতে প্রায় একটা হইল। বাড়িতে ঢুকিবার পথে বাগানের নারিকেল গাছের পাতার ফাক দিয়া জয়ন্তীর ঘরের আলে দেখা যাই তছিল । উৰ্ম্মিল! বিম্মিত হইয়া বলিল, “বাধ, এত রাত্রে দিদির ঘরে আলো কেন ? ছেলেপিলের অসুখ-বিসুখ হ’ল না কি ?” দু-জনে তাড়াতাড়ি উপরে উঠিয়া আসিল । ঘরের ভিতর হাট-চলার শব্দ স্পষ্ট পাওয়! যাইতেছিল। শমীন্দ্র বলিল, “দেথ না ঘরে গিয়ে কি হয়েছে উঞ্চিল। দরজার কাছে গিয়া দেখিল দরজা ভিতর হইতে বন্ধ । সে কি ভাবিয় থড়থড়ির একটা পার্থী তুলিয়া ধরিল। বিস্ময়ে তাহার চোখ ঠিকরাই পড়িতে p?