পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీఫ్చి8 ఏన983 কায়স্থ যুবকদের সময় বিভাগে প্রবেশ করিবার জন্ত উৎসাহিত কর; এবং স্ত্রীলোকদের ব্যায়াম চর্চায় জঙ্ক বম্বোবস্ত কর । উপনিবেশস্থাপন না দ্বীপচালান ? দক্ষিণ-আফ্রিকায় চুক্তিবদ্ধ, দাসকল্প ভারতীয় শ্রমিকদিগকে খাটাইয়। তথাকার শ্বেতকায়ের নিজেদের কাজ উদ্ধার করিয়াছে । ভারতীয়ের এখন সেখানে বাণিজ্যাদি ক্ষেত্রে শ্বেতকায়দের সহিত প্রতিযোগিত করে । এই জন্ত তাহাদিগকে তাড়াইয়া দেওয়া দরকার । তাহীদের সামাজিঙ্ক নানা লাঞ্ছন। সেখানে অাছে, আইন করিয়া তাহাদিগন্ধুে নান অস্তুবিধায় ফেল হইয়াছে, যাহার ভারতবর্ষে আসিতে চায় তাহাদিগকে আসিতে ও এখানে জীবিক নিৰ্ব্বাহের ব্যবস্থা করিতে আর্থিক সাহায্যের বন্দোবস্তও শ্বেতদের গবষ্মেন্ট করিয়াছে তথাপি ভারতীয়দের অধিকাংশ ( দক্ষিণ-আফ্রিকাই মাহীদের জন্মভূমি ) সে দেশ ছাড়িা আসিতে চায় না । তাই তথাকার ভারতীয়দের জন্ত–এবং এদেশের ভারতীয়দের জন্যও বটে—দক্ষিণ-আফ্রিকার শ্বেতর “দয়া” করিয়া ভারতীয়দিগকে উপনিবেশ স্থাপনের সন্ধান দিতেছেন ! বোণিও দ্বীপের ব্রিটিশধিকৃত অংশ, ব্রিটিশ গিরন এবং নিউ-গিণিতে ভালতী দিগ:ক উপনিবেশ স্থাপনা করিতে বল হইতেছে । যেমন আই ।ানুসারে দণ্ডিত ব্যক্তিদিগকে জেfর করিয়া আণ্ডামানে পাঠান হয়, জোর করিয়া দক্ষিণআফ্রিকার ভারতীয়দিগকেও পরে ঐ তিনটি ভূখণ্ডে সেইরূপ পাঠান হইবে কি না বল যায় না । কিন্তু জ। খাগুলি স্বাস্থ্যকর ও যত্নবাসের জন্ত লোভনীয় নহে—তাহ হইলে " ত ইউরোপীসরাই তথায় বসবাস করিত । ভারতীয়ের যদি স্বাধীন হইত এবং নিজ শক্তিতে নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন পুৰ্ব্বক তাহ নিজ অধিকারে রাখিতে পারিত, তাহ হইলে উপনিবেশ নামটা ব্যবহার করা সার্থক হইত। কিন্তু এখন যে-ষে দেশকে ভারতীয় উপনিবেশ বল ও করা হইবে, তাহ তাহার নিজেদের শ্রম, নৈপুণ্য ও প্রাণ দিয়া সভ্য জনের বাসোপযোগী করিবার পর শ্বেতকায়ের আবার তাহাদিগকে যে সেথান হইতে তাড়াইয়া দিবে না, তাহ কে বলিতে পারে ? বরং ইহাই খুব সম্ভব, যে, তাড়াই দিবে। অতএব, প্রস্তাবট বাস্তবিক উপনিবেশ স্থাপনের নহে, দ্বীপচলনি বা দ্বীপত্তির করিবার ষড়যন্ত্র । অ{সামে জন্মের হার ও জন্মনিরোধ সম্প্রতি আসামের ব্যবস্থাপক সভায় এক জন সভ্য প্রশ্ন করেন, আসামের দরিদ্র ও মধ্য লোকদের মঞ্চে জন্মের হার বড় বাড়িয়াছে, ত্ব গবন্মেটি জন্মনিরোধের ব্যবস্থা করিবেন কি না । *প্রকারপক্ষ হইতে ইহার উত্তরে বলা হয়, ভারতবর্ষের ময়টি প্রদেশের মধ্যে জন্মের হারে আসাম সপ্তম স্থানীয়, সুতরাং অতিরিক্ত জন্মহার এখনও আসামের সমস্ত হইয় দাড়ায় নাই ; তfহা হইলেও, গবন্মেন্ট আইন দ্বার জন্মনিয়ন্ত্রণ না করিয়া প্রচার-কাৰ্য্য দ্বার ত{হ করিবেন । কিন্তু আসামে তাহারই ব, কি প্রয়োজন ? লেখালে বহুবিস্তৃত ভূমি পড়িয় অাছে, আরণ্য ও খনিজ সম্পত্তিতে আসাম ঐশ্বৰ্য্যশালী । গবন্মেটি চাষবাস ও নানা শিল্পকার্য্য স্বারা আসামের লোকদিগকে সঙ্গতিপন্ন হইবার সাহায্য করুন না ? জন্মের হার কমাইবার চেষ্ট ন করিয়া মৃত্যুর হার কমাইবার চেষ্ট করুন । আসামে এখনও লক্ষ লক্ষ লোকের স্থান স্বচ্ছন্দে হইতে পারে । বসতির ঘনত৷ বঙ্গে প্রতি বর্গমাইলে ৬৪৬, বিহার-উড়িয়ায় ৪৫৪, বোম্বাই প্রেসিডেন্সীতে ১৭৭, মন্দ্রিাজে ৩২৮, পঞ্জাবে ২৩৮, অtগাঅযোধ্যায় ৪৫৬, কিন্তু আসামে ১৫৭ ৷ কৃত্রিম উপায়ে জন্মনিয়ন্ত্রণের আমরা পক্ষপাতী নহি । কেন, তাহার আলোচনার স্থান ইহা নহে । “সভ্য” জগৎও এ-বিষয়ে একমত নহে। ইণ্ডিয়ান জার্নাল অব ইকনমিক্সের এপ্রিল সংখ্যায় অধ্যাপক বিনয়কুমার সরকারের প্রবন্ধের ৫৮৭-৫৯৮ পৃষ্ঠা এই প্রসঙ্গে দ্রষ্টব্য । তাহাতে পাঠক লোকসংখ্যাবৃদ্ধির সমর্থকদের কিছু উল্লেখ দেখিতে পাইবেন । বহুসস্তানবতী নারীদের উদ্দেশে অত্যাধুনিক মহিলার নাক সিটকাইতে পারেন, কিন্তু প্রকৃতপক্ষ বহু সুস্থ সুসন্তানের জননী যাচার তাহারা সম্মানেরই যোগ্য । সুভাষচন্দ্র বস্থর নূতন পুস্তক হুভায বাবু ভারতবর্ষ সম্বন্ধে ইংরেজীতে একটি পুস্তক লিখিতেছেন । তাহ শীঘ্র প্রকাশিত হইবে । তাহার অমেরিকাল ও ফরাসী সংস্করণও বাহির হইবে । ভারতবর্ষে প্রকাশিত বহিতে অনেক সত্য কথার সন্নিবেশ আইনবিরুদ্ধ । ইংলণ্ডে প্রেকাশিত বহিতে সত্যের প্রকাশে তত বেশী বtধ না থাকিলেও, মনে রাখিতে হইবে, যে, ডক্টর সাগুrল্যাণ্ডের ইণ্ডিয়া ইন বণ্ডেজ তথায় প্রকাশিত হইবার বন্দোবস্ত হইবার পর তাহ বন্ধ হইয় যায় । আমেরিকায় ও ফ্রান্সে প্রকাশিত সংস্করণে সত্য কথা বাদ দিবার প্রয়োজন ন হইতে পারে । চট্টগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম মিউনিসিপালিটিতে অবৈতনিক আবশ্যিক প্রাথমিক শিক্ষার পঞ্চবার্ষিক রিপোটে দেখিয়া প্রীত হইলাম, যে, ছাত্রছাত্রীর মোট সংখ্যা এবং উপরের ক্লাসগুলিতে সংখ্যা বাড়িতেছে । বালকদের সংখ্যা ১৯০০, ১৯২৭, এবং ১৯৩২ সালে যথাক্রমে ২৮৪, ১৬৬৩, এবং ২৬৬৬ ছিল । বালিকাদের সংখ্যা ১৯১০ সালে ২১ হইতে ১৯৩২ সালে ১৩৮৭ হইয়াছিল। সংথ্যাগুলি মিউনিসিপালিটির প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহের ছাত্রছাত্রীদের । ১২০২, জাপার সাকুলার রোড, কলিকাতা, প্রবাসী প্রেস হইতে প্রমাণিকচন্দ্র দাস কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত