পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - - - سbج&w 1翌空エリ g l 338ు মহিমা গৌণ, তায় বাজারদরের হিসাবটাই মুখ্য। বলা বাহুল্য, এই হিসাবটাতে আগ্রহ থাকতে পারে কিন্তু রস নেই। ফুলের সঙ্গে অহৈতুক মিলনে এই হিসাবের চিন্তাটা আড়াল তুলে বের। গোলাপজলের কারখানাটা সাহিত্যের সামগ্ৰী হ’ল না। হতেও পারে কবির হাতে, কিন্তু শীলেকের হাতে নয় । - সে অনেক দিনের কথা, বোটে চলেছি পায়। শরৎ কালের সন্ধা ; সুর্য মেনস্তবকের মধ্যে র্তার শেষ ঐশ্বর্যের সৰ্ব্বশ্ব-জান পণ করে গদা অস্ত গেচেন। আকাশের মীরবতা অনিৰ্ব্বচনীয় শাস্তু রসে কানায় কানীয় পূর্ণ ; ভয় লীতে কোথাও একটু চাঞ্চলা নেই; স্তন্ধ চিহ্মণ জলের উপর সন্ধাত্রের সীনা বর্ণের দীপ্তিচ্ছায়া স্নান হয়ে মিলিরে আসচে। পশ্চিম দিকের তীরে দিগন্তপ্রসারিত জনশূন্ত বালুচর প্রাচীন যুগান্তরের অতিকায় সরীস্বপের মতো পড়ে আছে । বোট চলেচে অন্ত পারের প্রাস্ত বেয়ে, ভাঙন-ধরা খাড়া পাড়ির তলা দিয়ে দিয়ে : পাড়ির গায়ে শত শত গৰ্ত্তে গাড়শালিথের বাসা ; হঠাৎ একটা বড় মাছ জলীয় তলা থেকে ক্ষণিক কলশক্ষো লাফ দিয়ে উঠে বঙ্কিম ভঙ্গীতে তখনি তলিয়ে গেল । আমাকে চকিত আভাসে জানিয়ে দিয়ে গেল এই জল-ঘবনিকার আস্তরালে নিঃশব্দ জীবলোকে স্বত্যপর প্রাণের আননের কথা, আয় সে বেন নমস্কার নিবেদন করে গেল বিলীয়মান দিনস্তের কাছে । সেই মুহূর্বেই তপসি মাঝি চাপা আক্ষেপের থরে সনিঃশ্বাসে বল উঠল, ও মস্ত মাছটা ! মাছটা ধরা পড়েছে আর সেটা তৈরি হচ্চে রান্নার জন্তে, এই ছবিটাই তায় মনে - জেগে উঠল, চারদিকের অন্ত ছবিটা খণ্ডিত হয়ে দূরে গেল সরে। বলা যেতে পারে বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে তার সাহিত্য গেল নষ্ট হয়ে । আহারে তার আসক্তি তাঁকে আপন জঠরগহ্বরের কেঙ্গে টেনে রাখল। আপনাকে না ভুললে মিলন হয় না । মানুষের লানা চাওয়া আছে, সেই চাওয়ার মধ্যে একটি হচ্চে খাবার জন্তে এই মাছকে চাওয়া। কিন্তু তীর রেয়ে তায় বড় চাওয়া, বিশ্বের সঙ্গে সাহিত্য অর্থাৎ সন্মিলন চাওয়া,--নদীতীরে সেই সুর্যাস্ত-আলোকে মহিমাঙ্কিত দিনবসনিকে সমস্ত বনের সঙ্গে মিলিত করতে চাওয়া। এই চাওয়া আপনার অবরোধের মধ্য থেকে আপনাকে বাইরে আনতে চাওয়া । বঙ্ক দাড়িয়ে আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বলের প্রস্তে সরোবরের তটে, সূর্য উঠচে আকাশে, আরক্ত রশ্মির স্পর্শপাতে জল উঠচে ঝলমল ক'রে—এই দৃশ্বের সঙ্গে নিবিড় ভাবে সন্মিলিত আপনার মনটিকে ঐ বক কি চাইত জানে ? এই অশ্চির্যা চাওয়ার প্রকাশ সানুষের সহিতো। তাই ভর্তৃহরি বলেচেন, কে-আমুল সাহিত্যসঙ্গীতকল’বিহীন সে পশু, কেবল ত’র পুচ্ছবিীণ নেই এই মাত্র প্রভেদ। পশুপক্ষীর চৈতন্ত প্রধানত আপন জীবিকার মধ্যেই বন্ধ— মামুণের চৈতষ্ঠ বিশ্বে মুক্তির পথ তৈরি করচে, বিশ্বে প্রসারিত করঢ়ে নিজেকে-সাহিতা তরি একটি বড় * 1 আমি যে-টেবিলে বসে লিখfচ তীয় একধারে এক পুষ্পপাত্রে আশ্বে রজনীগন্ধীর গুচ্ছ, আর একটাতে আছে ঘন সবুক্ত পীতাঁর কাকে ফঁাকে সাদা গন্ধরাজ । লেথবীর কাজে এর প্রয়োজন নেই । এই অপ্রয়োজনের আরোজনে আনার একটা আত্মসম্মীনের ঘোষণা আছে মাত্র। ঐtটতে আমার একটা কথা নীরবে ররে গেছে ; সে এই যে, জীবনযাত্রার প্রয়োজন আনার চারদিকে আপন নীরস্থ, প্রাচীর ভুলে আমাকে আটক করে নি। আমার মুক্ত স্বরূপ আপনাকে প্রমাণ করচে ঐ ফুলের পাত্রে । চৈতন্ত যাঁর বন্দী, বিশ্বের সঙ্গে যথার্থ সাহিত্যলাভের মাঝখানে তাঁর বাধা আছে—তায় রিপু, তাঁর দুৰ্ব্বলত, তার কল্পনাদৃষ্টির অন্ধতা। আমি বন্দী মই, আমার ধ’র গোলা, তাঁর প্রমাণ দেবে ঐ আনবিখ্যক ফুল ; ওর সঙ্গে যোগ বিশ্বের সঙ্গে যোগেরই একটি মুক্ত বাতায়ন । ওকে চেয়েচি সেই অহৈতুক চাওয়ায় মানুন বীতে মুক্ত হয় একান্ত অবস্তিকতা থেকে । এই আপন নিষ্কাম সম্বন্ধটি স্বীকায় করবার জন্তে মানুষের কত উদ্যোগ তীয় সংখ্যা নেই। এই কথাটাই ভালো করে প্রকাশ করবার জন্তে মানবসমাজে রয়েচে কত কবি, কত শিল্পী । সদাতৈরি নতুন মন্দির, চুনকাম করা। তার চারদিকে KSYBBS BBBS BSB BBB BBB BBBBB