পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাত্র- . সাহিত্যের তাৎপৰ্য্য - ప్రిలికి না। মানুষের সংসারে স্বত্ববহুল বৈচিত্র্য আমাদের উদূত্রাস্ত করে দের। যদি তায় কোনো একটি প্রকাশকে স্পষ্টৰূপে হদয়গমা করতে হয় তা হ’লে আtটষ্টের সুনিপুণ কল্পনা চাই। অর্থাৎ বাস্তবে যা আছে বাইরে, তাকে পরিণত করে তুলতে হবে মনের জিনিষ করে। আটষ্টের সামনে উপকরণ অষ্টছে বিস্তর—সেগুলির মধ্যে গ্রহণ বর্জন করতে হবে কল্পনার নির্দেশ মতে । তার কোনোটাকে ঘাড়াতে হবে, কোনোটকে কমাতে, কোনোটাকে সামনে রাখতে হবে, কোনেfটাকে পিছনে । বাস্তবে যা বাহুলোর মধ্যে বিক্ষিপ্ত তাকে এমন ক’রে সংহত করতে হবে যাতে আমীদের মন তাকে সহজে গ্রহণ করে তার সঙ্গে যুক্ত হ’তে পাবে। প্রকৃতির স্বাক্টর দূরত্ব থেকে মানুষের ভাষায় সেতু বেঁধে তাকে মৰ্ম্মক্ষম নৈকটা দিতে হবে, সেই নৈকটা ঘটায় ব’লেই সাহিত্যকে আমরা সাহিত্য বলি। - মানুষ যে-বিশ্বে জন্মোচ তাকে দুই দিক থেকে কেবf আত্মসাৎ করবার চেষ্টা করচে। ব্যবহারের দিক থেকে আর ভাবের দিক থেকে । অীগুন বেথানে প্রচ্ছন্ন মেধানে মানুব জলিল আগুন নিজের হাতে, আকাশের আলো যেখানে অগোচর, সেখানে সে বৈদ্যুতিক আলোককে প্রকাশ করলে নিজের কৌশলে, প্রকৃতি আপনি যে ফলমূল ফসল বরাদ্দ করে দিয়েচে তার অনিশ্চয়তা ও অস্বচ্ছলতা মে দূর করেড়ে নিজের লাঙলের চাত্ত্বে ; পৰ্ব্বতে অরণ্যে গুহাগহবরে সে বাস করতে পাৱত, কয়ে নি ; সে নিজের সুবিধা ও রুচি অক্ষসীরে অপেন মাস আপনি নিৰ্ম্মাণ করেচে। পুথিবীকে সে অযাচিত পেয়েছিল। কিন্তু সে পুথিবী তার ইচ্ছার সঙ্গে সম্পূর্ণ মিশ খায় নি, তাই আদিকাল মেকেই প্রাকৃতিক পুথিবীকে মানব বুদ্ধিকৌশলে আপন ইচ্ছানুগত মানবিক পৃথিবী কয়ে ভুলচে-মে ভূল্পে তার কত কলবল, কত নিৰ্ম্মাণনৈপুণ্য । এখানকার জলেস্থলে আকাশে পুথিবীর সর্বত্র মাহুষ আপন ইচ্ছাকে প্রসারিত করে দিচ্চে । উপকরণ পাচ্চে সেই পুথিবীরই কাছ থেকে, শক্তি ধার করচে তারই গুপ্ত ভাওরে প্রবেশ করে । সেগুলিকে অীপন পথে আপন মতে চালনা করে পুথিবীর রূপান্তর ঘটিয়ে

    • ーネ

দিচ্চে। মানুষের নগর-পল্লী শস্তক্ষেত্র উদ্যান হাট-বাট যাতায়াতের পথ প্রকৃতির সহজ অবস্থাকে ছাপিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে উপ্‌চে। পৃথিবীর নানা দেশে ছড়ানো ধনকে মায়ৰ এক করেচে, নানা স্থানে বিক্ষিপ্ত শক্তিকে সে সংহত করেচে, এমনি ক’রে দেশ-দেশাস্তরে পৃথিবী ক্রমশই অভিভূত হরে আত্মসমপণ করে আগচে মানুষের কাছে। মানুষের বিশ্বজয়ের এই একটা পালা বস্তুজগতে ; ভাবের জগতে তায় অাছে আর একটা পালা। ব্যাবহারিক বিজ্ঞানে একদিকে তার জয়স্তম্ভ, আর একদিকে শিল্পে সাহিতো। । যেদিন থেকে মানুষের হাত পেয়েচে নৈপুণ্য, তার ভাষা পেয়েচে অর্থ, সেইদিন থেকেই মানুষ তার ইন্দ্রিস্থবোধগম্য জগৎ থেকে নানা উপাদানে উদ্ভাবিত করচে তার ভাবগম্য জগৎকে । তাঁর স্বরচিত ব্যাবহারিক জগতে যেমন এখানেও তেমনি ; অর্থাৎ তার চারদিকে বা তা যেমন তেমন ভাবে রয়েচে তাকেই সে অগত্য স্বীকার করে নেয় নি। কল্পনা দিয়ে তাকে এমন রূপ fদয়েচে হৃদয় দিয়ে তাতে এমন রস দিয়েচে ঘাতে সে মানুষের মনের জিনিষ হরে তাকে দিতে পারে শুনিশ। । তাবের জগৎ বলতে আমরা কী বুকি ? খায় যাকে উপলব্ধি করে বিশেষ রসের যোগে ; অনতিলক্ষ্য यह অবিশেষের মধ্য থেকে কল্পনার দৃষ্টিতে যাকে আমরা বিশেষ ক'রে লক্ষ্য করি, সেই উপলব্ধি করা সেই লক্ষ্য করাটাই যেখানে চরম বিষয় –সৃষ্টান্ত স্বরূপে বলছি জ্যোৎস্না-রাৰি। সে রাত্রির বিশ্যে একটি রস আছেমনকে তাঅধিকার করে। শুধু রূপ লয়, রূপ আছে তার, দেখি তা কল্পনার চোখে । গাছের ডালে, বনের পথে, মাড়ির ছাদে, পুকুরের জলে নান ভঙ্গীতে ভার আলোছায়ার কোলাকুলি, সেই সঙ্গে নানা ধ্বনির মিলন, পার্থীর বাসায় হঠাৎ পাখা-বাড়ার শম্ব, বাতাসে বশিপাতায় ঝরঝরাণি, অন্ধকারে আচ্ছন্ন ঝোপের মধ্য থেকে উচে বিধিনি নদী থেকে শোনা বা ডিৰি চলেচে তারি ধাড়ের বপূবপূ, দুরে কোন বাড়িতে কুকুরের ডাক, বাতাসে অদেখা অজানা ফুলের মৃদ্ধ গন্ধ যেন প৷ টিপে টিপে চলেচে, কখনো তারই মাঝে মাঝে নিঃশ্বসিত হয়ে উঠুচে জানা ফুলের পরিচয়, বহু প্রকারের স্পষ্ট ও অস্পষ্টকে এক করে নিয়ে জ্যোৎস্নায়াত্রির একটা স্বরূপ J -