পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q98>. দৈতাৰি ঘরের দেওয়ালের দিকে বিপন্নমুখে চেয়ে দ্বাড়িয়ে ब्रहेण ! মেজধাৰু হঠাৎ আমার ডেস্ক থেকে রুলটা তুলে নিয়ে তাকে হাতে, পিঠে ঘা-কতক বসিয়ে দিয়ে বললেন—ষ্ট পিণ্ড পাঞ্জি, বসে বসে, শুধু মাইনে থাবে ? এক ডজন চাকর যাঁড়িতে মইনে দিয়ে রাখা হয়েচে শুধু ফাকি দেবার জন্তে ? পাড়ো ছবিগুলো এক-একথান ক’য়ে--পাড়ো আমার সাযুনে-- দৈতরির সে রুলের ঘা বেল আমার পিঠেই পড়ল। আমি ভয়ে ভয়ে দৈতারিকে ছবি পাড়তে সাহায্য করতে শ}গলুম-আবি সীমান্ত মাইনের চাকুরি করি। মেজবাবু আমাকেও যেন ঠেস্ দিয়ে কথাটা বললেন। তারপর আধঘণ্টা তিনি ঘরে দাড়িয়ে রইলেন—আমি ও দৈতরি র্তার সামনে সমস্ত ছবিগুলো একে একে পেড়ে পরিষ্কার করলাম। সহিস ক’রে ৰেল মাথা তুলে চাইতেই পারলাম না, যেন আমি নিজেই ছবির তদারক ল’ ক’রে প্রকাও অপরাধ করে ফেলেটি । - i. - সেইদিন প্রথম বুঝলাম আমার মত সমান্ত মাইনের শোকের কি থতির-অীর কি মান এদের কাছে । সীতার বিয়ের যদি একটা বন্দোবস্ত করতৃে পারি তবে আবার পড়বো । ছোটবৌঠাকুরুণের কথা এই সময় মনে হ’ল—শৈলদির কথাও মনে পড়ল। কত ধরণের মানুষই আছে সংসারে। অমরনাথ বাবুর বৈঠকখান আবাদের ঘরের সামূনে। খুর্য সৌধীন জিনিষপত্র সাজানে এবং প্রত্যেক দিনই কোননীকোন সৌধীন জিনিষ কেন লেগেই আছে। সেঘরে রোজ সন্ধ্যার পরে বন্ধুবান্ধবের এসে গানের আড বসায়—কেউ ডুগী-তবলা কেউ হাৰ্ম্মোনিয়াম বীজীয়-গান-বাজনায় অমরনাথ বাবুর খুব ঝোক । সে-দিন আড়াইশো টাকার একটা গানের যন্ত্র রাখবার কাচের অলিমারী কেনা হ’ল। তিনি কলেজের ছাত্র বটে, কিন্তু আমি পড়াশুনে করতে একদিনও দেখিনি র্তীকে। একদিন বেলা দশটার সময় অমরনাথ বাবু ঘরে টুকে বললেন-ওহে, পাঁচটা টাকা দাও তে, আছে তোমার কাছে ? আমি প্রথমটা অবাক হয়ে গেলাম। আমার কাছে ৫গ্ৰবাসী ; ఫినDBS টাকা চাইতে এসেচেন ছোটবাবু ! ব্যস্তভাবে আমার বাক্সট খুলে টকা বার ক’রে সসম্বুমে তার হাতে দিলাম। দিনকতক কেটে গেল, আর একদিন ছোটবাবু আবার তিনটে টাকা চাইলেন । মইনের টাকা সব এখনও পাইনি —দশট টাকা বোটে পেয়েছিলাম—তা থেকে দিয়ে দিলুম আট টাকা । দু-তিন মাসে ছোটবাবু আমার কাছে পচিশটা টারণ নিলেন—বাড়ির ও আমার খুচয়ে হাতখরচ বাদে বা-কিছু বাড়তি ছিল, সবই তার হাতে তুলে দিলাম। একদিন দাদা চিঠি লিথলে—তার বিশেয দরকার পনেরটা টাকা যেন আমি পাঠিয়ে দিই। আমার হাতে তথন মোটেই টাকা নেই। ভবিলুম, ছোটবাবুর টাকাটা দেওয়ার তো কথা এতদিনে—দিচ্চেন লা কেন ? বড়মানুষের ছেলে, সামান্ত টাকা খুচরো কিছু কিছু ক'রে নেওয়া, সে &র মনেই নেই বোধ হয় । লজ্জায় চাইতেও পারলাম না। অগত্য যারোটা টীকা আগাম পাওয়ার জঙ্গে একটা দরখাস্ত করলুম। সেদিন আপিসে আবার:বলেচেন মেক্সরাবু দরখাস্ত পড়ে আমার দিকে চেয়ে বললেন–কি হবে তোমার আগাম টাকা ? - মেজবাবুকে আবার বড় ভয় হয়। বল্লুম-দাদা চেয়ে পাঠিরেচেন, হাতে আমার কিছু নেই তাই। মেজবাবু বললেন—তুমি কতদিন সেরেস্তায় কাজ করচ ? চার মাস সোটে ? না এত কম দিনের লোককে এ্যাডভান্স দেওয়া, ষ্টেটের নিয়ম নেই-তা ছাড়। তুমি তো এখনও পীক বাহাল হওনি—এখনও প্রেবেশনে আছি । কই, চাকুরিতে ঢোক্বার সময় সে-কথা তো কেউ বলেনি ধে আমি প্রোরেশনে বাহাল হচ্চি বা কিছু। যাই হোক, দরখাস্ত ফিরিয়ে নিরে এলাম। দাদকে টাকা পাঠানো হ’লই না, এদিকে ছোটবাবুও টীকা দিলেন ন}, ভূলেই গিয়েচেন দেখচি সে-কথা। প্রথবে এখানে আস্বার সকয় ভেবেছিলাম এরা কোন দেবস্থানের সেবায়েত, সাধুমেহস্তি মানুষ হবেন—ধৰ্ম্মের একটা দিক এদের কাছে জানা বাবে—কিন্তু এর ঘোর বিলাসী ও বিধয়ী, এখন তা বুঝচি। মেজবাবু এই চার মাসের মধ্যে এটর্ণির ঘড়ি পাঠিয়েচেন আমার যে কতদিন, কোথায় জমি নিয়ে