পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@lgi , - - দৃষ্ট্রি-প্রদীপ 89 ইমূগ্রন্ডমেন্ট টু ষ্টের সঙ্গে প্রকাও নৌকদমা চলুচে—এ যাদে কুস নায়েব তো প্রায়ই দেশ থেকে আপীলের কেসু আনুচেই। মেজবাবু মামূলা-মোকদখা নাকি খুব ভাল বোঝেন, কুঞ্জ নায়েব সেদিন বলুছিল । 추: অপরে কি ক’রে দুৰ্ম্মানুষ্ঠান করে, ভীরা কি মানে, কি বিশ্বাস করে, এ-সব দেখে বেড়াতে আমীর বড় ভাল লাগে । একদিন হাওড়া পুলের ওপরে হেঁটে অনেক দূর বেড়াতে গেলুম। একজায়গার একটা ছোট মন্দির, জায়গাটপাড়াগ মৃত, অনেক মেয়েরা জড় হয়েছে, কি পূজো হচ্চে। আমি মন্দির দেপে সেখানে দাড়িয়ে গেলাম-দেবতার স্থান, পূজাঅৰ্চনা হতে দেখলে আমার বড় কৌতুহল হয় দেখবার ও জনবর জষ্ঠে । একটা বড় বটগাছের তলায় ছোট্ট মন্দিরটা বটের ঝুরি ও শেকড়ের দৃঢ়বন্ধনে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধামন্দিরের মধ্যে সি দুর-মাধানে গোল গোল পাথর, ছোট একটা পেতলের মুৰ্ত্তিও আছে । শুনলাম যষ্ঠদেবীর মূৰ্ত্তি। বাড়ি থেকে মেয়েরা নৈবিদ্যি সাজিয়ে এনিচে, পুরুতঠাকুর পূজো ক’য়ে সকলকে ফুলবেলপতা নিৰ্ম্মলা দিলেন—ছেলেমেয়েদের মীথীয় শাস্তিঞ্জল ছিটিয়ে দিলেন । সবাই সাধ্যানুসারে কিছু কিছু দক্ষিণ দিলে পুরুতঠাকুরকে, তারপর নিজের নিজের ছেলেমেরেদের নিয়ে নৈবিদিার, খালি থালা হাতে সবাই বাড়ি চলে গেল। কাছেই একটা পুকুর, পুরুতষ্ঠাকুর আমার হাতেও দুধানা বাতাসা ও ফুলবেলপাতা দিয়েছিলেন—বাতাসা দুখানা থেরে পুকুরে জল থেলাম-ফুলবেলপাত পকেটে রেখে দিলাম। ছোট্ট গ্রামখানা—দূরে রেলের লাইন, ভাঙা পুকুরের ঘাটট নির্জন, চারিধারেই বড় বড় গাছে ঘেরাশাস্ত, স্তন্ধ অপরাহ্ল-অনেক দিন পরে এই পূজোর ব্যাপারট, বিশেষ করে বেয়েদের মুণে একটা ভক্তির ভাব, পূজোর মধ্যে একটা অসাড়ম্বর সরলা আমার ভাল লাগল। হাওড়া-পুল পার হয়েছি, এক জায়গায় এক জন তিখারিণী আম-অন্ধকারের মধ্যে চেচিরে কীর সঙ্গে ঝগড়া করচে আর কঁদিচে । কাছে গিয়ে দেখলাম ভিখারিণী অস্থ বেশ বস1 রং, হিন্দুস্থানী— বৃদ্ধ না-হলেও প্রৌঢ় বটে। তার সামনে একখানা। ময়লা নাকৃড়া পাতা—সেটাতে একট।পলাও নেই-গোট-- ঘই টিনের তাল তোবড়া মগ, একটা ময়লা পুটুলি, একটা ভাড়–এই নিয়ে তার কারবার। সে একটু সাত-আট বছরের মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া করচে-হিন্দীতে বলুচে–তুই শমন ক’রে মারলি কেন ? তোকে আমি ভিক্ষে જત থাইরে এত বড়টা করলাম আর তুই আমাকেই মার দিতে হরু করলি—আমার কপাল পোড়া, নইলে নিচের পেটের সস্তান এমন বন্ধ হবে কেন ? দ্বাধি দিকি কি দিয়ে মারলি, কপালট কেটে গেছে—যেয়েট হি হি ক’রে হাস্চে এবং কৌতুকের সঙ্গে রাস্তা থেকে ধুলোমালি গোয় - কুড়িয়ে ছুড়ে ছুড়ে মাকে মারছে। -- আমি বেটােকে একটা কড়া ধমক দিয়ে বললাম– ফের মাকে যদি অমন করবি, তবে পুলিলে ধরিয়ে দেবো। • পকেটে হাত দিয়ে দেখি, আনা-সীতেক পয়সা আছে— সেগুলো সব তার মস্থল নেকৃড়াথানার রেখে দিয়ে - তুমি কেঁদে না বাছ-আমি আবার কাল এসে তোমায় BBB BBB BBS BBB BBD DD DBBBS ধদি মারে তো বলে দিও, কাল আমি দেখে নেবেএমন ছন্নছাড়া করুণ দুরবস্থার রূপ জীবনে কোনদিন দেখিনি। পরদিন হাওড়াপুলে গিয়েছিলাম কিন্তু সেদিন বা আর কোনদিন সেই অন্ধ ভিখারিণীর দেখা পাইনি i ই তাকে কত খুঞ্জেছি, ভগবfম জানেন। প্রতিদিন শোবর আগে তার কথা আমার মনে হয়। - মনে মনে বলি, অfটম্বরীর বটতলীয় তোমায় প্রথম দেখেছিলুম ঠাকুর, তোমার মুখে অত করুশ মাখানে । মানুষকে এত কষ্ট দাও কেন ? তা হবে দা, তার ভাল । করতেই হবে তোমার, তোমার আশীৰ্ব্বাদের পুণ্যধারায় তার সকল দুঃখ ধুয়ে ফেলতে হবে তোমাকে । এর মধ্যে একদিন কালীঘাটের মন্দিরে গেলুম। সেদিন বেঞ্জার ভিড়—কি একট। তিথি উপলক্ষে মেলা ধত্রিী এসেচে। মেয়ের পিষে বীচে ভিড়ের মধ্যে অথচ কেউ ওদের সুবিধে-অহবিদে দেখবার নেই। আমার সামনেই একটি তরুণী বধু হেঁচিট খেয়ে পড়ে গেল—আমি এক জন প্রৌঢ় বিধবাকে বললাম—গেল, গেল, ও মেয়েটির - - ിച് – _