পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GIदीं “কে ? তোমার কেউ ?” “আমারই মাসতুতে শালী—” বলিয়া অশ্বিনী যুদ্ধ হস্তি করিল। “ব—টে । তাহোক। মেয়ে দেখুতে শুনতে ভাল আর বয়স্থ হ'লে অfপঞ্জির কি ? জানই ত আগের ছু পক্ষ—” বfলতে বলিতে ডাক্তার উঠিয়া পড়িলেন। অশ্বিলীও পুলকিত অন্তরে বহির হইল। ডাক্তায় ; তাহার উপর বড়লোক-কুটুম্বিত ভাগ্যের কথা । বাইবারকালে বলিল—“সপ্তাহখানেক পরে পাক খবর দেব।” চাদরধান কঁধে ফেলিতে ফেলিতে ডাক্তার বলিলেন— مــــ"gه বাহিরে শিবিক প্রস্তুত ছিল । তিনি তাহাতে গিয়া উঠিলেন। বিবাহের মত বিরাট ধ্যাপারে, সাত ধিন কিছুই নয়। কিন্তু ঐ সাত দিন লা কাটিতেই গ্রামের সকলে শুনিল, কালী-ডাক্তারের গৃহে সীনাই বাজিতেছে । বাৰ্ত্তাটি অতিমাত্রীয় চমকপ্রদ। সকলে আরও শুনিল, জেলাশহর হইতে বাদ্যভাণ্ড, আদিতেছে, কৃষ্ণপুর প্রভৃতি গ্রামে দধি-মিষ্টান্ন ও আতসবাঞ্জীর ফরমাস গিয়াছে। এরূপ সমারোহ-ধ্যাপার মামুদপুয়ে বহুদিন যাবৎ হয় নাই। অশ্বিনী গিয়াছিল জেলাশহরে । গ্রামে ফিরিয়া সংবাদপ্রাপ্তি মাত্র ডাক্তারের গৃহে ছুটিয়া আসিল, কিন্তু শুনিয়া আশ্বস্ত হইল, বিবাহ ডাক্তারের নয়, তাহার কন্ঠার। পাত্র ঐ মামুদপুর ফৰ্ম্মেসার ডাক্তার—নবীন ছোকরাটি। অশ্বিনী জানিত কল্পিী ডাক্তার ছোকরাটিকে দেখিতে পারে না, ব্যবসারে তঁহীর প্রতিদ্বন্দ্বী বলিয়া তহ্যের প্রতি বিরক্ত । কিন্তু ভাগ্যের কথা কে বলিতে পারে ? ছোকরাটি যথার্থ ভাগ্যবানু। মুম্বী পত্নী লাভ করিতেছে, তাহার উপর কালী-ডাক্তারের বাবতীয় সম্পত্তিও তাহার । আবার মনে মনে তারিফ করিল, কালী ডাক্তারের বুদ্ধিকে । তিনি সপ বধ করিলেন অথচ তাহার বৃষ্টিখানি কেমন অটুট ও নিটেল রহিল। শ্রবণ মান। সেদিন আবীর দুর্যোগ । পুষ্করিণী ও ভেবে কয়টি ভাগিয়া গ্রাম্যপথ তলাইয়া গেল। বৃষ্টি ও পুরুষস্য ভাগ্যম ᏔᎲᏜ মাতাসের তাড়নায় অমন শুভকৰ্ম্মটিও পণ্ড হুইবার উপক্রম। কিন্তু শেষ পর্যস্ত বিবাহ হইল, নিমন্ত্রিত-অভ্যাগতগণ আকণ্ঠ পুরিয়া আহার করিল, বিস্তুর অপচয় ঘটাইল এবং আহারাস্তে কিছু কিছু সঞ্চয় করিয়া গৃহে লইয়া গেল। বরবধুও পরদিন সঙ্গল মেঘসমাচ্ছন্ন আকাশকে সানাইয়ের ক্রমনরোলে আরও উত্তলা করিয়া গ্রাম্যপথে বাহির হইয়া নূতন ডাক্তারের নূতন গৃহোদেশে ধাত্রা করিল। কালী-ডাক্তার কস্তার জন্ত আশ্র মুছিলেন কি না জানি না, কিন্তু পরদিন আশ্বিনীকে নিভৃতে লইয়া বলিলেন—“কতদূর ? খবর এল ? না হয় অচ্চত্র-” “ব্যস্ত হবেন না। পাস্ত্রীট পরম সুন্দরী থাকে সেই ডিব্ৰুগড় । ওদিকটা আবার ভেসে গেছে - চিঠি মৗসতে একটু সময় নেবে বই কি ” “ওটা ছেড়েই দাও, অশ্বিনী । আমি একটির লঙ্কান পেয়েছি। আজ আর কথাবাৰ্ত্তার সময় নেই, এপুনি কেষ্টপুর ধেতে হবে। কাল এস । খবরাখবর তোমাকেই নিতে ’’--taچ কাণী-ডাক্তার রওনা হইলেন । কয়দিনের পরিশ্রবে শরীর ভাল ছিল না, মনও মুগড়ি৷ পড়িয়াছে । একবার মনে হইল ধাইবেন না ; কিন্তু মোট ফি, এদিকে বেহারীরাও গ্রামপ্রাস্তে জামিয়া পৌঁছিয়াছে। সামনে মুচিপাড়া—তাহার পরই খোলা রাস্তা । বেহরিার ভাহীর মধ্য দিয়া রাস্তায় আসিয়া পড়িল । সুদীর্ঘ পথ আঁকিয়া-বাকিয়া চলিয়া গিয়ছে। স্থই পার্থে ঘন ঝোপজঙ্গল, তাহার ওধারে বর্ষার জলপুর্ণ খাল । খালের পর যতদূর দেধ ধীয় ধান ও পটিক্ষেত। স্থানে স্থানে ধান ও পাট গাছগুলি অর্ধমগ্ন । থালের জলে কলমী, হেলঞ্চ ও খন শালুক বন । শালুকফুল এখনও ফুটে নাই, কলিকাগুলি মাখ তুলিয়াছে মাত্র। এক জায়গার কয়েকটি পানকৌটি ডুব দিয়া খাদ্যসংগ্ৰহ করিতেছিল । ধীমে ঘল বাশবন । তাহার এক শীর্ণ শাখার একটি মাছরাঙা জলের দিকে তাকাইয়া স্থির হুইয়া বসিয়া সাঁছে। বহুদূরে কয়েকটি গরু ক্ষেত পার হইতেছিল । এপথে কালী-ডাক্তার বহু বৎসর ধরিয়া বহুবার যাতায়াত f