পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা দশে প্রতীগ শিক্ষার প্রকৃত গোড়াপত্তন হ’ল ১৮৩৫ সালে। ঐ সময় থেকে প্রায় একশ বছর ধরে এই শিক্ষার ধারা অপ্রতিহতভাবে চলেছে। প্রথমে এল স্থল-কলেজ, তার পরে স্থাপিত হ’ল বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে আমরা পাশ্চাত্য শিক্ষার যোগ পেলাম, আর নেই বিদার জোরেই ডাক্তারী, ওকালতী, এবং নানা রকমের উপার্জনের পথগুলি আমাদের পক্ষে উন্মুক্ত হ'ল। লেখা-পড়ার আসল উদ্বেগু জনাৰ্দ্ধন, এ-কথা খুব কম লোকের পক্ষেই খাটে ; বেশীর ভাগ লোকেই অর্থেপঞ্জনের আশার এই নতুন শিক্ষা এতদিন পেয়ে এসেছেন। আজ কিন্তু এই শিক্ষার প্রয়ােজনীয়তা সম্বন্ধে অনেকের মনেই সঙ্গেহ উপস্থিত হয়েচে। ফেবিদ্যার অন্নবস্ত্রের সংস্থান হয় না, সে-বিদ্যার বোঝা বহন ক’য়ে লাভ fক ? অর্থনৈতিকৃগণ যার টাকার মাপকাঠি দিয়ে সমস্ত জিনিবের পরিমাপ কয়ে থাকেন তাদের মতে বিএ অথবা বিএসসি ডিগ্রী পেতে আজকাল যত খরচ পড়ে সেই টাকাটাও একজন সাধারণ গ্ৰাছটে অনেক সময়ে সমস্ত জীবন ধরে ছোজগার করতে পারেন না। শুধু টাকার দিক দিয়ে কেন, অন্তান্ত দিক দিয়েও বর্ধমান যুবকদের সামান্ত রোজগার অথবা মেকার অবস্থার বিষময় ফল বড় কম নয়। শিক্ষিত যুবকদের বেকীর সমস্তাই যে বিপ্লবী অনাচারেরও একটি মূল কারণ এ-কথা অনেকেই আজকাল স্বীকার করে থাকেন। তাই এই বেকার-সমস্তার সমাধান সম্বন্ধে নানা আলোচনা মুরু হয়েছে। কিন্তু এই সমস্তার প্রসার এবং গুরুত্ব সম্বন্ধে মতভেদ আছে । ১৯৩১ সালের আদমসুমারি অনুসারে বাংলা দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা মাত্র ৩৫২১ । পাচ কোট লোকের তুলনার এই সংখ্যা নগণ্য। এমন কি এদেশে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা অনুসারেও সাড়ে তিন হাজার - - আমাদের শিক্ষা ও অন্ন-সমস্যা ডক্টর ঐযোগীশচন্দ্র সিংহ বেকার বেশী নয়, কিন্তু শিগিভ বেকারের সংখ্যা কি সস্তা সত্যই এত কম ? বেকরের বীমা ধ'লে কোন ব্যবস্থা আমাদের দেশে নেই সেইজন্ত তাদের সংখ্যা নিভুল ভাবে নির্ণয় করা কঠিন । “আমি বেকার” এ-কথা বলুলে যদি চাকরি না নেলে ভবে কোনও মেকার লোকই সে-কথা স্বীকার করবেন না—এটাই স্বাভাবিক। অজিকাল অনেক উকিল ও অন্তান্ত ব্যবসায়ীও যে প্রকৃতপ্রস্তাবে মেকার এ-কথা আদমশুমারির সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট সাহেব লক্ষ্য করেচেন কিনা জানি না ; কিন্তু তিনি বেকারেয় যে সংখ্যাট দিয়েছেন, সেটা যে ঠিক এ-বিয়ে উার নিজেরই যথেষ্ট সন্দেহ আছে। শিক্ষিত বেকারের ংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের চেয়ে অনেক বেশী বলেই অনুমান হয়, যদিও ঠিক কত মেণী ভী বলা সম্ভবপর নয় । একটা উপায়ে এ-সম্বন্ধে কিছু নতুন তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে। ধারা অন্ততঃ সাত বছর আগে গ্রাজুয়েট হয়েছেন তাদের বাংলার মল্পিী সত্য-নিৰ্বাচনের ভোট আছে। এই সব গ্রাজুয়েটের একটা তালিকাও তৈরি হয়েচে । ঐ ভালিকাভূক্ত কত জন লেীক আয়কর টেক্স দেন এই খবরটা সংগ্রহ করা খুব শক্ত নয়। এর থেকে সহজেই বোঝা যেতে পায়ে ধে বি-এ, বি-এলুসি ডিগ্রী পাওয়ার সাত বছর পরেও শতকর। কয় জন গ্রাজুয়েটের আয় ৯৯৯র বেশী নয় এবং শিক্ষিত সমাজেয় অল্প-সমস্ত কিরূপ কঠিন। সকলেই জানেন যে কৃষিলন্ধ অীয় ছাড়া অন্ত যে-কোন আয় বছরে এক হাজার টাকা কিংলা ভার চেয়ে বেশী হ’লেই আয়কর দিতে হয়। শিক্ষার দিক দিয়ে এই আল্প-সমস্তার কোন সমাধান হতে পারে কি না সেই সম্বন্ধেই আজি ঘুই-চারটি কথা বলতে চাই। কারুর কারুর মত একটা খুব সহজ উপায় হচ্চে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ ক’রে দেওয়া । তা হ’লেই