পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዬጎo প্রবাসী ; ఏ38ఏ | প্রয়ােজনীয়তা আছে। এটি কিন্তু আমি অর্থেপঞ্জিনের সুবিধা হবে বলে বলছি না। শিক্ষা যাতে প্রেকৃত শিক্ষণ হয়, শিক্ষাতে ঘীতে মানুষ তৈরি হয় এই ভেবে এ-কথাটা বলছি । ইংরেজ রাজত্বের প্রারস্তে যখন স্কুলকলেজ স্থাপিত হয় নি তখন প্রত্যেক চাকরির উমেদারেরই এক একখানি প্রকাও খাতা ছিল শুনতে পাই । যার থাতীয় যত বেশী ইংরেজী কথার মানে থাকৃতে তার মাইনে হ’ত তত বেশী । লেখাপড়ার সেই ধার। আজ পর্যন্ত চলেটে । আমাদের দেশে শিক্ষা দানে হচ্চে কতকগুলো খবর মুখস্থ ক’রে পরীক্ষায় পাস কর। এই তোতাপাধীর শিক্ষাই কি প্রকৃত শিক্ষণ ? এভে কি হাতের বা চোখের কোন শিক্ষা হয় ? জনগমের যার উন্মুক্ত না হলে জ্ঞানলাভ হবে কি করে এ-কথা আনকেই তেবে দেখেন না । অপর দিকে এই শিক্ষার ফলে হাতের কাজের ওপর ছাত্রছাত্রীদের একটা বিতৃষ্ণ প্রস্থায় এবং সব জিনিৰেই একটা ভাসা-ভাস। ভাব থাকে। সাধারণ বাঙালী পরিবারে নিয়মানুবৰ্ত্তিতার অভাবও এর জন্ত কতকটা দ্বাস্ত্রী । অনেক সময় দেখেচি বে ঘি-এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বেসব গ্রন্থকারের নাম অথবা অন্ত কোন কথা লেখা আছে, প্রশ্নপত্ৰখানা চোথের সামনে থাকা সত্ত্বেও অনেক পরীক্ষার্থী সেই বানানগুলোও ঠিককয়ে লিখতে পারেন না। এই তালকাণা ভাব অনেকট। কেটে যেতে পারে, যদি ছেলেবেলায় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সাধারণ লেখাপড়ার সঙ্গে কিছু কিছু হাতের কাজ শেধীনোর বন্দোবস্ত করা যায় । কোন কোন পাশ্চাত্য দেশে হাতের কাজ সমস্ত স্থলের ছাত্রদেরই করতে যাধা করা হয়ে থাকে । গত ত্রিশ বৎসর ধীরে বিলাতের অনেক স্কুলেই পেষ্টবোর্ডের জিনিষ, भूज़ि ठेउबाबैौ, যই বাধাই, কাঠের জিনিষ ইত্যাদি এক একটা হাতের কাজ শেখানোর বনাবস্ত হয়েচে । ছাত্রীদের জন্ত হাতের কাজ অব ভিন্ন রকনেয়, যেমন সেলাই, রাঙ্গা ইত্যাদি । পাঁচ বৎসর হল ইংলণ্ডে শতকর। আশটি স্কুলে এগার বছরের বেশী বয়সের ছেলেমেয়ে দর একটানা-একটা হাতের কাজ শেখানো হ’চ । এই প্রণালীতে ছেলেমেয়ে দর আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ে এবং হাতের ও চোখের শিক্ষাটাও ভাল হয়। এর আর একটা সুবিধ হ'চ্চে এই যে, ছেলেমেয়েদের অবসর-বিনোদনের একট। ভাল উপায় হয়। যখন লোকে কাজকৰ্ম্মে বাস্তু থাকে সে সময়ট ভাল ভাবে কাটান। খুব শক্ত নয়, কিন্তু অবসর সময় ভাল তাধে কাটানোই কঠিন। পরচার্চ করেই আমির। অনেকে অবসুর সময় কাটিয়ে থাকি । প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গ্রীক পণ্ডিত অ্যারিষ্টটল বলেছিলেন, ধে-বিষয় শিধলে অমর। সৎভাবে অবসর সময় কাটা ত পারি তা শিক্ষার একটি শ্রেষ্ঠ অঙ্গ। এ-কথাটা আজও অক্ষরে অক্ষরে সতী । আমাদের দেশে ছেলেদের অধিকাংশ স্থলেই ড্ৰয়িং ছাড়া আর কোন হাতের কাজ শেথানোর ব্যবস্থা নেই। বীরভূম জেলায় সুলতানপুরের উচ্চ ইংরেঞ্জী স্কুলে স্বতেীকাটা, কাপড় বোমা, কাপড় রং করা, কাঠের জিনিষ, কানারের কfক্ত, সাবান তৈরি প্রভূতি হাতের কাজ শেধীনো হয়, কিন্তু এরূপ স্কুলের সংখ্যা খুবই কম। মেয়েদের অনেক স্কুলেই আজিকাল সেলাই, রান্না ইত্যাদি শেখানোর ব্যবস্থা হয়েচে কিন্তু হাতের কাঞ্জের ওপর যতটা জেরি দেওয়া উচিত তা দেওয়া হয় না। প্রারই দেখন্ডে পাই যে অদ্যান্ত পড়াশুনার পরে শেষ ঘণ্টাতে, যখন ছেলেমেয়েদের কাজে কোন উৎসাহ থাকে না, তখনই এইসব শেখানো হয় । সেও আবার সপ্তাহে দু-এক ঘণ্ট মাত্র। সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে বাংলা দেশের স্কুলের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকেই এক-একটা হাতের কাজ শেখানোর উপযুক্ত ব্যবস্থা করা উচিত। অবশু কি কি জিনিষ শেখানো হবে সেট পারিপার্থিক অবস্থার ওপর নির্ভব কমে। যেমন পল্লীগ্রামের স্কুলে কৃষিবিদ্যা কিংবা বাগানের কাজ শেখানোই সহজসাধ্য হবে । চার বছর আগে কার্য্যোপলক্ষে যথন গোসাবার যাই, তখন সেখানকার গ্রামা স্কুলগুলিতে লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে উjতযেন ও কৃষিশিক্ষার বন্দোবস্ত দেখেfচ । এতেই যে শিক্ষার সমস্ত সমস্ত মিটে যায এ-কথ। বলা চলে না। যত দিন শিক্ষাতে মানুষ তৈরি না হবে ততদিন শিক্ষার গলদ আছে বুঝতে হমে। যদি শিক্ষার ফলে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক বৃত্তিগুলি পরিপুষ্টি লাভ করে