পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ @oi> এবং ভী.দর মন পারিপার্থিক অবস্থার সঙ্গে খুসেম্বন্ধ হয়, তবেই শিক্ষা ঠিকমত হচ্চে বুঝত হবে। ইতিহাস পড়ানো হ’ল, কি গণিত পড়ানো হ’ল-কুধি শেপানো হ'ল, কি শিল্প শেথানো হ’ল এইটেই সব থেকে বড় কথা নয়। এই প্রসঙ্গে আরও একটা কথা মনে রাখতে হবে। সেটা হচ্চে এই যে শিক্ষণ যদি কুশিক্ষাই হয়, শিক্ষার ফ:ে যদি মানুষ গড়েই ওঠ তবু যে বর্তমান অন্ন সমস্ত। একবীরে মিটে যাব এ ভরসা করা যায় না ; কারণ আয়-সমস্তার সমাধান নে:শর অর্থনৈতিক উন্নতির ওপরই অনেকট নির্ভর করে। দেশে যদি উৎপাদন ধথেষ্ট হয় এবং সেই উৎপাদনের বণ্টনও ঠিকভাবে চলে তব আজিকালকার শিক্ষা বা অশিক্ষা সত্বেও বর্তমান অল্প-সমস্তার আংশিক সমাধান হ’তে পারে । বঙ্গ এ-কথাটা বল। উচিত যে, শিক্ষার ফলে উৎপাদন ও বণ্টন প্রকৃষ্টভাবে হতে পায়ে, আর এর ফলে দেশে ধনবৃদ্ধি হ’লে সুশিক্ষরি ব্যবস্থা সম্ভবপর হব ; অর্থাৎ অর্থনৈতিক উন্নতি ও সুশিক্ষার বিস্তার একটি অল্পটির ওপরে নির্ভর করে । একচক্ষু হরিপের মত একদেশদণ হন্তে লাভ নেই। “স্পোর্টস্ম্যান” শ্ৰীনিৰ্ম্মলকুমার রায় গোপীনাথ কন্‌ষ্ট্রাকৃশন আপিস পদার্পণ করিয়াই সকলকে জানfইগ বে সে এক জন “ iন” । কিন্তু সমস্ত শহর ছাড়ির বধন সে তাহার একবিংশধর্মীয়া স্ত্রী ও তিন বৎসরের কণ্ঠ জানুকীক লইয়া রীর সাহেবের অমিবগানে বহু দিলর পরিত্যক্ত ঘড়ির একটা অংশে বলা নিল, ভধন অপিসের বধুত্ব একবাক্যে বলিল, লোকটার ধামায় ছিটু আছে।' এক ত বহুসংখ্যক আমগাছের নিবিড় পত্রাচ্ছাদনে চতুৰ্দ্ধিক একটা সাংসেঁতে অন্ধকার দিনরাত্রি ব্যাপিয়া বিরাজ করিত, তাহার উপর দেয়ালের পাশে প্রকাও একটা অশ্বখগাছ উঠিয়া এককালের এই সূপের দালানের উপর শুষ্কপত্র ও সংগৃহীত বৃষ্টিজল অবিশ্রাস্ত ভাব বর্ষণ করিত। মেরামতর অভাবে, শুষ্ক পত্রের পচনে এবং সকলের উপর অশ্বথমূলের শতধা নিবিড় নিপীড়নে ঘড়িটা খসিয়া খসিয়া পড়িতেছিল। গোপীনাথক ৮ মধনই ঘপুরা ভয় দেখাইয়া যলিত যে অচিরেই অশরীরী জীববিশ্যে ভৗহার বেহারী রক্ত পানে তুষ্ট হইব ভধনই সে অত্যন্ত নিৰ্ভীক ভাব উত্তর দিত, “কায়াডর , স্পোর্টস্ম্যান ভূতের ভয় করে না।” গোপীনাথ লোকটির বয়স ত্রিণের কাছাকাছি । ছাপরা জেলার বাড়ি, কিন্তু দেশে সে কথনও যার নাই। রেলের সাহেবদের কোন ক্লাবের বয়'-এর পুত্র সে। জন্মাবধি বাংলা দেশ এবং শৈশবাবধি সাহেবদের সংস্পর্শে মানুষ হওয়াতে তাহর মনে কাল বাঙালী ও সব সাহেব এ দুয়ের প্রীতি এক সাথে জন্ম/ইয়াছিল । সে বলিত মাঙালীমস্তিষ্কের ভুল মস্তিষ্ক চুল্লভ। সে ইহার কুরণস্বরূপ বাঙাণীর মৎস্ত-প্রতির উল্লেখ করিভ । মৎস্তের মধ্য ফসফরাস্ নামক পদার্থ থাকে । ইহার প্রভাবেই বাঙালীর বুদ্ধি উজ্জ্বল হইত উজ্জ্বলতর হয়। আচার-ব্যবহাঁয়ে চালচলনে সে সৰ্ব্বদাই বঙালীদের মত থাকিতে চেষ্টা করিত । তাহার কথাতে একটু টান ছাড়া হিন্দুস্থানীর কোন আভাস পাওয়া বাইত না । সাহেবদের সে শ্রদ্ধা করিত এই বলিয়। যে তাঁহাম্বের মত “স্পোর্টস্ম্যান” জগতে, আর নাই। সে নিজে টেনিস থেলিত ভাল ; বিলিয়ার্ডের সে মার্কার ছি* বহুদিন ; ঘোড়ার চড়িত সে চমৎকার ; নিজের এক-নল। গদা বলুক দিয়া সে বহুবার ‘হামারলেস ডাবলু ব্যারেল 'ইঙ্কটার বন্ধুকধারী সীহবদিগকে বিপদের হান্ত হইতে রক্ষা করিয়াছে ৷ ভীহার গায়ের ‘পুল-ওভার', পায়ের বুট স্থত, খুতর টেনিস বাট কেননা কোন স্পোর্টসান সাহেবের দেওয়া । শিশুকাল হইতে একটা দীরণ ভহিীর