পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՊՀ মনে বদ্ধমুল হইয়া গিয়াছিল বে পৃথিবীট একটা খেলার মাঠ। হীর-জিৎ এখানে লাগিয়াই আছে ; অতএব সমস্ত অবস্থা-বিপর্যায়কে খেলোয়াড়ের মত লওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ । সে বত্রতত্র এ-কথা বলিয়া বেড়াইত । অল্পকাল মধ্যেই কনট্রাকশন আপিসর প্রধর বুদ্ধিমান, অত্যন্ত মলস, বাহিরে অপিস ও ভিতয়ে পরিবার ভিন্ন পৃথিবীর যাবতীয় বিষয়ে অনাসক্ত খঙালী বাবুর গোপীনাথের এই দুৰ্ব্বলতা বুঝিরা লইল । কোনরূপ কষ্টসাধ্য, কেন রকম বিপজ্জনক কাল উপস্থিত হইল তাহারা গিয়া গোপীনাথকে স্বলিত-গোপীনাথ, এইরূপ বিপদ পড়িয়ছি ; তুমি ভ একজন স্পোর্টস্ম্যান, এ বিপদে রক্ষা না করিলে চলিবে না। গোপীনাথ তৎক্ষণাৎ বলিত, ‘নিশ্চয়ই । বাবুর তাবিত, বেটা ছাতুখোর বেহাল্পী, কোন বুদ্ধি-গুদ্ধি নাই।’ সে ভাবিত, আমি স্পোর্টলম্যান’ বলিয়াই লা আমার কাছে জ:লে । এইরূপে. রসিক ক্যাশিয়ারের ক্যাশ-ভঙে টাকা নিজের স্ত্রীর গহনা বন্ধক দিয়া ভৰ্ত্তি করিয়া, মদ্যপ ডেসপাচ’বাবু সঞ্জয়ের ছারাইয়া-যাওয়া চিঠি দশ ক্রোশ দূরে পারে ছটিয়া ৰিলি করিয়া, অকৰ্ম্মণ্য টাইপ-বাবুর রাশি রাশি চিঠি হাত নকল করিয়া গোপীনাথ নিজের ‘স্পোর্টস্ম্যান'গিরির পরিচয় দিভে লাগিল। বাহির হইতে দেখিলে মল হইত তাহার কোন ভাবনাচিত্তা নাই। মহিলা সে সকলের চেয়ে কম পাইত, খাকিত সে সকলের চেয়ে খারাপ বাড়িতে, তবু সে দিনের পর দিন একই ভাবে বুট পীয়ে দিয়া 'হাফপ্যান্ট’ ও ‘পুলওভার পরিয়া, টেনিস ব্যাট হাতে লইয়া ঘুরিয়া বেড়াইত । বাঙালী বাবুদের শত অত্যাচারেও যখন সে দমিল না, বরঞ্চ দিনের পর দিন তাহার স্পোর্টস্ম্যান-গিরি দেখাইবার সুযোগ পাইরা তাহীদের উপর কৃতজ্ঞ হইতে লাগিল, তখন তাহার কুদ্ধ হইয়া বলিল,—বাট নিৰ্ব্বোধ, কাণ্ডমাও জ্ঞানহীন। একমাত্ৰ নিৰ্ব্ব,দ্ধির কবচকুওল আশ্রয় করিয়া যেন মানুব সংসারের তাড়নাকে সুস্থ করিতে -পায়ে ! গোপীনাথের স্ত্রী নিজকে স্বভাবতই এরূপ স্বামীর শুযোগ্য মনে করিত। তথাপি সাঝে মাঝে সে বলিত ষে, এ ঠিক হইতেছে না। এভাবে চলাফেরা করিলে હ્યું કરાવ્યો છે ఎని83 | চলিবে না । বিশেষতঃ জানুকী ধখন হইয়াছে তখন একটু বুঝিয়া চলা উচিভ। লোকে তাহাকে বোক পাইয় ঠকাইতেছে । গোপীনাথ উত্তর দিত না ; কেবলই ভাবিত জানুকী তাহার মেয়ে না হইয়া ছেলে হইলে বড় ভাল হইত। ভবে ভীহাকে সে এমন করিয়৷ মানুষ কল্পিত যে সে যেন এক জন থ’টি ‘স্পোর্টস্ম্যম’ হয়। এক-এক বাৱ সে ভাবিত হোকু না সে মেরে। সে জানুকীর বিয়ে দিবে না। ভাহাকে সাথে সাথে রাখিয়া মানুব করিবে ; বল্লুক ছোড়া, ঘোঁড়ায় চড়া শিখাইবে । কল্পনার আবেগে লে কথন-বা স্ত্রীকে একথা বলিয়া ফেলিত । ভাহার স্ত্রীও বাঙালী বধুদের মত ভাবিত গোপীনাথের বুদ্ধি একটু কম ; তবে আহি বড় ভালমম্বিয f যে কষ্ঠ এক দিন, অবগুই কোন দিন ছাপর জেলার কোন চাপরাশি বয় কিংবা বড়-জোর কোন ছুতার, কামার, বা লাইন মিস্ত্রীর ঘরণী হইয়া নিয়মিত তাবে বরট পেধপূও সস্তান প্রতিপালন করিবে সে নাকি ঘোড়ায় চড়িবে, বন্দুক ছুড়িবে l বে-ঘটনা উপলক্ষ্য করিয়া গোপীনাথ হঠাৎ একদিন নিজকে সতাই এক জন স্পোটসম্যান’ বলিয়া মনে করিল এবং বাঙালী বাবুর। তাহার সম্বন্ধ একেবারে হতাশ হুইল তাহা সংক্ষেপে এই ৷ ডাক্তার বেলুগার্ড ও গোপীনাথ একদিন পার্থী শিকার করিতে গিয়াছিল। ডাক্তার বেলগার্ড কড়া ছকুধ fদয়ছিল গোপীনাথ যথন-তখন গুলি করিয়া যেন ভtহার শিকার নষ্ট না করে । দিনের শেবে শ-হুই কারটিজ খরচ করিয়া যখন বেলগার্ড পদ্মবিলের মধ্যে দুইটি পানকৌড়ি-শিশু নিপাতিত করিল, ভখন গোপীনাথকে য.ধ্য হইয়া অতিকষ্টে উহাদিগকে আনিতে হইল। ডাক্তার অত্যন্ত রুষ্ট হইয়া মত প্রকাশ করিল যে অভ কম কারটিজ ও অত ছোট পাল্লার বন্দুক লইয়া শিকার করিতে আস। নিতান্ত মুখতা। গোপীনাথকে ইহা স্বীকার করিতে হইল এবং দুই জনে ক্ষুণ্ণমনে শহয়ে কিরিয়া আসিল । গোপীনাথের কেরানী বন্ধুর প্রস্তুভ হইয়াই ছিল । সুবক্তা বলিয়া রসিক ক্যাশিয়ার বসিতে লাগিল, ও.ৰ স্পোটসম্যান, এদিকে ত সমস্ত দিন ধরে পানকৌড়ি শিকার করেচ, এদিকে বে ধরেই মস্ত বড় শিকার হয়েচে ।