পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্র - গিয়া ’মা’ মা বলিয়া চীৎকার করিত এবং মা ছুটিয়া আসিল হাসিয়া লুটোপুটি থাইত ও তাহকে বারংবার কাট পা-থানি দেখাইত । সুযোগ পাইলেই সে গোপীনাথের গল জড়াইয়া চুমো খাইত এবং নানাবিধ জনাবগুক প্রশ্ন করিত। কথন-বা পরম বিজ্ঞতার সহিত কহিত, বাবুজি, আর মোটরগাড়ীর পাছ যাব না, বড় দুখ লাগে । গোপীনাথ বতই ভাবিতে লাগিল যে জানুকীর কথা সে মোটেই ভাবিবে না ততই তাঁহীয় ভবিষ্য জীবনের চিন্তা তাহাকে উদ্বিগ্ন করিয়া তুলিল, যেৱে যদি মরিয়া যাইত তবে হয়ত দুঃখ আরও বেশী হইত, কিন্তু তাহ সাময়িক। সে দুঃখের তীব্রতা যতই বেশী হোক তার ব্যাপকতা কম। যুত প্রিয়জনের কথা স্মরণ করিস্থা কথন-বা তাহার উদ্দেশে শ্রদ্ধ বাৎসরিকী করিয়া, কবিতা বা গান রচনা করিয়া তৃপ্তি পাওয়া যায়, কিন্তু যে চিরকাল জীবন্মত হইয়া সমস্ত কর্যের কেন্দ্রমুলে পাযাণের মত চাপিয়া থাকে এবং পারিপার্থিক সমস্ত জীবনকে মুহুমুহু নিরানন্দের অতল গহবরে টানিতে থাকে তাঁহাকে সহ করা বড় কঠিন। ক্রমে এমন অবস্থা হইল ৰে গোপীনাথের মত স্পোর্টস্ম্যান’ বাপও নিজের অজ্ঞাতসারে কস্তার মৃত্যু-কামনা করিতে লাগিল । সে জ্ঞানিত ঘোড়দৌড়ের মাঠে কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রে লোকে আহত অশ্বকে গুলি করিয়া মারিয়া ফেলে, মানুষকে কি তেমন করা বায়ু না ? জানুকী দিসে দিনে অপুষ্টিকর আহার ও পানীয় এবং বদ্ধ আলোক ও বাতাস হইতে অত্যন্ত প্রবল আকর্ষণে জীবন-শক্তি সংগ্ৰহ করিয়া সুস্থ হইয়া উঠিতে লাগিল, কিন্তু গোপীনাথের স্ত্রী এ-অঞ্চলের বিখ্যাত ম্যালেরিয়া জরে শয্যাশায়ী হইল। ইহাতেও শেষ হইল না ; জরটা ক্রমশঃ টাইফয়েডের মত হইয়া দাড়াইল । ডাক্তার বেলগার্ড প্রথম যেমন সবুজ ভাবে বলিয়াছিল যে ব্যাপারটা কিছু নয়— ম্যালেরিয়া, উপযুক্ত পরিমাণে কুইনিন দিলেই সাবিয়া ধfইযে, তেমনি সহজ নিধিত্বকীয় ভাবে যলিল, বোধ হয় টাইফয়েড ; তবে ভাবনার কোন কারণ নাই; টাইফয়েডের চিকিৎসা নাই। গোপীনাথ তেমন নিৰ্ব্বিকার ভাবে কথাটা গ্রহণ করিতে পারিল না। স্পোটসম্যান - ప్రి* প্রথমটা সে ভাবিল ষে ব্যাপারটা এমন কিছু গুরুত্তর লয় । বারিাম হইয়াছে, চিকিৎসা চলিতেছে, ভাল হইবে । किढ़ पनेि ठॉन न झछ ? शनि भब्रिद्रा यांछ ? ठां श्गरे বা সে কি করিবে ? লোফ ত সবই মরে । মৃত্যুকে নিতান্ত খেলাচ্ছলে গ্রহণ করাই শ্ৰেয় । কিন্তু স্থানুকী, তার এই অঙ্গহীন কল্লা, এর উপায় ফি ? একে কে দেখিবে ? অবশেষে সে ডাক্তার বেল্গার্ডের বাংলোর গেল। ডাক্তার তখন হুইস্কির কাকে কাকে বর্ণী:চুরুট টানিতেছিল এবং "ব্রিচেস বুট লেগিং-শোভিত পদস্বয় সম্মুখে টেবিলের উপর স্থাপন করিয়া ডিটেকটিভ উপস্তান পড়িতেছিল। বিমর্ষ গোপীনাথকে দেখিয়া বলিল,—হালো গোপীনাথ, ব্যাপার কি ? শরীর ভাল ত ? গোপীনাথ একবার ইতস্ততঃ করিল। কথাট তুলিৰ ফি ? অসুখ কি কারও হয় না ? দিশেষতঃ সে জানিত যে খটি স্পোর্টস্ম্যানর স্বর্যাস্তের পরে-‘হোয়াইট লেবেল ও ব্ল্যাক এণ্ড হোন্নাইটের অস্বিাদের তারতম্য, কনটাক্ট’ ও ‘সকশন ব্রিজ খেলার ইতরবিশেষ, সাত বৎসর পূর্কেং আহুত কিন্তু হত নয় মাগরে’র দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের মাপ ইত্তে গত শনিবার ‘গল্ফ কোর্সের ত্রয়োদশ টতে কি দুর্ঘটনা হইয়াছিল তাঁহার বিবরণ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয় ছাড়া অন্ত আলোচনা করে না। সে কি-না এই সমরে তাহার স্ত্রীর সীমান্ত টাইফয়েডের বিবরণ স্বার ডাক্তার বেলগার্ডের মত এক জন পুরাপুরি স্পোর্টসমান'কে বিরক্ত করিতে আসিয়াছে । কিন্তু সে না বলিয়া পারিল না । • —স্তর, আমার স্ত্রীর জরটা— –একেবারে খাটি টাইফয়েড এবং আতাস্ত খারাপ 'টাইপের, আমি কিছুদিন আগেই সন্দেহ করিন্ধছিলাম, চেষ্টার ক্রটি হুইবে না। " তা নিশ্চয়ই, তবে সকলেই বলে টাইফয়েড়ের এলোপ্যাথি মতে কোন চিকিৎসা নাই । যদি একবীৱ হোমিওপ্যাথি— ডাক্তার বেলগার্ড হঠাৎ টেবিলের উপর হইত্তে পদদ্বয় টানিয়া, লইল এবং এক চুমুকে কাচেয় মাসস্থিত অবশিষ্ট হুইলকিটুকু নিঃশেষ করিয়া গর্জন করিয়া উঠিল, হাট -