পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাস্ত্ৰ গভীর ভালবাসা পোষণ করে " সত্যই নায়িকা দেয় হারাইয়াছে। সে মনে মনে বলিতেছে, “আমার প্রিয়তম অহরহ আমীর নয়নের মধ্যে বাস করিতেছেন, আমি নয়নে কজ্জল লেপন করিতেও ভঙ্গ পাই, পাছে মুহূতের জন্তও তিনি আমীর নেত্র ছাড়িয়া ঘনি ।” ( ১১৩.৭ ) একদিন সে নাচকের অনুনয়-ব্যঞ্জক মুখ দেখিয় গলিয়া গিয়া মৃদু হস্তি করিল । নারক তাবিল “হৃদয়, ফুল দেখিয়া ভূমি আত্মহারা হও । তোমার কি ভ্ৰম ! বে-সকল কুহুম মধরণের ছুষ্টিগোচর হয়, তাহারা কি প্রিয়ীর চক্ষুর সমতা করিতে পারে "ি (১৯৩৩) বারাস্তরে তাহার চোখের চাহনীতেই সশ্নতি বাক্স হইল। তখন তাহারা চিরদিন পরস্পরের প্রতি অনুরক্ত থাকিবে বলিয়া দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইল এবং তাহীদের গুপ্ত বিবাহ হইল। এরূপ বিবাহ প্রাচীন তামিল সমাজে প্রচলিত ছিল এবং ইহা আৰ্যা ধর্মশাস্ত্রেীক্ত গন্ধর বিবাহের অনুরূপ । এধন তরুণ-তরুণী পরম্পরের যাহুপাশে অবিদ্ধ হইল । শ্বে রমণী এ-পর্য্যস্ত নায়কের হৃদয়ে ব্যথা দিয়া অসিতেছিল, সে-ই সে-ল্যথার ঔষধ হইল । এখন উভয়ের আলিঙ্গনবিদ্ধ শরীরের মধ্যে সমীরণের প্রবেশও যিয়োগ-ব্যথা উৎপন্ন করে । বিধাহ গোপনে হইল—তরুণীর পিতা মাত বা অস্ট্রিীয় স্বজন কেহ জানিতে পারিল না। প্রেবিকদ্বয় একটি অনুকূল সময়ের জন্ত প্রতীক্ষণ করিতে লাগিল যপন এই ঘটনা সহজে সমঙ্গে প্রকাশ করা যাইতে পরিবে । কিন্তু দুই-চারি দিন অতীত হইতে না হইতেই যুবক মিলনের জন্তু উৎকণ্ঠিত হইয় উঠিল। কবে রহস্ত-ডেদের উপযুক্ত সময় আসিবে অহার নিশ্চয়তা নাই । যুবকের অধীরতা অধিক অপেক্ষা করা অসম্ভব করিয়া তুলিল । আতি প্রাচীন কালে তামিল দেশে প্রেমিকদের এইরূপ সঙ্কটপূর্ণ অবস্থা হইতে উদ্ধার পাইবার একটি কৌশলের উদ্ভাবন করা হইয়াছিল । কিন্তু উপায়টি অবলম্বন করা নিতান্ত সহজ ছিল না—প্রেমিক যুবককে দরুণ শারীরিক ক্লেশ সহ করিতে ও অশেষ লজ্জাহীনতা দেখাইতে হইত। উল্লেখ্য এই ছিল ঘে যুবকের এই করুণ অবস্থা দেখিয়া যুবতীর পিতামাতা ও সমাজের লোকের তfহীর প্রেতি সদয় হইয়া ভাহীর দৃষ্টত ক্ষমা করি:ব এবং যে-fববtহ গোপনে হইয়াছে তাহীতে সক্ষতি দিয়া তাহার হস্তে তাহীর প্রণয়িনীকে সমর্পণ করিবে । . উপায়টিকে বর্বরোচিত স্থল উপর ভিন্ন আর কি বলা চলে ? কতকগুলি সৰ্বস্ত তালপত্র কাটিয়া অনিয়া দড়ি দিয়া ঈষৎ লম্বা একটি মোট গোল বোঝার আকারে বাধা হইত। প্রেমিক যুবক সেই যোবার উপর দুই দিক প বুলাইয়া ঘোড়সওয়ারের মত বসিত এবং সেই অবস্থাতেই তাহার কয়েক জন বন্ধু আবেগময় প্রেমসঙ্গীত গান করিতে . কুরল বা তিরুবল্লম্বরের নীতি । Ub~& করিতে ভtহীকে বহন করিয়া গ্রামের ভিতরে লইয়া বাইত । সেই সময়ে তালপাতায় ধারবিশিষ্ট অগ্রভাগ ও পঙ্গিদেশের সঙ্গীর্ষে ঐ প্রেম-স্বাত্রীর পথিক-মহাশয়ের শরীরের অংশবিশেদের কিরূপ দশা হইত তাহ অনুমান করা যাইতে পারে। তাহার উপর গ্রামের যত বালক ও যুবক ঐ প্রেম-বিহবল অশ্বারোহী বীরবরকে বিরিয়া তাঁহাকে উপহাস ও বাক্যবাণে জঞ্জর করিতে করিতে এবং সম্ভবতঃ ভtহার প্রেণয়িনীর নাম উচ্চৈঃশ্বরে উচ্চারণ করিতে করিতে, তাহীর অধীনস্থ সেনা-বাহিনীর দ্যায়, তাহার অনুসরণ করিত। ১ে১৪ পরিচ্ছেদ } এই কোলাহলের শব্দ বুবতীর পিতামাতা ও বন্ধবর্গের কর্ণগোচর হইত এবং তখন তাহারা যুবতীর অপকীর্তির কথা প্রথম জানিতে পারিত । বলা বাহুল্য বে, তহীর তিরস্কারের সীমা থাকিত না । কিন্তু এখন তিরস্কার করিলে যাহা হইরা গিয়াছে তাঁহ৷ ত ফিরিবে না। এই সংবাদ সমস্ত গ্রামে প্রচারিত হইয়া গিয়ছে, তেরাং বাধা হইয়া পিতামাতাকে বিবাহে সশ্বত্তি দিতে হইত। তখন প্রেবিক-যুগলের হৃদয়ের অন্ধকার বিদূরিত করিয়া সুখ-হুর্যের উদয় হইত। আলোচ্য গ্রন্থের নারকও গতান্তর না দেখিয়া ভাকিল, “প্রিয়া হইতে যেসকল প্রণয়ী বিচ্ছিন্ন হইবা বিরহের . তুষানলে দগ্ধ হইতেছে, কুচ্ছ,ণ্ডপক তীক্ষ-ধার অলপত্রের উপর আৱে হণ করা ছাড়া তাহদের অন্ত উপায় নাই।” (১১৪.১) এই উপারে সে ভাংrর প্রণয়িনীয় সহিত মিলিত হইল। কিছুকাল পৰ্য্যস্ত নবীন দম্পত্তি পরস্পরের মধুময় সহচর্য উপভোগ কবির হযোগ পাইয়াছিল। কিন্তু যিভদ্ধ প্রেমের ধারা সংগ্রগতিতে প্রবাহিত হয় না । নিরানদের কালমেঘ অগিন্ধ৷ তাহাদের প্রেমের নিম'ল নভোমণ্ডল স্বাচ্ছন্ন করিল। শীঘ্রই যুবকের নিকট সৈনিকবেশে যুদ্ধে মাইবীর ডাক আসিল । উহার হয়ে ফাটিয়া ধাইতে লাগিল, কিন্তু কতব্যের অনুরোধে হয়ে পাযাণ করিতে হইল। আহা, বিদার দৃপ্ত কি করুণ ! বুবক তাহার তরুণ পীকে বুঝাইবার চেষ্টা করিল যে, সে শীঘ্রই গৌরব লাভ করিয়া ও ধন-সঞ্চয় করিয়া যুদ্ধ হইতে প্রত্যাবর্তন করিবে। কিন্তু যুবতী কিছুতেই প্রবোধ মানিতে চাহে না-বিরোগের চিন্তামাত্রেই তাহার প্রাণ কঁপিয়া উঠে। বলিল, “ভূমি অামাকে ছাড়িয়া গেলে আমার মৃত্যু নিশ্চিত। ফিরিবার কথা ছাড়া যদি আর কিছু বলিবার থাকে ত বলতোমার আশু প্রত্যাগমনের কথা তাহাকেই বলিলে ভাল হয় যে ততদিন পর্যস্ত জীবিত থাকার আশা করে” (১৬৬১) । যুবক ধারংবার বিলার-ভিক্ষা করিয়ীও অকৃতকাৰ্যা হইয়া,অবশেষে বিধ মনে বাহির হইরা পড়িল । কিন্তু যুদ্ধ-বিগ্রহ নবীনা রমণীদের অঙ্গিাধীন নয় এবং