পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ولا تراقا তাহাজের সুবিধানুসারে সমাপ্ত হয় না। প্রত্যাবর্তনের নির্দিষ্ট সময় অতীত হইরা গেল, কিন্তু যুবক বাটী ফিরিল না। খুবর্তী এ পর্যন্ত কোনো প্রকারে ধৈর্য-ধারণ করিয়াছিল। এখন ব্যাকুল হইল-বিরহ-বেদন অসহ হইয়া পড়িল । তরুণীর বিৱহ-ঘাতলার বিবরণ এগারটি পরিচ্ছেদে দেওয়া হইয়ছে । শ্রেম প্রথমাবস্থার রূপ-জনিত মোহমাত্র-দৈহিক উপভোগের স্পৃহা-যেন সাগরেব বহিঃপৃষ্ঠের উর্মিমালার উচ্ছ,সি ; কিন্তু ক্রমশঃ উহা ঘনীভূত হইয়া হৃদয়ের অস্তস্তল অধিকার করে—তখন উহার যাহা প্রকাশ বিরল—উহা যেন সাগরের গভীর দেশস্থ স্রোতের স্থিরগতি—বাহ-সৃষ্টির অগোচর। বিরহেই প্রমের গভীরতার পরিচয় পাওয়া যার । বিরহের বর্ণনাতেই কবির যথার্থ কবিত্বশক্তি প্রকাশিত হয়। মায়িকার দুঃসহ-যন্ত্রণা-জনিত সহস্ৰ তীব্র আবেগময় ভাব পাঠককে আনশে পরিপ্লত করে । তিরুবল্লুবর এই সকল তাবের স্বক্ষ-বিশ্লেষণে অসাধারণ পারদর্শিতা দেখাইয়াছেন। নায়িক বলিতেছে, “সাধারণের নিন্দা-রূপ সার এবং মাতার গঞ্ছনা-রূপ জল-সেক স্বারা পুষ্ট ও বধিত হইয়া আমার বিরহ-দিগ্ধ হৃদয়ের বেদনা দিন দিন বাড়িয়াই চলিয়াছে । ( ১১৫.৭ ) অগ্নিকে স্পর্শ করিলে তবে সে দগ্ধ করে, কিন্তু হদুর হইতে দগ্ধ করে প্রেম ( ১১৬৯)। এখনও আমি আমার অস্তরের অসীম দুঃখেৰ কণ্ঠরোধ করিয়া রাপিয়াছি; কিন্তু নিৰ্ব্বরের জলধারা যেমন অবিরাম শেযণেও নিঃশেষিত হয় না, সেইরূপ আমার শোকাশ্ৰ-নিঝর শত প্রয়াস সবেও পুনঃ পুনঃ উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিতেছে ( ১১৭.১ ) । আমার প্রাণ-খষ্টির ইই প্রান্তে অনুরাগ ও সঙ্কোচের বোঝা বাধিয়া জামি বহন করিয়া দাড়াইতেছি, সেই কারণে আমার অতি ও অসহায় দেহ দুঃসহ (দুঃখের ) ভারে সততঃ ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে ( ১১৭-৩)। বামিনীর মীয়া-দণ্ডের ম্পর্শে নিখিল জগৎ নিদ্রায় অচেতন, কেবল আমিই জাগ্রত থাকিয় তাহার সাহচৰ্য্য করিতেছি ( ১১৭.৯ ) । আমার হৃদয়ের মত আমার চক্ষুও যদি দৌড়াইয়া বাঞ্জিতের কাছে পৌছিতে পারিত, তবে তাঁহাকে ( চক্ষুকে ) আজ অশ্রসাগরে সাতার দিতে হইত না ( ১১৭.১০ ) । হে অামার চকুৰ, আজ আমার নিকটু অভিযোগ করিতেছ কেন ? তোমাদেরই নিমিত্ত আমি সাস্বনার শষ্ঠীত এই সন্তাপ ভোগ করিতেছি ; কারণ তোমরাই আমার বল্লভকে দেখাইয়া আমাকে তাহার হৃদয়-তীর্থের বত্ৰিী করিয়াছ ১ে১৮১)। তাহার বিরহ-সন্থতবলিয়াই আমার বিবর্ণতা স্পধ। পাইয়াছে, তাই সে রঙ্গে আমার সর্বাঙ্গে লীলা করিতেছে ১১৯.২ )। সেই তস্কর আমার ক্রীড়া ও কমনীয়তা সকলই হরণ করিয়া লইয়াছেন ; বিনিময়ে দিয়াছেলু স্বধু অসহ বিরহ ও পাণ্ডুর বর্ণ ( ১১৯৩) । প্রেমের প্রতিদান "প্রবাসীস্ট ఎ983 | ন পাইয়াও পায়া দেবতার চরণে শৰ্মা নিবেদন করিয়া খেলায়ী স্ট্রীবিত থাকে, তাহা অপেক্ষা কঠিন-প্রাণ জীব পৃথিবীতে আর কে আছে ? (১২০.৮) তাহার স্থতি-পট হইতে তিনি সযত্নে আমীর ছবিধানি মুছিয়া ফেলিয়াছেন। আমীর মনিসপটে আপনাকে এইরূপ প্রকাশ করিতে কি তিনি কিছুমাত্র লজ্জিত নহেন f ( ১২১.৫ ) বে জন আমাকে বলিয়াছিলেন, “আমরা অভিল্লায়া, দুটি অংশে গঠিত একটি পুঞ্জিীবন, তাহার নিমমতার কথা যখন চিন্তা করি, তখন দেহ হইতে প্ৰাণ যেন লুকাইয়া বীর ( ১২১.৯ ) । আদিও যে বাচিয়া আছি, তাহার কারণ, জাগরণে যাহাঁকে কখনও পাই না, স্বপ্নের সম্মোহে মাঝে মাঝে তাহীর দর্শন পাই ( ১২২.৩ ) । এই বেদনময় জাগবণেব অবস্থা যদি লা থাকিত, তাহ হইলে শাশ্বত স্বপ্ন-লোকে প্রিয়তমের সহিত অচ্ছেদ্য বন্ধনের অক্ষয় আনন্দ অনুভব করিয়! ধন্ত হইতাম ( ১২২.৬)। শিশির-সিক্ত সন্ধা-বধু একদা বেপথু ও দীর্ঘশ্বাস সহকারে আমার সম্মুখে আবির্ভূত হইত। আঙ্ক সে সাহসিকার দ্যায় উপস্থিত হইয়। আমার বক্ষে বেদনা ও নৈরান্তোর হাহাকার তুলিয়া দেয় ( ১২৩৩)। আমার এই বেদন প্রভাতে কোরকের মত হয়ে-বৃস্তে দেখা দেয়, সারাদিন ধরিয়া সে তাঁহার দলগুলি বিস্তার করিতে থাকে, এবং সন্ধ্যার সময় পূর্ণ প্রস্ফুটিত অবস্থায় বিরাজ করে (১২৩৭)। বিবাহের দিন যে পেলব বহুস্বয় স্ফীত হইয়াছিল, আল্প তাহাদের অবস্থা দেখিয়া মনে হয় যে, তাহারা প্রিয়তমের নিকট হইতে বিদায় লইবার বার্তা ঘোষণা করিবে (১২৪৩)। হে হৃদয়, আত্মসম্মানে তুমি জলাঞ্জলি দিয়াছ, যেহেতু নিমম-চিত্তে যে তোনকে স্বেচ্ছায় ত্যাগ করিয়াছে সে আসিল না বলিয়া তুমি হাহাকার করিতেছ এবং তাহীরই পথ চাহিয়া বসিয়া আছ ( ১২৫.৮) । অগ্নিতে খতের স্তার যাহাঁদের চিত্ত প্রেমের উত্তাপে প্রবীভূত হইয়াছে, তাহারা কি প্রিয়তমের সহিত মনোবাদ পোষণ করিয়া বাচিতে পারে ? ( ১২৬.১০ ) হৃদয়ের সুকুমার বৃত্তিগুলিকে পদদলিত করিয়া তিনি আমার সঙ্গ ত্যাগ করিরছেন । তথাপি অচিরেই তিনি আবীর আসিবেন এই চিস্তায় আমার হৃদয় আনন্দ্রে অর্থীর হইয় উঠে ( ১২৭.৪ ) । অfনার নয়ন-মণি হয়-দেবতা যখন ফিরিয়া আসিবেন, আমি কি তখন দীর্ঘ আদর্শনের জন্ত মানভরে বলিয়া থাকিব ? না তাহীকে প্রেমালিঙ্গনে বাধিব ? অথবা একে একে দুয়েশই অনুষ্ঠান করিব r” ( ১২৭.৭ } নায়ক ঘরে কিরিবার পূর্বে, তাহার উপেক্ষার কথা ভাবিয়া ভাবিয়া মমাহত হইয়া নায়িক| কতই বিলাপ করিতেছে । তাহীর মনে সহস্ৰ বিচিত্র ভাবের উদয় হইতেছে । কখনও সে নারককে অতি নিষ্ঠুর, কখনও অtহার সমস্ত দুর্দশার কারণ, কখনও সমাজে নিন্দনীয় হওয়ার