পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سرعمران না করিয়া আসা, আহতকে পুনরাঘাত করার মতই অকরুণ হইয় পড়ে। (১৩১৩১) ( নায়িকার প্রতি নায়ক ) বিশুদ্ধ-চরিত্র পুরুষের নিকটও প্রিয়ার অভিমানের মাধুর্য নিতান্ত অল্প নহে। প্রিয়ার মধ্যে অকুটি ও অভিমানের লীলা যদি না থাকিত, তাহা হইলে প্রেম তাহার পরিণত ও অধ-পরিণত ফলগুলি হইতে বঞ্চিত হইত। কিন্তু অভিমানের একটি বেদনাময় অনুভূতি আছে, কারণ প্রতি ক্ষণেই মনোমধ্যে এই প্রশ্ন জাগ্রত হয়— “মিলন নিকটে, না এখনও অনেক দূরে ?” (১৩১-৫.৬.৭) (লায়িকাকে শুনাইয় অধ-স্বগতভাবে নায়ক ) শোক করিয়া ফল কি ? কারণ, এমন কেহ নিকটে নাই যে আমাকে ভালবাসে, ও আমি যে দুঃসহ যাতনা ভৌগ করিতেছি তাহা বুঝিতে পারে । ছায়া-বহুলনিকুঞ্জেই (স্বপেয় ) বারি তৃপ্তি-দায়ক, এবং বে প্রাণ দিয়া ভালবাসে, তাহারই পক্ষে মান হশোভন । আমার হদয় যদি এখনও তাঁহাকেই আকাঙ্ক্ষণ করে বে আমীর তৃপ্তিবিধান করে না, তবে ইহা তাঁহার বৃথা কামনা । (১৩১-৮৯-১০) (নায়িক ) হে কপট রসিক, রমণী মাত্রেই দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে গ্রীস ( তোমার মনোহরণ ) করে । তোমার আলিঙ্গনে আমার প্রয়োজন নাই (১৩২১) । নোয়ক ) ( ১৩২—৩ হইতে ১০ ) আবি যদি কখনও মাল্য পরিধান করি, তবে “অন্ত কোনো তরুণীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিবার জন্ত সজ্জিত হইয়াছ,” এই বলিয়া সে রোযভরে চলিয়া যায়। আমি তাহাকে বলিলাম, “fপ্রয়ে আমি জগতে সবচেয়ে তোমাকে ভালবাসি,” সে অকুটি করিয়া কহিল, “কবি চেয়ে বল ত ” আমি কহিলন, “এ-জীবনে আমরা কখনও বিচ্ছিন্ন হইব না।” হায়, হীর, শ্রবণ মাত্র তাহার চক্ষু দিয়া অশুর ঝারি ঝরিয়া গেল (পর জীবনে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা আছে, এই কল্পনা করিয়া ) ! আমি তাহাকে বলিলাম, “প্রিয়ে, প্রবাসে আমি তোমাকে নিত্য স্মরণ করিতাম,” আমনি উদ্যত আলিঙ্গন সংবরণ করিয়া মানভরে সে এই বলিয়া চলিয়া গেল, “তবে তুমি নিশ্চয়ই আমাকে (কোন দিন) ভুলিয়াছিলে।” আমি *াচিলাম, এবং সে আমার আয়ুষ্কামনা করিল।” পরক্ষণেই সেই শুভেচ্ছা প্রত্যাহার করিয়া সাশ্রনেত্রে বলিল, “এখন তোমাকে কে স্বরণ করিতেছে যে তুমি ইক্টিতেচ r" आiभेि ठाँभांद्र हfठिं बभन कड्रिशांभ । उर्शांछि cन ৫ প্রবাসী ; বীপপুর্ণ নয়নে কহিল, “কেহ যে তোমাকে স্মরণ করিতেন্ধে ८ग-रूथ छूमि श्रांमांङ्ग निरुt cश्रां★न कब्रिटऊ कांश् " তাহাকে সাম্ভনা দিবীর অশেষ চেষ্টা করিলেও সে অধিকতর কুটিল ভ্ৰকুটি করিয়া বলে, “অপরের মান-জ্ঞ করিয়া করিয়া এবিষয়ে তুমি বেশ অভ্যস্ত হইয়াং বটে " তাহার মঞ্জুমুষ্ঠির প্রতি আবেশময় দৃষ্টিক্ষেপ করিলে সে তিরস্কার করিয়া কহে, “কাহার রূপের সহিত আমার অবয়বের তুলনা করিতেছ?” ( নায়িক ) ( ১৩৩–১ হইতে ৪ ) উনি দোষশূন্ত হইলেও এই অভিমানই আমাকে উহার মনোরঞ্জন-পটুত্ব-মাধুর্যের আশ্বাদ দেয়। যদিও এই কোমল গুণ প্রকাশ করিবার অবকাশ পাইঞ্জে প্রিয়তমকে ক্ষশকাল অপেক্ষা করিয়া থাকিতে হয়, তথাপি অভিমান দেখাইতে আমাদের বে সামান্ত বেদনার অনুভব হয়, তাহারও একটি নিজস্ব মাধুর্য্য আছে। প্রবহমান বারিধারার সহিত উহার সংশ্লিষ্ট ভূমির ধেরূপ সম্বন্ধ, প্রেমিক-প্রেমিকীর সম্বন্ধও যদি সেইরূপ নিবিড় ও নিগূঢ় হয়, তাহা হইলে, অভিমানাপেক্ষ উচ্চতর স্বৰ্গ ( আনন্দ ) আর কোথায় আছে ? প্রিয়তনের সহিত আমীর কলহের মধ্যে সেই অমোঘ শক্তি নিহিত আছে যাহা আমার অন্তরের অবরোধ বলপূৰ্ব্বক উল্লঙ্ঘন করে। নোয়ক ) ( ১৩৩—৫ হইতে ১০ ) সম্পূর্ণ নিরপরাধ ব্যক্তির দৃঢ়বন্ধ আলিঙ্গন হইত্তে যখন প্রিয়ার বাহুলতা অপসারিত হয়, তখন উহ হইতে এক অননুভূতপূর্ব হৰ্ষ-শিহরণ জাগিয়া উঠে। ভোজনাপেক্ষা অধিকতর সুখকর তাহার পরিপাক ; সেই প্রকার আশ্নেধাপেক্ষ অধিকতর মধুর প্রেম-কলহ। প্রেম-কলহে অগ্ৰে যে নতি স্বীকার করে, তাহারই হয় । জয় ; মিলনকালে ইহার সত্যতা স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়। ক্ষণকালের জন্ত কলহের ভাণ করিয়া প্রিয়া কি আমাদের অ'লিঙ্গনে অধিকতর সরসতীর সঞ্চর করিতে চাহেন ? : আহ, মানমন্ত্রীব কুঞ্চিত ললাট ও রোয-ফুরিত অধৱে শোভা যেন আরও কিছুক্ষণ উপভোগ করিতে পারি: কেবল আমার প্রার্থনায় যামিনী বেন আরও কিছু কাল দীর্ঘ হর। প্রেমের মাধুর্য অভিমানে, এবং অভিমানেৰ চরম সার্থকতা পরবর্তী নিবিড় মধুর আলিঙ্গনে । এই বিবরণটি এক সাধী তরুণীর মনোভাব ও কার্যাবলীর সঞ্জীব চিত্র। ইহাতে অসংষম, উদামত, প্ৰগল্‌ভত বা অপবিত্রতার নামগন্ধ নাই. ইহা হুঙ্কারজনক অবৈধ পূরকীয় প্রেম হইতে সহস্ৰ যোজন দূরে। ইহাতে তাহার ইঙ্গিত মাত্র নাই, এবং অশ্লীলতার ছায়াস্পর্শও হয় নাই। ইহা কল্পনাস্বর্গের পরিজাতের পরিমল