পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

---

  • * --

- - - - - ডক্টর ঐকানাইলাল গাঙ্গুলী X একটুও মনে হয় না ’ এ-কথা বায়ুমন্ত্রের মত কাঞ্জ করলে। ভুঞ্জল লড়ে ক’জন অঙ্গহীন, ক'জন প্রাণহীন এমন কি ক'জন বিকৃত-মস্তিষ্ক হয়েছে, তারই লম্বা ফৰ্ম্ম যখন হের কুন অমনিবদনে বিয়ে গেল, আমি ব্যপিত চিত্তে বললুম, “এতে কি বাহাদুরী r সে হেসে উত্তর দিলে, “এ না করেও যে উপায় নেই।”

  • কেন ք» “এর চিহ্ন, দু-একটা ভরোঁয়ালের খোচী, গালে চিরস্থায়ী না করে নিলে যে প্রেয়সীর মন পাওয়া দীর ।”

“পতি নাকি ” এমন অদ্ভুত কথার আমার হাসি পেল । - - “সত্যি মশায়, সত্যি ! ওরা যে জাৰ্ম্মা মেয়ে, ওদেরই বুকের ক্ষুধ খেয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ট সৈনিক তৈরি হয় ” এ-কথাটা কেমন কেমন লাগল। অহিংসার দেশের লোক আমি, একটু শ্লেষ না করেও থাকতে পারলুম না, *ভ হ’লে আপনাদেরই স্বষ্টি ফ্রয়ডিয়েস্তত্বের কোন পৰ্যায়ে এই মনোবৃত্তিটা পড়ে ?” - কুন রইল নিরুত্তর। গম্ভীর ভাবে ক-এক চোক বিয়ার পান করলে মাত্র। আমি আবার বললুম, “মা সত্যি, যাতে দেশের আশা-ভরসার আকর তরুণদেরই এত ক্ষতি হয় সেজিনিষ কোমল-প্রাণা তরুণীরা ভালথাসেন ! এটা কি ?” -“ক্ষতি ত দূরের কথা এতে আমাদের অশেব মঙ্গল হয়— জাৰ্ম্মান জাতির ভিত্তি গড়ে !" আমি ত অবাক ! সে বুক ফুলিয়ে বলে গেল, “আমাদের তরুণর ঘূর্ণিত অসির সামনে মাখ। খাড়া রাখতে শেখে ব’লেই সমস্ত পৃথিবীর অক্রিমণে জাৰ্ম্মানী ভেঙে গেছে ভৰুহারে নি " | আমি তাড়াতাড়ি কথা ঘুরিরে নিলুম, “কিন্তু মশায়, আপনার গলে ত একটা দাগও নেই, তৰু শ্ৰীমতী এলিসাবেথ শ্রোডার আপনাকে কম তালবাসেন বলে ত - উচ্চ হেসে সে বললে, “তার কারণ, আমি বে ইতিমধ্যেই বার-ছয়েক ডুএল লড়েছি, তার মধ্যে তিনবার লড়েচি তার জষ্ঠে। কিন্তু দুর্ভাগাক্রমে আমার অঙ্গে কেউ অস্ত্রীঘাত্ত করতে পারে নি ?" “সেটা ভারি দুর্ভাগ্যের কথা বটে ! কিন্তু আর তিনবাৰু বাড়লেন করি ছন্তে ?” “সেও আমার পূৰ্ব্বেকার তিন বান্ধবীর জঙ্গে—” “fözł—fsR şa ?–” “শুধু তিন জন কি বলচেন মশায়, আরও কত ছিল " | “সতি নাকি ?--কুমারী শ্রোডার তা জানেন ?” । “আরেছি তা কি কখনও বলে? তবে আপনি পুরুষ । তার বন্ধুলোক, আপনাকে বলতে আমার আপত্তি সেই।” আমি উৎসুক হ’লুম শোনবীর জন্তে। এমন সময়ে সভাপতি মহাশয় উচ্চৈঃস্বরে দিলেন আদেশ “সিলেনৎসিউম্‌ ! চুেপ কর ।” এবং টেবিলের ওপর তার ডিনবার তরেয়াল-ঠোকার প্রচণ্ড আওয়াজ সভাস্থল প্রতিধ্বনিত করলে । গ্রীষ্মকাল, রাত্রি তপন তিনটা । স্থান এক বিয়াররেস্তোরার বৃহৎ হলঘর। সেখানে হাইডেলবের্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক “ফেরবিভুং”-এর বাৎসরিক সভা বসেচে। যাট, বৎসর ঐ “ফেরবিভুং"-এর বয়স এবং এই ষাট বৎসর ঐ একই হলে এর বাৎসরিক সভা ক'সে এসেচে। সভা আরস্তু হয়েছিল সন্ধা আটটায়, এক ঘণ্টার মধ্যেই বৎসরের হিসাব-পরীক্ষা, আগামী বৎসরের কৰ্ম্মকৰ্ত্ত-নিয়োগ ইত্যাদি সম কাজই শেষ হয়ে গিয়েচে । সভার কএক জন পুরাতন সভাও উপস্থিত। তাহদের মধ্যে কেউ হয়ত নোবেল প্রাঙ্গ প্রাপ্ত অধ্যাপক, কেউ বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসক, কেউ-ব স্বনামধষ্ঠ মন্ত্রী । তারাও প্রাণস্পশাঁ যকৃত দ্বারা নবীনদের স্বদেশপ্রেমের উপদেশ দিয়েছেন। তারপর রাত্রি ৯টা থেকে আরম্ভ

  • worbindung —এক শ্রেণীর ছাত্রসন্তৰ ।