পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভার- - ছোটে দরবিগলিত ধারায়—তাঁর সর্বাঙ্গ সেই তপ্ত রক্তে আবৃত হ’ল, এমন কি উভয়ের অসি ও মুষ্টি হ’ল রক্তবর্ণ। গুৰু সে সুকুমার তরুণ অবিচলিত : সমান বেগে চলে তার অসি-কনা-ঝন ঝন ঝন ঝনা-ঝন্‌! উপস্থিত সকলের হিন্দু-মুসলমান সমস্যা మ్రిక মনে ক্তেগেচে উৎকণ্ঠ, কিন্তু সে উন্নতশির, নিউীক বালকের মুষ্টি সমান বেগে অসি চালায়-ঝনা-ঝন ঝনা-ধন, কলা-স্থান ৷ তার মুখে বিধলে আর একটা সাংঘাতিক অাবতি, বালক ভূপতিত হ’ল। হিন্দু-মুসলমান সমস্যা শ্ৰীশশধর সিংহ, পিএইচ-ডি (লগুন) হিন্দু-মুসলমান সমস্যা লইয়া আমাদের নেতৃবৃন্দ অনেক কাল হইতে মাথা ঘামাইতেছেন । তাহাদের ভাবনার এখনও শেষ হয় নাই। এমত অবস্থায় নুতন কিছু বলিতে যাওয়া খ্ৰীষ্টত মাত্র। নূতন কিছু বলিবারও নাই—কারণ, ভারতের রাজনৈতিক জগতে আজি যাহা সমস্তার আকার ধারণ করিয়াছে, তাঁহার মূলের কথাগুলি অতি পুরাতন । ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনে অনেক সময় কতকগুলি প্রশ্ন এমন উত্তঙ্গ হইয় ওঠে যে, ইহার তুলনায় অল্প সব কথা অতি তুচ্ছ মনে হয়। হিন্দু-মুসলমান প্রশ্ন ইহার অন্ততম। এই কয়েক বছরেই দেখা গিয়াছে যে, হিন্থ মুসলমানের বিরোধ আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনকে গীতবিক্ষন্ত করিতে বসিয়াছে। যতই দিন গিয়াছে, ততই ইহ ৪টিলতর হই উঠিয়াছে। ভারতের শাসকগণ সাম্প্রদায়িক কলহ স্বষ্টি করিয়া আমাদের রাজনৈতিক প্রয়াসকে যে বহুল পরিমাণে বাণ করিতে সমর্থ হইয়াছেন, এ-কথা না মানিয়া উপর নাই। সৰ্ব্বাপেক্ষা আশঙ্কার বিষয় এই যে, আমরাও ইহাকে চিরন্তন বলিয়া স্বীকার করিয়া লইয়'ছি। তাহা না হইলে হিন্দু-মুসলমান সমস্তাকে আমরা এত বড় করিয়া দেখিব কেন ? ফল হইয়াছে এই বে, ভারতের রাজনৈতিক সংগ্রামের মুখ্য উদ্বেগু ভুলিয়া গিয়া আমরা কতকগুলি ছোটখটি দিৱয় লইয়া দরকষাকলি করিয়া মরিতেছি । জিজ্ঞাস্ত, আইল-পরিষদে কমবেশ অসন বা কমবেশী সরকারী চাকুরিতে স্বরাজ আগাইল আসিবে কি ? দিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের ধাহীরা না-পাইল পরিষদে শাসন, না-পাইল সরকারী চাকুরি, তাহীদের কি হইবে গতি ? হিন্দু-মুসলমানের ধিরোধের প্রধান কথা হইতেছে, পরম্পরের প্রতি অবিশ্বাস। ইংরেজের ইতিহীন শিখাইয়াছে যে এই দুই সম্প্রদায়ের মিলন অসম্ভব এবং আমরাও এই বিশ্বাসে অটল হইয়া বসিয়া আছি । আমাদের রাজনৈতিক পাণ্ডার। এই বিশ্বাসের ঐতিহাসিক ভিত্তি গতাইঙ্গা দেখিবার চেষ্টা করিয়াছেন কি : মধ্যাপক ক্ষিতিমোহন সেলের “ভারতীয় মধ্যযুগে সাধনার ধারা” ও ডাঃ হুসেনের ফরাসী গ্রন্থ “লাদি মিস্তীক”* হইতে দেখিতে পাই যে, হিন্দু ও মুসলমান- বাহদের গান্থে আমরা নিয়শ্রেণীর টিকিট লীগাই দিয়ffছ,. যাহাঁদের রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রতি বিদুমাত্র লোভ নাই, তাহার যুগ যুগ ধরির শ্বের ভিত্তিতে পরস্পরের সহিত মিলিত হইবার প্রয়াস পাইছে, আজিও এই প্রচেষ্টার শেষ হয় নাই। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলিতে গেলে, এইখানেই ভারতের স্বকীয় সাধনা ও প্রাণবন ইতিহাস ।f ভারত-ইতিহাসের এই স্বশ্বকথা কালে হিন্দুস্থানের শাসকরাও বুঝিতে পারিয়াছিলেন। হিন্দু-মুসলমান ধর্মের সমন্বয়ের চেষ্টার আকবর লিঞ্চল হুইয়াছিলেন সত্য, কিন্তু ইতিহাসের দিক দিয়া এই বিফলতারও দাম তুচ্ছ নহে। ইতিহাসের ধারা কোনূ দিকে বহিতেছে, ইহা তাহীর জাজ্জ্বল্যমান সাক্ষ্য । ইহা হইতে এই প্রমাণিত হয় যে, বিভিন্ন ধৰ্ম্মী অথচ জাতিতে এক, এইরূপ দুই বা ততোধিক সম্প্রদরি চিরকাল বিরোধী হইয় থাকিতে পারে না ; ইহাতে কাহারও কাণ হয় না । --- * L'indo Mystiquo Au Moyon Aga ( Librari ق) دیمه راهپیمایی ) .

  • ক্ষিতিবাৰুঃ পুস্তক্ষে রবীন্দ্রনাথ-লিখিত ভূমিৰ ভ্ৰষ্টৰ ।