পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tు } 器、 - • -. • • • প্রবামী, , , . * As , SoBS ফেলিয়া একরূপ ছুটিতেছেনই। আর পটু পটু করিয়া ফুল ছিড়িয়া সাজিতে পুরিতেছেন। খুকী চীৎকার করিতেছিল— ওগো বাবা গো,—সব নিলে গে—আমি কি করব গো ? আমার সেজুতি কেমন ক’রে হবে ? ফুল তুলিতে তুলিতে ভট্চায বলিল—এ্যাঃ, ভারি তোর সাজপুলুনী। তার জন্যে আবার ফুল চাই ! গোলাপ ফুলটা তুলে নিয়েচিস তুই—ওইটি দে । তা হলে তোকে চারটি ফুল আমি দেব। নইলে একটি ফুলও আজ পাবে না . তুমি। রাধাগোবিদের চেয়ে ওর সাজপুজুনী বড় ! খুকী তীব্র ঝঙ্কার দিয়া মুখ ভেঙাইয়া উঠিল—এ্যা-এ্য-এা, ভারি ত ওর রাধাগোবিন্দ । ছাই ছাই ছাই তোমার রাধাগোবিন্দ ! ক’লো—ড্যাবড়াবে চোক—এ-দিক ব্যাক৷ ও-দিক ব্যাকা— বিপুল রোষে ভট্টচার্য চীৎকার করিয়া উঠিল--এাই-খুবী ! এক চড়ে তোর গাল ভেঙে দেব বলছি। খবরদার। খুকী ঘাড় উচু করিয়া বলিল-বটেই ত, বটেই ত তোর ঠাকুর ছাই কালো। বলছিই ত—ছাই-ছাই—ছাই ! আমার গন্ধ্যেমণি অরুন্ধতীকে কেন এ্যাঃ বলবে তুমি! --নাঃ বলবে না । যেমন ব্ৰত তেমনি তার মস্তর ! তিনি ভেঙাইয়া বলিতে আরম্ভ করিলেন—সন্ধ্যেমণি অরুন্ধতী অঙ্গবতী বেলফুল— খুকী কৃষ্ণমূৰ্ত্তির ভঙ্গিম বিকৃতভাবে অনুকরণ করিয়া ভটচাষকে মুখ ভেঙাইয়া দাড়াইল । সহসা বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের জ্ঞানগম্য যেন লোপ পাইয় গেল। পাগলের মত খুকীকে ধরিয়া তাহার গালে সজোরে এক চড় বসাইম দিলেন। খুকী আৰ্ত্তস্বরে চীৎকার করিয়া কাদিয়া উঠিল। ভটচার্য তাহাতেও তাহাকে নিষ্কৃতি দিলেন না। খুকীর আঁচল হইতে গোলাপ ফুলটি বাড়িয়া লইয়া হন হন করিয়া চলিয়া গেলেন মন্দিরের দকে। জানালায় দাড়াইয়া বিমল যেন বিস্ময়ে ”বাৰুহইয় গাছিল। যাট বৎসর বয়সের বৃদ্ধমাট বৎসরের শিশুর স্থিত এমন আচরণ করিতে পারে এঙ্গয় তাহার ছিল না। সে স্কুঢ়স্বরে ডাকিল ৷ ভট্টচাৰ্য মশাই! লম্বা লম্বা পা ফেলিক্ষ্মা ভটচার্য গুর্থন দষ্টিপথের বাতিবে খুকীর চীংকার তখনও খামে নাই। তাহাকে বুকে তুলিয়৷ লইয়া সে দেখিল তাহার কচি গালে পাচটি আঙুলের দাগ রাঙা দড়ির মত ফুটিয়া উঠিয়াছে। আপন মনেই সে বলিয়া উঠিল—বৰ্ব্বর-জানোয়ার ! খুকী কাদিতে কঁাদিতে বলিল— ভটচার্য-দাদা মেলে আমায়। বিমল মনে মনে ভাবিতেছিল প্রতিবিধানের কথা । সে গম্ভীর ভাবে বলিল—চুপ কর । আজই তাড়বে ওকে আমি। খুকী চুপ ন, তাহার অভিযোগ তখনও শেষ হয় নাই। সে বলিল—রোজ আমার সঙ্গে ঝগড়া করবে, রোজ আমার সঙ্গে ঝগড়া করবে। একটি ফুল আমাকে দেয় না । তাহাকে বুকে করিয়াই বিমল কাছারীর দিকে চলিল । জানোয়ারের সঙ্গে জানোয়ারের মত ব্যবহার করিয়া ফল নাই, তাহাকে আজই বিদায় করিয়া দিবে। কাছারীতে তখনও নায়েব আসে নাই। এক জন পাইককে সে হুকুম করিল— নাম্নেববাবুকে এক্ষুনি ডেকে নিয়ে আয় ; বলবি বাবু বসে আছেন । নায়েব আসিতেই বিমল বলিল—আজই একজন পুরোহিত ঠিক করতে হবে দুপুরের আগেই। কথাটা সম্পূর্ণ বুঝিতে না পারিয়া নায়েব বিস্মিত দৃষ্টিতে র্তাহার মুখের দিকে চাহিয়৷ রহিল। বিমল বলিল—যছু ভটচাযকে জবাব দিয়ে দেন। আজই—এক্ষুনি । নায়েব চুপ করিয়া রহিল। এমন পরমাশ্চর্য্যের কথা সে যেন কখনও শোনে নাই । বিমলের রুদ্ধ রোষ যেন ফুলিয়া ফুলিয়া উঠিতেছিল। সে আবার বালল— লোকট লোভী, অতিবড় লোভী, তা ছাড়া বৰ্ব্বর, জানোয়ার, কাণ্ডজ্ঞানহীন । নায়েব বলিল—আঙ্গে-ত যে হবার উপায় নাই। —উপায় নাই ! কেন ? রোধে বিমল গর্জন করিয়া উঠিল । --আঞ্জে দেবোত্তরের দলিল বোধ হয় আপনি দেখেনৃ নি ? অসহিষ্ণু হইয়া বিমল বলিয়া উঠিল—কি বলছেন আপনি স্পষ্ট করে বলুন । ই, দেবোত্তরের দলিল দেখিনি আমি, fog fos Erors; corts o