পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭১৮ মুহূর্তে তরঙ্গাঘাতে চুর্ণীকৃত হইয়া সমুদ্রগর্ভে বিলীন হইয়া যাইতে পারে। এই কারণে বর্তমান অভিধানের জন্ত কয়েকটি বিশিষ্ট পোত নিৰ্ম্মিত হইয়াছে; ইহা সহজে জলমগ্ন হইবার কোন আশঙ্কা নাই। ইহার উপর দ্বীপটি আবার সম্পূর্ণ জনবিরল। চাথাম উপসাগরের তীরস্থিত পৰ্ব্বতরাজি সমুন্নত নহে বলিয়৷ এই দিক দিয়া প্রবেশের কতকট সুবিধা আছে । জাহাঙ্গ লঙ্গর করিবার ইহাই একমাত্র প্রশস্ত স্থান । এইরূপ লনি কারণ বশতঃ জলদহ্যগণ তাহদের লুষ্ঠিত ধন গুপ্ত রাথিবীর ইহাই একমাত্র নিরাপদ স্থান বলিয়া নিরূপণ করিয়ffছল । চাথাম ও ওয়েফার উপসাগর একটি ক্ষুদ্র ভূখণ্ডদ্বারা বিচ্ছিন্ন হইয়াছে । কিন্তু শেষোক্ত স্থানে সমুদ্রের তরঙ্গীতি এতই প্রবল যে এখানে কোনও জাহাজ নঙ্গর করা একেবারেই দুঃসাধ্য। মুতরাং ইহা হইতে অনায়াসে উপলব্ধি করিতে পীরা যায় বে, এইস্থানে দহগুণ কিছুতেই তাহাদের লুণ্ঠনদ্ৰব্য-পরিপূর্ণ জাহাজ লইয়া অগ্রসর হইতে সাহস করিত না, কেন-লা এথানে জাহাজ জলমগ্ন হইবার সম্ভাবন যথেষ্ট ছিল। এই সকল কারণে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকগণ সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, দহ্যগণ চাথাম উপসাগরের ফুলেই তাহীদের জাহাজ মঙ্গর করিত ! আমরা যে-সময়ের কথা বলিতেছি তখন কোকস্ দ্বীপের সন্ধান অতি অল্প লোকেরই জ্ঞাত ছিল । সেইঞ্জষ্ঠ এথানে যুষ্টিত দ্রব্য মুকতি রাথিবীর জন্ত দস্তাগণ বিশেষ সতর্কত অবলম্বন করিত না। তাহার এমন স্থানে ঐ ধনরত্ন প্রোথিত করিয়া রাথিত যেথান হইতে প্রয়োজন অনুসারে ঐ ধন অন্তস্থানে অনারীসে স্থানান্তরিত করিতে পারা তাহীদের পক্ষে মোটেই কঠিন হইত ল]. "মেরা ডায়া’র নামক জাহাজধানি যে ধন-সম্পদ লুণ্ঠন করে তাহ চাথাম উপসাগরের কুলে একটি গিরিগহবরে ও বেনিতোর লুষ্ঠিত সম্পদ ওয়েফার উপসাগরের ফুলে মিষ্ঠিত আছে বলিয়া পণ্ডিতগণ মনে করেন । -- কোঁকস দ্বীপটি আগ্নেয়গিরিবহুল হইলেও গত তিন

  • otoquoito

ఏన98సి শত বৎসরের মধ্যে এখানে বিশেষ কোনও ভৌগোলিক তাওব-লীলা সংঘটিত হয় নাই । দ্বীপের তীরস্থিত পর্বতমালারও কোনও ভৌগোলিক পরিবর্তন অস্তাপি লক্ষিপ্ত হয় নাই। এখানকার জলবায়ু কখনও বিশুদ্ধ নহে ; co??}'s"ision o N° কোক দ্বীপের মানচিত্র সেজষ্ঠ যে-কোনও মুহূর্ক্সে এখানে বর্ষণোন্মুখ মেস্বরাজি দৃষ্টিগোচর হইয় থাকে। তাছার নির্মিত্ত ক্ষুদ্র দ্বীপটি সৰ্ব্বদা কুয়াসাচ্ছন্ন থাকে । মুখে মধ্যে আবহাওয়ার সমূহ পরিবর্তনে ও তীব্র বারিপাতের জচ্চ পাহাড়ের গীয়ে কৃতকগুলি প্রকাও গহ্বর স্বাক্ট হইয়াছে এবং সম্ভবতঃ এই সকল গহ্বরে প্রচুর ধনরত্ব গুপ্তভাবে রক্ষিত আছে। দ্বীপের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড ভ্ৰাক্ষালতার দ্বারা আছিাদিত এবং এ-কারণ গুপ্ত স্থানগুলি আবিষ্কার করার পক্ষে যথেষ্ট বাধা আছে। এইজন্তই পূর্বের কতকগুলি অসংস্থত চেষ্টা বিফল হইয়াছে। কিন্তু আশা করা যায় rে, বর্তমান বৈজ্ঞানিক বস্ত্রাদির সাহায্যে এই দুঃসাধা কৰ্ম্ম অনেকটা সহজসাধ্য হইয়া উঠিবে এবং এই সাগর-মেথলাময় অনাবিষ্কৃত ক্ষুদ্র দ্বীপটির অস্তর্নিহিত নিগূঢ় রতুয়ারি রহস্যঘন গোপনীয় কাহিনী বিশ্বলোকে অচিরে পরিবাপ্তি হইয়া পড়িবে ।