পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوRtدRه ংগ্রবাসী;

    • SBS e

বেরুচ্চে। ছোট, ছোট বালিকাদের মাথার মাঝখানে লিতিকাটা। নর্তকীদের প্রত্যেকেরই হাতে পাকানো লীল সুতোর স্তবক-লাগানো এক-এক জোড়া মন্দির । দলের মধ্যে একটি তরুণী বৃত্তের মাঝখানে দাড়িয়ে প্রথমে গানের একটি কলি গায়ু, শেষে আর সবাই তাদের নিটোল দেহকে একবার ডাইল একবার বারে ঈষৎ আনমিত কৰে শুভ্ৰ কুডোল বহুগুলি শোভন ভঙ্গীতে সঞ্চালনপুৰ্ব্বক তালে তাল মদিরা বাজাতে বাজাতে ধুয়ো ধর । কখনও ধীরমন্থর গতিতে কথনও বা দ্রুত তালে এমুনিতর নানা চলে, বহক্ষণ পুরা মরহুমে নাচ চলবার পর সকলে হাটু গেড়ে বসল এবং মুল গায়েন মেয়েট স্ত্রীকৃষ্ণের বিগ্রহের দিকে দৃষ্টিনিবন্ধ করে একলা নৃত্যগীত আরম্ভ করলে । এই তরুণীটি পরমাসুন্দরী। সন্তান্ত মেয়েদের সঙ্গে তার মুখের আদল শ্বাদে আসে না । মণিপুরী মেয়েদের মধ্যে অধিকাংশেরই নাক থেবড়া এবং চেহারা -মোঙ্গলীয় দ্বীচে গড় । কিন্তু তাদের মধ্যে এমন অনেক মেয়েও দেখতে পাওয়া বায়, ধীদের বলা চলে নিখুঁত সুন্দরী। উপরন্তু, অটুট স্বাস্থ্যের দরুণ মণিপুরী মেয়েরা এমনি একটা পূৰ্ব্ব লাবণাত্ৰতে মণ্ডিত, বা বাঙালী মেয়েদের মধ্যে একান্তই দুৰ্ল্লভ স্বাস্থোর দীপ্তিতে সমুজ্জ্বল সেই মৃতাশীল তরুণটির অনিন্দা দেহসৌষ্ঠব এবং অনুপম মুতা সেদিন সবাইকে বাস্তবিকই অভিভূত ক’রে ফেলেছিল। মণিপুরী মেয়ে-পুরুষ মাত্রেই অতিরিক্ত মাত্রীয় ভাবপ্রবণ, অহেতুক কৃষ্ণপ্রোম হৃদয় তাদের একেবার টইটুম্বুর। শ্ৰীকৃষ্ণের প্রতি তার উত্তর গভীর অনুরক্তিই যেন রূপায়িত হয়ে উঠল ঐ মৃত্যপর তরুণীটির অনুভাবে, তার আকুল কণ্ঠস্বরে এবং তার অন্ধনিৰ্মীলিত ভাববিষ্ট দুটি চোথের করুণ দৃষ্টিতে । এবেন বৃথার্থই সঙ্গীতে ও ভঙ্গীতে জীবন-দেবতার চরণমূলে আত্মনিবেদন। সার্থক এই নিৰ্ম্মল মৃতাঞ্চল, দর্শকদের মনকে ষা অতীন্দ্রিয় জগতের পীনে টেনে নিরে যায়। রস-পিপাসু মণিপুরী জাতির মধ্যে বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের রসের দিকটা বিশেব তবেই অঙ্কুশলিত হয়েচে ; এদের নিজস্ব নৃত্যকলার সঙ্গে রাধাকৃষ্ণের লীলা মিশ্রিত হয়ে একে এক অনিৰ্ব্বচনীয় মাধুর্য্যে মণ্ডিত ক’য়ে তুলেচে । - .অলঙ্কারের দু্যতি এবং কীৰ্ত্তিকী পূর্ণিনা-রাত্রে ‘রাস’-নৃত্য অনুষ্ঠিত হয় । বিপিনচন্দ্র লিখেচো—বার রাসে নীচে তাদের মধ্যে একটি করে কৃষ্ণ এবং তার দু-পাশে দুটি ক’রে রাধ লেজে থাকে। এই ত:থা কিছু ভুল আছে। কৃষ্ণ সাtঞ্জ একটি ছেলে আর একটি মাত্র ছোট মেয়ে রাধা সোজ রাসমণ্ডলের মধ্যে দাড়িয়ে নৃতা করে । অঙ্গীত মেয়ের সবই গোপিনী সেজে থাকে। বাসস্তী-পূর্ণিমার রাত্রে বসন্তস্নান' নামে আর একটি রাধাকৃষ্ণের লীলামৃত হয় । এ-ছাড়া মণিপুরীদের মধ্যে 'মারিগ-ভাগই’ এবং খুবক-ইসাই নামে গারও দুই প্রকার নাচের চলন আছে। প্রথমোক্তটিতে চার জন মাত্র নৰ্ত্তীয় প্রয়োগুল ; শেষোক্তটিতে মেয়ের গানেল সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গেীরে হাততালি দিয়ে নৃতা করে । কখনও কখনও মৃত্য-অন্তে মেয়েপুরুষ উভয়ে মিলে সংকীৰ্ত্তন করে । বরকতক দেবমন্দির পদক্ষিণ ক’য়ে পুরুষ এবং মেয়ের দুই সারিতে বিভক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে ধীয় । পুরুঘর বাঙ্গীয় বড় বড় করতাল আর মেয়েরা করতালি দিতে দিতে কীৰ্ত্তন গায় । মণিপুরী নৃত্য-উৎসবকালে নাটমন্দিরের অপরূপ সাজসজ্জা, নর্তীrদর বেশভূষার বাঁহীয় এবং বর্ণবৈচিত্র, তাহাদের সলীল ও সাবলীল মুতা যেমন নয়নের পরিতৃপ্তি সাধন করে তেমূনি তাদের কণ্ঠনিঃস্থত চওঁীদাস-প্রমুখ বৈষ্ণব মহাজনদের পদাবলীসঙ্গীতও নিরতিশয় স্বশ্ৰাবা হয়। কিন্তু তারা বৃথন খুব উচু পর্দায়, নাকিম্বরে মারাত্মক কম্পনযুক্ত তাদের জাতীয় সঙ্গীত জুড়ে দেয় তখন বিরক্তির অবধি থাকে না । তার উপর থেলি বাজিয়েরা স্তীবায় প্রাণপণ শক্তিতে খোল বীচি ষ্ট্রে কানে তালা ধরিয়ে দেয় । এই বেলুরো চীৎকার এবং আকাশ-ফাট থোলের আওয়াজ রসোপলব্ধিপক্ষে বিশেষ ব্যাঘাৎ ভষ্মীর। ছেলেদের মুতা বা “রথিাল-বৃত্যে’র নাম সঞ্চইবা । রাসপূর্ণিমার দিন অপরাহুকালে ছেলেরা শ্ৰীকৃষ্ণের গোষ্ঠলীলার অভিনয় করে । এতে একটি যুবতীকে যশোমার অংশ অভিনয় করতে হয় । মে-সমস্ত ছেলে এই মৃত্যাভিনয়ের সামিল হয় তাদের মধ্যে দু-জনকে সাজতে হয়