পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যে প্রাদেশিকতা শ্ৰীঅবিনাশচন্দ্র মজুমদার সাহিত্যে প্রাদেশিকতার স্থান কি, এই সমস্যা অতি পুরাতন। এক দলের মত এই যে, প্রাদেশিক শ্বস্ব ও বাক্যরীতির বহুল প্রয়োগে সাহিত্যের মর্যাদা নষ্ট হইবে । আর এক দলের মত এই সেদিনও ময়মনসিংহে “বঙ্গীয় জনসাহিত্য-সম্মিলনে” জোরের সহিত প্রচারিত হইয়া ছ। ইহার বলেন যে, প্রাদেশিক শক ও বাক্যরীতি লিপিত সাহিত্যে প্রবেশ করাইলে সাহিত্যের শ্ৰীবৃদ্ধি হইবে। এই দুই বিরুদ্ধ মতের সারবত্ত বাহাই হউক, একটি বিষয়ে প্রাদেশিকতার স্থান সকলেই স্বীকার করিয়া লইয়াছেন । বহু প্রসিদ্ধ গ্রন্থকার গল্প ও নাটকাদিতে ফথাবার্কার সময়ে গ্রন্থেীক্ত ব্যক্তিগণের মুথে দেশের কোন কোন অঞ্চলের কথা ভাষার ব্যবহার প্রচলিত করিয়াছেন এবং তাঁহাতে রসবোধ ক্ষুঃ ন হইয়া বরং বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছে। ঐ সকল ব্যক্তি বাস্তবিকই নিজ নিজ প্রাদেশিক ভাষায় কথাবার্তা কহিয়। থাকেন। কাজেই, এই স্বাভাবিকত্ব রক্ষিত হওয়াতে, ঐ সকল স্থলে ভাযার সৌন্দর্য বুদ্ধি পাইছে । কিন্তু এই বিষয়েও একটি প্রশ্বের বিচার আবগুক হুইয়া পড়িয়া:ছ । স্থলবিশেষে গ্রন্থেীন্দ্র ব্যক্তিগণের মুপে এই প্রকার প্রাদেশিক ভাষার যে প্রয়োগ সাহিত্যে দেখা পাইতেছে তাহ নানা রকমের । দীনবন্ধু মিত্রের 'নীলদর্পণে তেরীপ প্রভৃতির মুথে প্রাদেশিক ভাষার নিভূল ব্যবহার দেখা যায়। বাস্তবের সহিত সঙ্গতি রক্ষিত হওয়াতে এরূপ প্রাদেশিকতার প্রচলনে কোন রসভঙ্গ ঘটে না, বরঞ্চ অভিনবত্বের আস্বদিনজনিত একটা নূতন রসের সম্ভব হয়। কিন্তু বা অপ্রসিদ্ধ এবং অমৃতলাল বম্ব মহাশয়ের ল্পায় বহু প্রসিদ্ধ গ্রন্থকারের রচনায় ব্যক্তি-বিশেষের কথাবার্তায় আর এক রকমের প্রাদেশিকতা দেখা যায়। এই সকল স্থলে গে-ভাষার ব্যবহার হইয়াছে, তাহা কোন আঞ্চলের প্রচলিত ভাবা মহে, অতএব স্বাভাবিক নহে। స8-33 - - - - o - ਾ ਾ। -"ਾ - i ...। - & ਾਂ - s - - - - - --- - - - - --- - - ইহার ফলে কিরূপ রসের আবির্ভাব হয় ? ঐ সকল ব্যক্তি যে অঞ্চলের লোক, তত্ৰত চলিত ভীষীর সহিত অপরিচিত লোকের মনে হান্তরসের আবির্ভাব হইতে পারে। কিন্তু এই ভধিীর সহিত পরিচিত শ্লথবা এই ভাষায় কথাবার্তা কহেন এরূপ লোকের মনে ক্রোধের উদ্রেক হওয়াও বিচিত্র নহে। অতএব প্রাদেশিক ভাষার এরূপ প্রয়োগ অসঙ্গত ও অস্বাভাধিক বলিলা সাহিত্যের মাৰ্ব্বভৌম গৌরবের হানি করে এবং লেখককেও অপ্রশংসার পাত্র করিয়া ੋਲ পীয়ে । নীলদর্পণ প্রভৃতির প্রাদেশিক ভাষা স্বাভাবিকত্ব গুণে লেখকের প্রশংসার কারন্থ হইয়াছে । সম্প্রতি সরেশচন্ত্রের “শ্যেপথে" চাকা ও ময়মনসিংহের এক অঞ্চলের প্রাদেশিক ভাষার স্বাভাবিকত্বও অনুরূপ দাবি করিত্তে পারে । কিন্তু সাহিত্যিকের নামে একটি লেখায় যে অস্বাভাবিক প্রাদেশিকত দেখা দিয়াছে, উহার তাৎপৰ্য্য কি ? “কুমিল্লানিবাসী ভারক তরফদারের” মুখে যে ভাষা দেওয়া হইয়াছে তাহ বাংলা দেশের কোন অঞ্চলেরই প্রচলিত ভাষা নহে। “জ্যেইষ্টটি ল’ পাশ করলে, হাজারিবাগে বিয়ে দিলুম। শ্বশুর বর উকিল, তার . তালিমেই বানুষ করবার লাগি দিলাম। বিটা কিন্তু বধুর তালিম স্বীকার কইরে কছু খাইয়ে গেল, ফিরলেক নাই।” ইত্যাধি, কে অঞ্চলের ভদ্র সমাজের প্রচলিত ভাষা জানি না । অভিজ্ঞ লোর্কের নিকট ইহা অতি বীভৎস বোধ হইব । ইহার অস্বাভাবিকত্ব যদি অনিচ্ছাকৃত হয়, -- - বৰ্ত্তমান কাল আর একজন প্রসিদ্ধ - - অর্থাৎ লেখকের অজ্ঞতাপ্রস্থত হয়, তবে এরূপ প্রাদেশিকত । - প্রয়োগের বৃথা চেষ্টা প্রশংসনীয় নহে । দি ইচ্ছন্ত হয়, অর্থাৎ তরফদার লোকটির অস্বাভাবিক ভাষার • ছোট গল্প শারদীয় বtল্যাপাধ্যায় । সংখ্যা—“কুকৰ্ম্মফেঞ্চ-স্ত্রকেদ্বায়নাৰ