পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊՅԵս কথারও নাই। - অাইনটাতে কেfথfও লেখা নাই, যে, উহ। কোনকালে উঠা যাইব । আমাদের মনে হয়, নামে ও কাজে-অন্ততঃ কাজ-কখনও স্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হইলে উহ। রদ হইতে পারে, ইংবেঙ্গপ্রভুত্ব থাকিতে রদ হইবে না। তাহার নক্ষ্মীর আছে। একটা নজীরের উল্লেখ করিতেছি । ১৮১৮ সালের তিন নম্বর রেগুলেশানের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ-ভারতের বাহিরের রাষ্ট্র হইতে আগত লোকদের দীরা যড়যন্ত্রের ফলে বাঁহাতে উহার সহিত বাহিরের রাষ্ট্রের গোলযোগ না বাধে তাহার ব্যবস্থা কর । এরূপ গোলযোগ নিবারণই যে ইহার উদ্দেশ্য ছিল, তাহা দেওলীতে নিৰ্ব্বাসন-বিষয়ক আইন সম্বন্ধে ব্যবস্থাপক সভায় বৈদেশিক সে:দ্রুটল্পী মি: মেটকাফও বলিয়াছেন । কিন্তু ঐক্ষপ গেলযোগের সম্ভাবনা দীর্ঘকাল লুপ্ত হইয়া:ছ। অথচ রেগুলশানটা ঠিক যুক্তায় আছে । আধুনিক কালে যত লোককে ঐ ৩ নং রেগুলেশনের জোরে নিৰ্ব্বাসিত করা .- হইয়াছিল—এখনও যাহারা উহার প্রয়োগে বন্দী আছেন, তাহীদের কাহারও বিরুদ্ধে ওরূপ অভিযোগ দেশের লোকদের কাছে দায়িত্বহীন আমাদের গবন্মেণ্ট পর্যন্ত করেন নাই। র্তাহীদের সকলেরই বন্দীদশার যে যে কারণ বলা হইয়াছে তাহা অষ্টবিধ। প্রকৃত কথা এই, যে, গবন্মেণ্ট কোন ক্ষমতা, কোন অস্ত্র, ত্যাগ করিতে চান না। যে-কারণে স্বে-অবস্থায় যে-উদ্দেশ ক্ষমতা লওয়া হয়, প্রয়োগও যে বরাবর তদনুযায়ী হইবে, এমন কি বাধ্যবাধকতা আছে ? সেই জন্ত মনে হয়, সঙ্গীসনবাদ লুপ্ত হইলও গবন্মেণ্ট দেওলীনিৰ্ব্বাসন আইনটা সৌখ্যালিষ্ট (সমাজতন্ত্রবাদী) ও কমুনিষ্টদের (সাম্যবাদী দর) হিতকল্পেী বজায় রাখিবেন। কমুনিষ্ট দলকে ত গবন্মেণ্ট ইতিমধ্যেই বেআইনী বলিয়া ঘোষণা করিয়াছেন । রণনীতিজ্ঞ লোকদের মধ্যে একটা কথা চলিভ আছে, বে, স্বপক্ষ বৃক্ষীর শ্রেষ্ঠ উপায়, আক্রমণ করিবার সুযোগ অন্ত পক্ষক্ষে না দিয়1-অদ্য পক্ষ সক্রিমণ করিবার আগেই, স্বয়ং তাঁহাকে আঘাত করা। বাংলা-গবন্মেণ্ট সদাসনবাদ সম্বন্ধে বোধ হয় এই নীতি সুবলম্বন করিয়া চলিতে:ছন। যত যুবকের পক্ষে সন্ত্রাসক হওয়া সম্ভব বলিয়া পুলিসর মনে হয়, সকলকে আগে হইতেই গ্রেপ্তার &প্রবাসী; t o l ఏ983 ও বন্দী করিয়া কাবু করা হয়। কমুনিষ্টদর সম্বন্ধেও বোধ হয় এই নীতি অবলম্বিত হইয়াছে। সন্ত্রাসনবাদের উদ্ভবের কারণ ও প্রতীকার স্বরাষ্ট্রসচিব স্তর হেনরী ক্রেক বলেন, যে, শুধু দেওলীতে নিৰ্ব্বাসন দ্বার সন্ত্রাসনবাদ বিনষ্ট হইবে না— উহীর মূীভূত যেসব সামাজিক ও আর্থিক সমস্ত আছে তাহার সমাধান চাই । সরকারপক্ষের লোকেরা সৰ্ব্বদাই এই ধরণের কথাই বলন, সন্ত্রাসনব’দের রাজনৈতিক কোন কারণ আছে কিন, তাহ প্রায় এড়’ইয়া চলেন। অথচ সন্ত্রাসন-প্রচেষ্টার সহিত লে রাজনীতির সম্পর্ক আছে, তাহাত সন্দহ নাই । সরকারপক্ষ সামাজিক কি কারণ স্থির করিয়াছেন জ্ঞানি মা, হুতরাং উহাদের অনুমানের বিচার করা চলিব না । কিন্তু সরকারপক্ষ এবং অনেক বেসরকারী লোকও মৃ:ন করুন, বিস্তর যুবকর বেকার অবস্থা সন্ত্রাসনবাদের কারণ । তাহীদের কথার প্রমাণ র্তাহীদের দেওয়া উচিত। স্যসক কাজের জন্ত যাহাঁদের ফাসী, নিৰ্ব্বাসন বা কারাদণ্ড হইয়ছে, ভহীদের মধ্যে একটি একটি করিয়া তাহারা দেখান, বে, তাহার চাকরিয় উমেদার ছিল, তাহাদের বাড়িতে থইবীয় পরিবার সঙ্গতি ছিল না, তাহার স্কুল বা কলেজে ছাত্ররূপে পড়িতেছিল না । তাঁহা হইলে তাহাঙ্গের কথা প্রমাণিত হইব । স্কুল বা কলেজের ছাত্রদিগকে বেকার বলা চলে না, কারণ পঠদ্দশা উপাৰ্জ্জনের সময় নহে—যদিও পড়িবার খরচ চালাইবার জন্য কেহ কেহ গৃহশিক্ষকতা করে। বিন বিচারে যে বংশত যুবক বন্দী আছে, তাহদের কভ গুন চাকরীর উমদার ছিল, তাহাদের পারিবারিক অবস্থা কিরূপ ছিল, ইত্যাদি বিষয়েও অনুসন্ধাম হওয়া উচিত । দেশের বিস্তর লোকের বেকীর অবস্থা সন্ধাসকদের মতপ্রচারের একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত করিতে পারে বটে, কিন্তু সন্ত্রাসনবীদের মূল কারণ যে রাজনৈতিক, ইহা শুধু পেশাদার সাংবাদিক বা আন্দোলকদের কথা নহে, ধামকশ্রেণীর বেসরকারী লোকেরাও এরূপ কথা বলেন । জমিদার-সভা ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েশ্যনের উদ্যাগে বঙ্গে সন্ত্রাসনবাদের উচ্ছদ সাধনার্থ একটি কমিটি