পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| - ভাত্র বেকার-সমস্যা ও শিক্ষা-সঙ্কোচন ভারতবর্ষের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে ইংরেঞ্জ-রাষ্টত্ব একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় নাই । কিন্তু গড়ে দেড় শত বৎসর আগে প্রতিষ্ঠিত হইয়:ছিল বলিলে ভুল হয় না । এই দেড় শত বৎসরের অাগে ভারতবর্ষ বর্ণমালাহীন সাহিত্যহীন বেশ ছিল, ইহা যদি সত্য হইত, তাহা হই লও এই দীর্ঘ দেড় শত বৎসরে নিতান্ত শিশু ছাড়া ইহীর সব মানুষকে লিখনপঠনপক্ষ করা বাইত। তাঁহা যে করা হয় নাই, তাহতেই বুঝা যাইবে, যে, শিক্ষাবিস্তারের দিলে গবন্মেণ্টের ঝোঁক নাই । সেই কারণে, বৰ্থন কয়েক মাস আগে সরকারী চেষ্টীয় উৎপন্ন কন্‌ফারেন্সে কথা উঠে, যে, যুঙ্গের ১২০০ উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়কে ৪০০তে পরিণত করিতে হুইব, তখন মনে হুইয়াছিল, শিক্ষার উৎকর্ষসাধন ইহার উদ্দেশ্য ততটা লয় যতটা শিক্ষার সঙ্কোচসাধন । এথানে একটা কথা বলিয়া রাখি। বঙ্গ ম্যাঢ়ি কুলেশ্বন পরীক্ষণ দেৱ যাইশ-তেইশ হাজার ছাত্রছাত্রী। ইহাতেই অনেকে মনে করেন, যঙ্গে উচ্চ ইংরেজী স্থলের শিক্ষণ অতিবিস্তীর লাভ করিয়াছে। ইহা সম্পূর্ণ ভুল ও সত্যের বিপরীত । তাহ নীচের তালিকা হইতে বুঝা যাইদে। প্রদেশ লোকসংখ্যা মাটিক পরীক্ষার্থীর সংখণ বোম্বাই د ء ئ,- :',ه د,چ x్న, -- 4 *R ఇచిav•,ya বাংল। و8 لا, لا موه s ۹۵ جة * - • বঙ্গের লোকসংথ্যা বোম্বাই ও পঞ্জীবের প্রত্যেকের দ্বিগুণের অনেক বেশী। স্বতরাং বঙ্গে যদি ২৩,০০০ মাটিক পরীক্ষার্থীর জায়গায় ৫০,০০০ হইত, তাহা হইলেও অনুপাতে বোম্বাই বা পঞ্জীবের চেয়ে বেশী হইত না । ইহা অবশ্য মৃত্য, যে, বঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার মাধ্যমিক (secondary ) শিক্ষার তুলনীর কম হইয়াছে। কিন্তু এই অসামঞ্জস্ত প্রাথমিক শিক্ষার অধিকতর মিস্তার দ্বারা দূর করিতে হইবে, মাধ্যমিক শিক্ষার সঙ্কোচন স্থীরা মহে । মাধ্যমিক শিক্ষার সঙ্কোচসাধন করিলেই কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র কমিবে এবং উচ্চ শিক্ষার সঙ্কোচও সাধিত হইবে। এই বিষয়ে কিছু বলিতে চাই। বিবিধ প্রসঙ্গ—ৰেকার-সমস্যা ও শিক্ষা-সঙ্কোচন ՊձՏ শুনা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ. শিক্ষার মস্কোচসাধন দ্বার সরকার বেকার-সমস্তার সমাধীন করিতে চান । ইহা অবগু ঠিক, যে, শিক্ষার বিস্তার কমিলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কমিৰে । কিন্তু তাহাতে বেকারের মেটি সংখ্যা কমিবে কি ? শ্বাহীরা শিক্ষিত অবস্থায় বেকার, তাহীরা ঘদি শিক্ষিত না হইত, তাহা হইলেই কি তাহাদের কাজ ফুটিত ? শুনিতে পাই, সরকারপক্ষ নাকি মনে করেন, শিক্ষার বিস্তৃrর কমিলেই বেকরের fট সংথ্যা কমিবে । তাহারা নাকি বলেন, এখন সবাই একটা দুটা বা তিনটা চারটা পাস করিয়া কেরানীগিরি বা অল্প চাকরির উমেদরি হয়, কৌলিক বৃত্তির অনুসরণ করিতে চায় না : শিক্ষার সঙ্কোচল ধন করিলে অনেকে চাকরিপ্রাণী হইতে , পরিবে না, কৌলিক বুত্তি অবলম্বন করিবে। কথাটা শুনিতে বেশ, কিন্তু বস্তুতঃ অসীর । কারণ, বৃহৎ বৃহৎ অনেক মিদেশী ও কিছু দেশী কারখানার প্রতিযোগিতায় পশ্যশিল্পীদের অধিকাংশের শিল্পকাৰ্য্য নষ্ট হইয়াছে ও অন্ন মারা গিয়াছে। যাহারা জাতিতে তত্ত্ববায়, তাহীদের সকলের ব৷ অধিকাংশের উতি চালাইয়া দিন গুজরীন হইতে পারে না। যাহারা জাতিতে কৰ্ম্মকার, লোহার, স্বর্ণকার, সুবর্ণবণিক, কীংস্তবণিক, শম্বণিক, কুম্ভকার, স্বত্রধর, নৌকা ও জাহাঙ্গ নিৰ্ম্মাতা, নৌচালক ইত্যাদি, তাহীদের সকলের এখন কৌলিক বৃত্তি দ্বারা জীবিকানিৰ্ব্বাহ হওয়া অসম্ভব। এই কারণেই নানা জাতির অনেক লোক অগত্যা চান্ধী হইয়াছে, এবং তাহার ফলে বঙ্গে গড়ে এক এক চাষীর" অংশে ধৃত কম গুমি পড়িয়ছে, ভারতবর্ষের জন্ত কোন ? প্রদেশে তত কম নয়। যে-পরিবারের কৌলিক বৃত্তি আগে ঘাঁহাই থাকুক ন কেন, এখন সেই পরিবারভুক্ত প্রত্যেক মানুষের তাহাঁই অবলম্বন করা কাৰ্য্যতঃ চলিবে না। কেহ তাহা করিতে পারে, কেহ বা অন্ত কিছু করিতে পারে। প্রাচীম কলে, অতীতে, লোকে প্রধানতঃ কৌলিক বৃত্তি অবলম্বন করিত বটে ; কিন্তু তাঁহা সকল স্থলে অনতিক্রাস্ত ও অনতিক্রমণীর নিয়ম ছিল না। ইতিহাসে শূদ্র ও ব্রাঞ্জণ যোদ্ধা ও রাজ্যসাম্রাজ্যস্থাপকের - দুষ্টান্তু রহিয়াছে।