পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভtছত্র বিবিধ প্রসঙ্গ—ভারতীয় সামরিক অফিসারদের ক্ষমতা ግዬግ সুরকারপক্ষ হইতে ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় বলা হইয়ছে, যে, এ-পর্য্যস্ত ঘদিও এ কোম্পানীতে কোন ভারতীয়ের অংশ নাই, কিন্তু ভারতীয়দের ইহর অংশ কিনিতে বাধা নাই। সুতরাং "পিপ্তিরক্ষা”-দীতি অনুসারে ইহার সানাল্প কিছু অংশ ভারতীয়দিগকে কিনিতে দেওয়া হইতেও পারে। ইহা ভারতবর্ষে রেজিষ্টরী হইয়াছে, এবং হয়ত এক জন পৌষ-মানা ভারতীয় ডিরেক্টরও রাখা হইবে। কিন্তু ইহা প্রকৃত ভারতীয় কোম্পানী কোন প্রকারেই হইবে না। তারতীয় বাসায়নিকগণ সব রকম রাসায়নিক দ্রব্য ভারতে প্রস্তুত করিতে যদিও সমর্থ, তথাপি এই কোম্পানীর মারফৎ প্রভূত ভারতীয় ধন বিদেশে চলিয়া ধাইবে। শুধু তাই লয়। এই কোম্পানী ভারতীয় রসায়নিক কোম্পানীগুলির লোপ-প্রাপ্তির কারণও হইতে পারে। পঞ্চাবে আপাততঃ ইহার কাজ আরম্ভ হইবে। ঝিলাম জেলায় লবণ ও চূর্ণ ভূগর্ভ হইতে উত্তোলনের একচেটিয়া অধিকার ইহাকে পঞ্চাশ বৎসরের জন্ত দেওয়া হইবে, এইৰূপ কথা হইছে। ভাতগবশ্লেষ্ট জাতীয় গবন্মেণ্ট হইলে ভারতের কোথায় কি প্রাকৃতিক পদার্থ হইতে প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রস্তুত করিয়া দেশ সমৃদ্ধ হইতে পারে, তাহার খবর সর্বসাধারণকে স্বভাবতই আগে দিতেন এবং দেশী লোকদের দ্বারা এই কাজ করাইবার চেষ্টা করিতেন । কিন্তু এমন কোন আইন নাই যাহা বৰ্ত্তমান গবন্মেণ্টকে দেশের লোককে এরূপ সুবিধা দিতে বাধ্য করিতে পারে। কিন্তু লাট বড়লাট ও অন্তান্ত রাজপুরুষের উহাদের কৰ্ম্মস্থত্রে অনেক খবর পান, এবং হধোগ, প্রভাব ও ক্ষমতা থাকায় অনেক খবর সংগ্রহও করিতে পারেন। তাহা পরে কাজে লাগান, যেমন লর্ড রেডিং লাগাইতেছেন। লর্ড কাজন ষে বলিয়াছিলেন, য়্যাডমিনিষ্ট্রেশান ও এক্সপ্লক্সটেশ্যন একই জিনিষের ছুট দিক, তাঁহা তিনি ধে-অর্থেই বলিয়া থাকুন, তাহা লর্ড রেডিঙের মেলার সহজ অর্থেই কিছু বিলম্বে সূতা বলিয়া প্রতিভাত হইতেছে । হিণ্ডেনবর্গ হিঞ্জেনবর্গের মৃত্যুতে জামেনীর প্রসিদ্ধতম এক জন ধৌদ্ধ ও রাজনীতিজ্ঞের তিরোভাব হইল। তাহীতে জামেীর কি পরিমাণ ক্ষতি কোন দিকে হইল তহি ঠিক ক রিয়া বলা বায়ু না । তিনি বাঁচিয়া থাকিতেও হিটলারই সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব ছিলেন । -নারীর উপর অত্যাচার বৃদ্ধি ১৯৩২-৩৩ সালের বঙ্গীয় সরকারী শাসন-রিপোর্টে দেখাইবার চেষ্টা হইয়াছিল, বে, নারীদের উপর অত্যাচার -- মূলক অপরাধ বাড়িতেছে না, যদিও ১৯৩২ সালের বঙ্গীয় পুলিস রিপোর্টে তাহার বিপরীত কথা ছিল, তাহা আমরা প্রবাসীতে উদ্ধৃত কবিয়াছিলান। ১৯৩৩ সালের পুলিস রিপোর্টের উপর গত ৮ই আগষ্টের কলিকাতা গেলেটে প্রকাশিত গবন্মেন্টের রিজলুশনে বলা হইতেছে, নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ আবীর বাড়িয়াছে, অর্থাৎ আগে আগেও বাড়িতেছিল । গবন্মেণ্ট বলিতেছেন, যে, এইরূপ অপরাধীজিগের বেত্ৰাঘাত ধও প্রবর্ধিত করা হইধে কি না, বিবেচিত হইতেছে । আমির সাধারণতঃ বেত্ৰীবাত দণ্ডের লহি। ভবে ঐ দ্বগুটা বজায় থাকিলে এই রকম অপরাধীরাই মোধ হয় তাহার যোগ্যতম । দলবদ্ধভাবে নারীহরণ ও ধর্ষণের জঙ্ক ধাৰঞ্জীবন নিৰ্ব্বাসন, হত নারীদিগকে খুজিয়া না-পাওয়া গেলে অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, যাহারা ভাতা নারীকে লুকাইয়া ৱাধিতে সাহায্য করে, তাছাদেরও স্বাখাৰোগা শাস্তি—এই সব ধ্যবস্থ হওয়া উচিত । প্রতুলচন্দ্র সোম প্রতুলচন্দ্র সোন মহাশয় বিষ্যাত লোক ছিলেন না; কিন্তু তিনি "ইণ্ডিয়ান মেসেঞ্জারে’র সম্পাদকরূপে ভারতবর্ষের, রঙ্গের, ব্রাহ্মসমাজের এক জন নিষ্ঠাবান সেবক ছিলেন । তিনি উত্তম বাংলা ইংরেজী লিখিতে পারিতেন । দর্শনের ধৰ্ম্মতাত্বিক অংশের, রামমোহন রায় ও কেশবচন্দ্র সেনের ধৰ্ম্মমত বিষয়ে এবং ব্রাহ্মসমাজের ক্রমবিকাশ লম্বন্ধে তাহার প্রশংসনীয় জ্ঞান ছিল । তিনি ভক্ত সাধক ছিলেল। লত দিন সুস্থ শরীরে সম্পাদকীয় কৰ্ত্তব্য করিতে পারিয়াছিলেন, তত দিন চিস্তাশীলতা ও স্বাধীনচিত্ততার সহিত নিজের কাজ করিয়া গিয়াছেন । ভারতীয় সামরিক অফিসারদের ক্ষমতা ভারতীয় সেনাদল সম্বন্ধে একটা নূতন আইন হইতেছে। তাহার একটা ধারায় সংশোধনে স্তর আবদুর রহিম এট প্রেস্তাব অনিয়ছেন, ধে, ঐ অইিন অনুসারে বেসামরিক অফিসারো নিযুক্ত হইবেন, তাহদের পদমর্যাদা ক্ষমতা অধিকার পদোন্নতি প্রভৃতি ব্রিটিশ অফিসারদের সমান হইবে । গবষ্মেন্ট প্রথমতঃ এরূপ সংশোধন প্রস্তাৰ অসিতে পারে না বলেন, কিন্তু ব্যবস্থাপক সভার সভাপতি বলেন, আসিতে পারে। সুতরাং উহার আলোচনা হইবে। ফল কি হয়, দেখা ধাকৃ। স্তর আবদুর রহিমের প্রস্তাবটি খুব ভৗগ ইয়াছে। সভাপতিও খুব নিরপেক্ষ ছায়সঙ্গত মত দিয়াছেন ।