পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊՊՑ, పెని3ఎ করেন ও “চৌকা” প্রভৃতি ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে মৃতদের প্রতি কৰ্ত্তব্য { অনুবক্তা রামানদী বৈরাগীর দল ঝাড়খণ্ডে আসিয়া মঠ ও পুর্ণ করেন । কবীরপন্থী ওরাওঁরা নিজেদের সম্প্রদায়ের বহিরের ওর গুদেব সঙ্গেও বিবাহদি সম্বন্ধ করেন । ইহার" র্তাহীদের “মছুয়া” অর্থাৎ মদ্যপ ওরাওঁ বলেন। মচুঃথরের কঙ্গ আসিলে তাহীকে দীক্ষিত কঞ্জিয় লন । সে কস্তা তখন শুদ্ধাচার মানিয়া চলেন । মছুয়া-ঘরে কল্পীকে দিলে পিতামাতা তাহার হতে থান না । এই কবীরপন্থের প্রভাবে ঝাড়খণ্ডে এই সব জাতির মধ্যে এমন একটি নৈতিক আবহাওয়ার স্বষ্টি করিয়াছে যে পরে মুণ্ডাদের মধ্যে বীরণ। ভগত ও ওরাওঁদের মধ্যে বিখ্যাত টান ভুগতের উপদেশ সম্ভব হইয়াছে। র"চী জেলায় ঘাঘরা থানায় বাটকুরী গ্রামে এক নারীও ধৰ্ম্মগুরুর স্থান গ্রহণ করিয়াছেন । টানা ভক্তদের কথা অতিশয় চমৎকার। এ-বিষয়ে শ্রদ্ধেয় শরৎ চন্দ্র রায় মহাশয় বিস্তৃত ভাবে লিখিয়াছেন । যাহাদর জানিবার ইচ্ছ। তাহারা তাহার ওরাওঁ ধৰ্ম্ম ও সামাজিক of (Oraon Religion and Customs) also of "গ্রন্থখানির মধ্যে তাহ পাইবেন । এই ঝাড়খণ্ডে যে শৈব ও বৈষ্ণব ভক্তদের প্রভাব বিস্তৃত হইয়াছে তাহারও স্থলে কতকটা কবীরপন্থী প্রভাব । মোট কথা, দেখা যাইতেছে ১৪৭৫ খ্ৰীষ্টাব্দের কাছাকাছি ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম ভাগে বিলাসপুরেরও পশ্চিমে কবীরের জাদর্শ ও ধৰ্ম্ম লইয়া, ধৰ্ম্মদাস সাধনা ও প্রচার করিতে থাকেন । সেখান হইতে তাহা ক্রমে পূৰ্ব্ব দিকে প্রসারিত জুইতে থাকে । کوه و ইছার প্রায় ৫৬ বৎসর পর অর্থাৎ, ১৫২৫ খ্ৰীষ্টাঙ্গের কাছাকাছি মহাপ্ৰভু চৈতন্তের সংস্পর্শে ব্ল"র্চীর দক্ষিণপশ্চিমে বুড় প্রভৃতি মঠ স্থাপিত হয়। পরে মালভূম প্রভৃতি স্থান হইতে আসিয়া গৌড়ীয় বৈষ্ণবের ঝাড়খণ্ডে ভক্তিসাধনা প্রচার করিতে থাকেন। তাই ঝাড়খণ্ডে প্রাচীর কাছাকাছি এখনও সেখানকাৰ আনি অধিবাসী ੋੜ মুখে বাংলা কীৰ্ত্তন শুনা যায়। প্রথমে মনে হয় গানগুলি বুঝি সেই দেশীর ভাষায় । একটু স্থির হইয়া শুনিলে ক্রম বুঝা যায় সেই সব গানের পূঞ্জৰাংলা + a. ১৪•• খ্ৰীষ্টাবের কাছাকাছি মারারগঞ্জ রাজকীয়াসের আখড়া স্থাপন করেন । রামানীর প্রোয়ই গয়া ও পালামেী পথে আসেন । শেরশাহী রাজপথের দুই দিকে চড়ি বা অতিথিশালার ভার লইয়া অনেক বৈরাগী ঝাড়খণ্ডের BDS BB DDS BB BBB S BBBBS BBBB BBS উপাসনা প্রচার করেন । ১৬৫০ খ্ৰীষ্টাব্দের পর কাশী হইতে শৈব-সাধুর দুই-এক জন করিয়া ঝাড়খণ্ডে আসিতে থাকেন । তাঁহার কতকগুলি নিয়ম দিয়া ঝাড়খণ্ডের সরল অধিবাসীদের মধ্যে প্রচার আরম্ভ করেন । সেহ সমস্ত শিয্যাদর নাম “নেমহী” অর্থাৎ নিয়মধারী । কাশী হইতে আগত শৈব-সাধুদের মধ্যে ত্রিলোচন ও ভীমদেব ছিলেন তান্ত্রিক সাধনাতেও প্রবীণ । তাহদের পরে আসেন বীরভদ্র ও বামদেব । র্তাহীদের শিয্যর অনেকে ঝাড়খণ্ডেই বসবাস করিতে থাকেন । র্তfহাদের মধ্যে এক জন ১৭৫০ খ্ৰীষ্টাব্দের কাছাকাছি এক জল স্থানীয় অধিবাসীকে তাহদের শৈবমতে দীক্ষা দেন । এই ওরাওঁ শিষ্যের নাম গুরু রাখিলেন, “ভৈরব” । এই ভৈরব তগতের বাড়ি র"চী থানার অধীন তুম্বাপুরী গ্রামে । ভৈরবের পুত্র কৃষ্ণ ভগতও শৈব ও তান্ত্রিক সাধনায় প্রবীণ হইয়া উঠিলেন । ক্রমে ভৈরব ও কৃষ্ণ ভগতের সন্মান এমন বিস্তৃত হইল যে, ছোটনাগপুরের রাজা দেওনাথ শাহী, ও তাহার পত্নী ইছাদের শরণাগত হইলেন । ইহাদের শিষ্যরা এখন অনেক স্থানে স্বয়ম্ভু লিঙ্গ নামে শিবশিলা পুজা করেন । সেই শিবকে এখানে ছুইফোড় শিব বলে । ছুইফোড় ভগতর জট ব্লারেন ও অনেক নিয়ম পালন করেন। তাহাঁদের অলৌকিক শক্তিও হয় । উত্তর-পশ্চিম শ্লোকুলের ৪ বৃন্দাবলের গোঁসাইরাও কেহ কেহ এই ঝাড়খণ্ডে কৃষ্ণভক্তি শ্রচার করিয়াছেন। যেসব ওরাওঁ ইহাদের ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছেন তাহার মৎস্ত আর পরিত্যাগ করিত্বে বাধ্য। গোসাইরা মাংসাহারী ওৱাওঁদের গেদান করাই স্বত্ব করি তবে দীক্ষা দেন। এই সব লক্ষিত্মবৈঞ্চকর রথযাত্র জন্মাষ্ট্র প্রভৃতি তিনি পালন করেন। তারার জ্ঞাওঁ ভাষাতৃেভক্তি ও গ্রেমের গামও করেন । , ' ':: - 1; " ;