পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وع محياه

  • & ot-fiz-i Ş

ఏ983 কন্ত হইয়া জন্মানোর অপরাধ লইলেন না । আজি মেয়ের জঙ্ক নূতন রাঙা চেলি, সোনার চুক্ষি, জাবাল্যের ঈপ্সিত হার, পিথিপাটি, মল, কুমৃকো—নান গহন আসিল । গৃহস্থের ঘরের মতই অল্পস্বল্প হাল্কা অলঙ্কার, তবু নারায়ণীর চক্ষে ইহাই ত আলাদিনের ঐশ্বৰ্য্য । জীবনে এত অলঙ্কার সে.পর্শ কয়ে নাই কোনোদিন । এত দিনের অভিমান ভুলিয়া আজি নারায়ণীর কচি মুখে মধুর হাসি ফুটিয়াছে । রক্তাস্বরে দেবীপ্রতিমার মত সাজিয়া মায়ের কোল হইতে নারায়ণী স্বশুরবাড়ি চলিয়া গেল। ষে-গৃহে দুঃখের অল্প খাইরা সে মানুষ হইয়াছিল, সেখীন হইতে পরগৃহে যাইতে এই শিশুর বয়সেও যে বুকের প্রত্যেকটি শিরায় টান পড়িবে বিবাহের সময় বস্ত্ৰ-অলঙ্কার পাইবার আনন্দে নারায়ণী তাহ ভাবে নাই। কিন্তু কণ্ঠশিধদায়ের বেলা আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বাপ জ্যাঠা ম৷ সকলে যখন খদ্রের হাতে তাহার পুপকলির মত ক্ষুদ্র হাতখানি বায়-বার সপিয়া দিলেন, মা আগতপ্রায় অশ্র কোনোপ্রকারে সামলাইয়া বলিলেন, “বাবা, দুঃখিনীর মেয়ে তোমাকেই চিরকালের মত সাপে দিলাম। দুধের খছি ও, কোনে অপরাধ যদি করে, তোমার আপনার ব’লে ক্ষমা ক’রে । আদর কখনও পায় নি জীবনে, অাদরে বন্ধে দশ করে মায়ের দুঃখ ভুলিয়ে দিও বাছাকে ” তখন নারায়ণী মায়ের বুকের উপর আছড়াইয় পড়িয়া ক্ষুদ্র শিশুর মত কাদিতে হুরু করিল। এই চিয়জনাত বালিকাও অজানার ভয়ে মা’র কোলের আশ্রয়টুকু বার-বার অঁকড়াইয়া ধরিতে লাগিল । তাঁহার এই একটি দিনের সুখের কুসি আজই চোখের জলে স্নান হইয়া গেল । নুতন গহন-কাপড়গুলা খুলিয়া দিলে যদি আর শ্বশুরবাড়ি না-বাইতে হুইত, তাহণ হইলে বিল স্বাক্যব্যয়ে এখনই সে সমস্ত খুলিয়া ফিরাইয়া দিতে পারিত। কিন্তু সে গঁটছড়ায় বাধা পড়িয়ছে, জার যে উপায় মাই, তাহা এই কচি বয়সেও বুঝিয়াছিল । মা’র অন্তরের ভালবাসা ও বাহিরের অনাদরের স্মৃতিটুকু সম্বল করিয়া গরিবের মেঙ্গে নারায়ণী ধনীর ঘরের বধু হইয়া চলিয়া গেল । সংসারে শাশুড়ী নাই দুই দিন না-যাইতেই মাঞ্চী জপিন - সংসার বুধিয়া গইল । । . . જાહેર છે. \ * , দশ বৎসর বয়সেই নারায়ণীর প্রতি পিতৃকৰ্ত্তব্য পীতাম্বর শেষ করির ফেলিলেন । বিবাহের সময়ের শ-পাচ টাক এবং জন্মিবার সময় গোটা-দশ এই হইল নারায়ণীর দশ বৎসরব্যাপী জীবনে তাহার পিতার মোট খরচ । কারণ তখনকার কালে কস্তার বিবাহে পণ এখনকার মত হাজারের নামৃত পড়িত না, কুড়ির নামৃত পড়াই রেওয়াজ ছিল । মেয়েদের বিবাহে গায়ে ইউরোপীয় প্রথায় হীরার কিংবা অভাবপক্ষে মুক্তার গহনা দেওয়ার তখন প্রয়োজন হইত না, আটপৌরে রূপার এষং পোষাকী দুই-একথান সোনার গহন হইলেই পরিবারের মানসস্ত্রম অনায়াসে বজায় থাকিত। নকল হীরা ও নকল মুক্তার ব্যবসা করিয়া অবাঙালী ব্যবসাদারের বাঙালীর কষ্টার্জিত টাকাগুলি লুঠ করিতেও পারিত না । সে যাহাই হউক, পীতাম্বরের কুলপাবন পুত্র কিন্তু তাহাকে এত অল্পে নিস্তার দিল না । সে পুরুষছেলে, তাহার কাপড়, জাম, জুতা, মোজা, ছাতা, বই, খাতা সকল কিছুর খরচ ত ছিলই, তদুপরি পাঠশালা সাঙ্গ হইতেই আসিল জেলা-স্কুলের খরচ । একমাত্র পুত্রকে মুর্থ করিয়া রাখা ত চলে না ? পুত্র বিষ্ণুচরণ সেকালের এন্টান্স পাস করিতেই পীতাম্বর বলিলেন, “জমিদারী সেরেস্তার একটা কাজ থালি আছে ; বাবু বলছিলেন, বারো টাকা মাইনে, বিষ্ণুকে বসিয়ে দিতে। ” । চটিয়া বিষ্ণু মাথা সাড়া দিয়া বলিল, “হ্যা, বারো টাক মাইনের কাজ করব বইকি ! তোমাদের মতন চিরকাল কুন আর লঙ্কাগোল দিয়ে ভাত খাবার সখ অtশার নেই। বেঁচে যদি থাকৃতে ছয় মানুষের মত খেয়েপরে বঁচিব, নয়ত যেদিকে ছু-চোখ যায় চলে যাব।” মা রঙ্গিলেন, “ষাট ষাট, অমন কথা বলে না । বাবা, তুমি শুমার আঁধার ঘরের শান্ধি বাপারে কোলজোড় ক’রে থাক, কোৰাকে বারে টাঙ্ক মাইনের

  • ांश भूलारेंद्र औथांब्र वtद्रब्र भाँणिक दकेिंद्रश्नन, “वांच्

মাজের কোলে বলে থাকলে ত ক্ষার চারটি হাত-পা বেরোবে