পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ জৈনগ্রশ্নের প্রশ্ৰণশক্তি $(' শ্বেতাম্বর দিগম্বর বিভাগ বিষয়ে স্থানকবাণীদের দুইটি মত প্রচলিত আছে । প্রথম মতে সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের সময়ে একটি মহাদুৰ্ভিক্ষ হয়। তখন জৈন সাধুর সংখ্যা ছিল চব্বিশ হাজার । সকলের আর ভিক্ষ মেলে না। তাই বার হাজার নিষ্ঠাবান দৃঢ়ব্ৰত সাধু, গুরু ভদ্রবাহুর সঙ্গে দক্ষিণ-ভারতে চলিয়া যান ও বার হাজার সাধু গুরু স্থলভদ্রের সঙ্গে এই দেশেই থাকেন। এই স্থলভদ্রের অধীনস্থ সাধুর দল কৃচ্ছাচার সহ করিতে না পারিয়া বস্ত্রাদি ব্যবহার করিতে আরম্ভ করেন । দুর্ভিক্ষ চলিয়া গেলে যখন ভদ্রবাহু এদেশে ফিরিলেন তখন এই দল আর বস্ত্র ব্যবহার ছাড়িতে পারিলেন না । দ্বিতীয় মতে দুর্ভিক্ষ বশতঃ যখন ভদ্রবাহু দক্ষিণ-ভারতে যান তখন র্তাহার অনুপস্থিতির অবসরে স্থলভদ্র পাটলিপুত্রে একটি মহাসম্মেলন আহবান করেন। তাহতে প্রাচীন উপদেশের বারটি অঙ্গ সংগ্রহের চেষ্টা হয় । এগারটি অঙ্গ তো যথাযথভাবে মিলিল, বাকী অঙ্গটি পূরণ করিয়া দিলেন স্থলভদ্র । ভদ্রবাহু যখন আসিয়া দেখিলেন তাহকে বাদ দিয়াই মহাসম্মেলন হইয়। গিয়াছে তখন তিনি অত্যন্ত বিরক্ত ষ্টলেন ও ঘোষণা করিলেন ঐ দ্বাদশ অঙ্গ অপ্রামাণ্য । এই বিভেদ সত্ত্বেও কিছুকাল এই উভয় দল একত্র চলিল, তারপর আর একত্র থাকা অসম্ভব হইল। শ্বেতাম্বর তপাগচ্ছ মতে এই বিচ্ছেদটি পূর্ণ হয় ১৪২ খৃষ্টাব্দে, চল্লিশবর্ষব্যাপী এক দুর্ভিক্ষের অবসানে। স্থানকবাসীরা বলেন এই বিচ্ছেদটি টে ৮৩ খৃষ্টাব্দে । কেহ কেহ বলেন বজ্ৰসেনের দুৰ্ব্বলতা শতঃই এই বিচ্ছেদটি সম্ভব হয়। শ্বেতাম্বরদের মধ্যে একটি গল্প চলিত আছে যে সাধু শবভূতি গৃহস্থ অবস্থায় এক রাজার অধীনে কাজ করিতেন। শবভূতি যখন সন্ন্যাসী হন তখন সেই রাজা তাহাকে একটি হাৰ্হ কম্বল উপহার দেন। শিবভূতির গুরু বলিলেন, এইরূপ হুমূল্য বিলাসন্ত্রব্য সন্ন্যাসীর পক্ষে রাখা উচিত নয়। তবু শিবভূতি তাহা ত্যাগ না করাতে গুরু একদিন তাহ গোপনে কাটিয়া কুটিয়া রাথিলেন। শিবভূতি যখন তাহা দেখিলেন তখন দুঃখিত হইয়া মহাবীরের মত একেবারে সর্বপ্রকার বস্ত্রই ত্যাগ করিলেন। ইহা হইতেই ছইল দিগম্বর দলের উদ্ভব । কাজেই দেখা যায় নগ্নভার উদাহরণ জৈনধর্মের জাদি ভাগেও সাঁছে । * *, - সন্ন্যাসীকে দিগম্বর হইতে হইলে নারীদের সন্ন্যাস চলে না। তাই শিবভূতির ভগ্নী যখন সন্ন্যাস লইতে চাহিলেন তখন কহিলেন, “আমি কেমন করিয়া বস্ত্রত্যাগ করি ?” শিবভূতি র্তাহাকে বুঝাইলেন, “এই জন্মের স্বকৃতিবশে পরঞ্জন্মে পুরুষ হইয়া জন্মাইও, তার পর সন্ন্যাসী হইe ” তাই দিগম্বরদের মধ্যে নারীর সন্ন্যাস নাই, নিবপণও নাই। উনবিংশ তীর্থঙ্কর “মল্লি’কে শ্বেতাম্বররা নারী বলিয়া মানিলেও দিগম্বররা বলেন, তিনি ছিলেন পুরুষ, কারণ নারী হইয়া কেহ তীর্থঙ্কর হইবেন ইহা একান্ত অসম্ভব কথা । এ-পর্য্যস্ত জৈনধৰ্ম্ম সম্বন্ধে কতকগুলি সাধারণ কথাই আলোচনা করা গেল মাত্র । এখন দেখা যাউক ভারতের বৈদিক ধৰ্ম্ম হইতে জৈনধৰ্ম্মের বিশেষত্ব কোথায় ? বৈদিক মতে মুখ্য ধৰ্ম্মই হইল যজ্ঞ, তাহতে পশুবধ আবশুক । জৈনধৰ্ম্মে প্রধান কথাই অহিংসা। বৈদিক ধৰ্ম্মে যজ্ঞে গো আলস্তনীয়, জৈনধৰ্ম্মে প্রধান ব্রডই গো-রক্ষা। এখনও ভারতে জৈনদের প্রধান কাজ গো-রক্ষার্থ পিঞ্জরাপোল প্রভৃতি করা । বৈদিকদের আগমনের পূৰ্ব্বে ভারতে সম্ভবতঃ এমন কোনো অতি প্রাচীন সভ্যতা ছিল যাহাতে গো ছিল অতি পবিত্র । তাহার প্রমাণও এখন কিছু কিছু মিলিতেছে, যদিও এখন এখানে সে-সব কথা আলোচনার অবসর নাই। জৈনরা হয়ত সেখান - হইতেই তাহদের এই বস্তুটি পাইথাছেন। পরে বৈদিক মতেও ক্রমে গো হইয় দাড়াইল অগ্ন্যা। এক সময় বিবাহকালে যে গবলেগুন হইত ডাহা বুঝা যায় এখনও বিবাহকালে উচ্চারিত বিখ্যাত “গে গে " মন্ত্রে। ভূত্য যখন উচ্চারণ করে “গেীঃ গৌ:"অর্থাৎ “এই যে গো ইহাকে এখন কি করা যায় ?” তখন বর বন্দ্রে, g “ও মুকগাম” ইত্যাদি, অর্থাৎ "গে৮টি ছাড়িয়া দাও।” उात्रभत्र ७३ भन्न ब्रि cय क्य्बन-“भ अंम् अनगििन् অদিতিম বধিষ্ঠ " অর্থাৎ “এই বেচার নিরপরাধ গো-কে " বধ করিয়া কাজ নাই” ( সামবেঙ্গ মন্ত্র-ব্ৰক্ষণ ২, ৮, ১৩-১৪ نمو গোভিল গৃহ্যস্বত্র ৪, ১৪, ১৯-২- ; ইত্যাদি ইত্যাদি ) ক্রমে ভারতে গোমেধ লুপ্তই হইয় গেল। আজ ভারতে গবালন্ডনের কথা কেহু চিস্তাও করিতে পারেন না । যে বেদপূৰ্ব্ব অতি প্রাচীন ধৰ্ম্মধারী, ধরিয়া ভারতে এত বড়