পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘনাদবধ কাব্যের অনুসরণ অথবা অনুকরণে কয়েকখানি কাব্য রচিত হয়। ই জন কবি তাহার পরিশিষ্ট পৰ্য্যস্ত রচনা করিয়াছেস ; এক জনের নাম রাজকৃষ্ণ কুণ্ডার, এবং তাহার সদ্ধে পরিচয় দিতে গির কেহ এত দূর পর্য্যস্ত বলিয়াছেন যে ইহার কাব্য বাংলা ভাষায় বিদেশীয় যুদ্ধকৌশল বর্ণনায় মেঘনাদবধকেও পরাস্ত করিয়াছে। প্রথম সর্গ হইতে কয়েক চরণ উদ্ধৃত করিলে পাঠক ইহার ছন্দের ধরণ সম্বন্ধে ধারণা করিতে পরিবেন : পুত্রের সৎকার করি দশানন বলী, উতরিল মণিমর ভবনে কতিয়, শূন্তময় রাজালয় হেরিলা চৌদিকে, অধোমুখে ধরাসনে ত্যজি দীর্ঘশ্বাস, কপোল বিস্তাস করি করতলে, যেন, মূৰ্ত্তিমান শোক আসি ধরাতল, ধরি ফুক্ষ রূপ বসিয়াস্থে স্বর্ণ লঙ্কাধামে । ইত্যাদি অfর একথfান পরিশিষ্টের নাম দশাননবধ মহাকাবা’ । ১৩০০ সনে প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় কিন্তু প্রচার হয় না, সুতরাং ১৩১০ সনে সাহিত্যসভা হইতে ইহা যখন পুনরায় প্রকাশিত হয় তখন ইহার কার্যতঃ দ্বিতীয় সংস্করণ হইয়াছিল । মেঘনাদবধের পরিশিষ্ট হইলেও ইহা অনেকটা প্রাচ্য আদর্শে রচিত । ইহা দশ সর্গে সম্পূর্ণ, এবং যথারীতি মঙ্গলাচরণ করিয়া অগ্রসর হুইয়াছে। কবি ছন্দোনিৰ্ম্মাণে নৈপুণ্য দেখাইয়াছেন, নিজে ২১ প্রকার ছন্দ রচনা করিয়াছিলেন, এবং তাহার রচিত গীতিচ্ছন্দে ( বর্ণনাদিতে এই ছন্দেরই প্রয়োগ করিয়াছেন ) প্রথম সর্গের স্থচনা করিয়াছেল : छभकि विश्व जवरोौर्वी-एर्गी-चूर्ण ब्रजनि-ब्रांजा अवगtञ्च, শুনিত জয়গিন্ধি-কল্পৰ-মঞ্চ'পরি গঞ্জি মজুমণিবর্ণে। " * नौसब्रश्विछब्र रेनछविक्रग्ननम्, (क्षित्रमूणाभिं विभिन्न) শুস্মিল ছতক্ষয়-পতিত-রঞ্জলিক্ষয়-যোদ্ধ,দিক্ষয় উড় খুলে . . . o, “ . . * ইত্যাদি জীর একখানি বাংলা মহাকাব্যের নাম উল্লেখযোগ্য । দিনাজপুরবাসী পণ্ডিত মহেশচন্দ্র তর্কচূড়ামণি নিবাতকবচৰণ স্নামে সপ্তদশ সর্গে এক মহাকাব্য রচনা করেন, তাহাঙ্কে তিনি "An Epic” বলির পরিচয় দিয়াছেন । প্রকাশকাল ৩ ীি, ১৭৯৯ শকাৰ। রচনা কিন্তু সংস্কৃত ছান্ধী []ལྟ་ཟླ *লায়েই হইয়াছে। মেঘনাদ

    • - s

বধ প্রথম প্রকাশিত হইলে যখন সংবাদপত্রে তাহার স্থলী : <धक्षश्न इश, भद्रश्नष्ठञ्ज छथन छॉशांज़ थङितान कtअन्न हैं: এবং সোমপ্রকাশে লেখেন যে দত্ত মহাশয় নূতন ভাষা : “আবিষ্কৃত করিয়াছেল’ এবং”মেঘনাদবধ কাব্যে অলঙ্কায়- ] শাস্ত্রমতে দোষও বহুতর । মহাভারতের ফনপৰ্ব্বাঙ্গত ' BBBBBBBB gBBBBBSBBBB MeS DBBDD DS কাব্যের মুল ; উৰ্ব্বশীর অভিশাপ যে, অঙ্গী কীররসের পরিপন্থী বলিয়া বর্জিত হইল, গ্রন্থকার তীৰ্ণ জানাইয়াছেন । “নৰ্যপ্রথা” তাহার আদৌ মনঃপুত ছিল না, তাহ উৎসর্গপত্রের কথায় বিবৃত করিয়াছেন ; “নব্যপ্রথানুসারে গ্রন্থখানি কাহারও নামে উৎসর্গ করা আমার কর্তা ছিল। কিন্তু ভাবিয়া স্থির করিতে পারিলাম না যে, গ্রন্থের কোন অংশ জামি উৎসর্গ করিষ। গ্রন্থের স্বত্ব তো আমারই থাকিবে ।” এই যুক্তি আমাদের নিকট অভিনব ঠেকিযে, কিন্তু ইহাতে র্তাহীর মনোভাবের পরিচয় পাই । কবি সরস্বতীকে বন্দমা করিয়া গ্রন্থ আরম্ভ করিয়াছেল এবং অলঙ্কারশাস্ত্রানুসারে সর্গাস্তে ছন্দ পরিবর্তন করিয়াছেন । কবির ছন্দোনৈপুণ্যের পরিচয় নিয়ে উদ্ধত পদ্যাংশ হইতে পাওয়া যাইবে ঃ– 3. এ হেন বচন শুলি পুনরপি ফাঙ্কনি প্রণমি পুরন্দর পদযুগলাস্তে, শিখাৰু-সুত-সহিত হরিষযুক্ত পশিল গির ক্রীত দিব্য লিশাস্তুে । সমরসাজ সব পরিহরি পাণ্ডব সৌধতলৈ বসি কোমল তুল্পে । প্রাক্তি করিল হত হুইয়া অভিরত বন্ধুসনে রুশ-বিষয়ক জল্পে ।

  • , } বিংশ শতাব্দীতেও বাংলা-সাহিত্যে যে উৎকৃষ্ট মহাকাব্য রচিত হইতে পারে তাহী কবিভূষণ ক্ষেীসুনাখ বহু প্রমাণ করিয়া দিলেন। যোগীন্দ্রনাথ ইতিপূৰ্ব্বে মাইকেল মধুসুদন দত্তের জীবনী রচনা কম্বিয়া খ্যাতি অর্জন করিয়াছিলেন, জীবনের সারাহ্নে ভিনি পরপর পৃথ্বীরাজও "শিবাজী’ নামে দুইটি মহাকাব্য রচনা করেন । উভয়েরই উদ্বেগু, স্বদেশপ্রেমিক হিন্দুকে তাহার সমাজের পত্তন ও উখালের ইতিহাস শিক্ষণ দেওয়া, আশা-আদি

কোন হিন্দু “জাতীয় অধঃপতনের কারণ অনুসন্ধানে ও প্রতি