পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*oき হইয়াছে এবং ইহাদিগের অবস্থান যথাসম্ভব নিভুলভাবে নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে। দ্বিতীয় বিভাগের নক্ষত্রের মধ্যে আরজিল্যাণ্ডারের ১৭৯৯-১৮৭৫ খ্ৰী: ) ( Argelander, তালিকাই সৰ্ব্বপ্রধান। উত্তর-ধ্রুব হইতে বিষুবাংশের দুই অংশ দক্ষিণ পৰ্যন্ত ধে সকল নক্ষত্র আছে তাহাদিগের মধ্যে নবম শ্রেণীর পর্যন্ত নক্ষত্র দেওয়া আছে। দক্ষিণধ্রুবের নিকটস্থ দক্ষিণ-মেরুর নক্ষত্র সম্প্রতি গোল্ড সাহেবের স্বারা ( Dr. Gould ) দক্ষিণ-আমেরিকার कट्डीयाग्न झुक्कै रुद्देब्राष्ट्रिण । আকাশে নক্ষত্রদিগকে চিনিয়া লইবার জন্ত তাহাদিগকে ভিন্ন ভিন্ন মগুলে বিভক্ত করা হইয়াছে । মনুযা, পশু, পক্ষী, কিংবা কোন দ্রব্যবিশেষের আকারে ঐ সকল মণ্ডল কল্পনা করিয়া, তাহাদিগের ভিন্ন ভিন্ন নাম দেওয়া হইয়াছে, যথা—সপ্তর্ষিমণ্ডল, সাতভাই, কালপুরুষ, মিথুন, মেষ, কর্কট, সিংহ, ধনু, কুম্ভ প্রভৃতি । ইহুদিগের মধ্যে প্রথম তিনটি মণ্ডল সৰ্ব্বসাধারণের নিকট পরিচিত । অপর কয়েকটিকে পুঞ্জে পুঞ্জে বিভক্ত করিয়া রাশি’ আখ্যা দেওয়া হইয়াছে । আকাশের নক্ষত্রগুলি গগনমণ্ডলে সমভাবে বিক্ষিপ্ত নাই । যেন স্থানে স্থানে একত্র পুঞ্জীভূত হইয়া রহিয়াছে। এই পুঞ্জীভূত নক্ষত্রগুলিকেই এক এক রাশি কহে । পুরাকালে লোকেরা এই নক্ষত্রগুলিকে জীবজন্তুঘ্ন আকারের গুলয় কল্পনা করিয়া ইহাদিগের নামকরণ করিয়াছিল, যথা-বৃষের চক্ষু (The eye of the Bull), বৃহৎ ঋক্ষের পুচ্ছ, ওরায়ণের দক্ষিণ স্কন্ধ প্রভৃতি। আরবর প্রত্যেক উজ্জ্বল নক্ষত্রের এক একটি নাম দিয়াছিল, অথবা গ্রীকদের নিকট হইতে ঐ নাম গ্রহণ করিয়ালি বণ-নিদিsেtrins, "প্রহাট্ট ఏచి83 gréÈè**[ (Arcturiis), coffqqq ( Procyon), আল্ডিবারানু (Aidebaran) ইত্যাদি। আরও স্থানে স্থানে অনেকগুলি নক্ষত্র এত কাছাকাছি এবং এরূপভাবে মিলিয়া থাকিতে দেখা যায় যে, তাহাদিগকে নক্ষত্রপুঞ্জ বলা হইয়া থাকে, যেমন, কৃত্তিক-নক্ষত্র । সাধারণ লোকেরা ইহা অনুমান করিতে পারে যে, কোন এক মগুলে পরস্পরের নিকটবৰ্ত্তাঁ যে-সকল নক্ষত্র দেখা যায় তাহারা বুঝি ঐক্ষপ সম্বদ্ধভাবে একটি মণ্ডলাকারে অবস্থিত ; বাস্তবিকপক্ষে এই অনুমান অমূলক। কারণ প্রতোক মণ্ডলে যে-সকল নক্ষত্র সংস্থিত দেখিতে পাওয়া যায়, তাহারা পরস্পর হইতে বহু দূরে বিচ্ছিন্নভাবে বিশাল আকাশে অবস্থান করিতেছে। আমাদিগের নেত্র হইতে ঐ সকল নক্ষত্রে দৃষ্টিরেথ টানিলে তাহাদিগের মধ্যবৰ্ত্তা কোণ (angle) যত সংকীর্ণ হইবে ঐ নক্ষত্রগুলিকে ততই পরস্পরের নিকটবৰ্ত্তী দেখাইবে । যেমন, কোন বহুক্রোশব্যাপী যুদীর্ঘ সরল পথের এক প্রান্তে দাড়াইয়া উহার অপর প্রাস্তের দিকে নেত্র স্থাপিত করিয়া ক্রোশাধিক দূরে অবস্থিত এক জন মানুষ ও তাঁহা হইতে আর এক ক্রোশ দূরবর্তী অপর এক জন মানুষকে দেখিলে দূরত্ববশতঃ কেবল যে তাহারা ক্ষুদ্রাকার দেখাইবে তাহা নহে, পরন্তু তাহাদিগের পরস্পরের দুরত্বও অনুভব করা যাইবে না, মনে হইবে যেন তাহারা পরস্পরের নিকটে অবস্থিত রহিয়াছে। নক্ষত্রদিগকেও মুক্ত নেত্রে সেইরূপ কাছাকাছি দেখায় বলিয়া তাহাদিগের দৃষ্ট অবস্থান হইতে মণ্ডল কল্পিত হইয়া থাকে। বস্তুতঃ ঐ সকল মণ্ডল সম্পূর্ণরূপেই মনুষ্যকল্পিত। পরস্পরের তুলনায় নক্ষত্রদিগের কোন গতি সহজে প্রত্যক্ষ করা যায় না, এই কারণে তাহাদিগকে “স্থির নক্ষত্র বলা হইয়া থাকে। প্রকৃতপক্ষে তাহাদিগের দূরত্ব এত অধিক যে, বহু শত বৎসর অধ্যবসায়ের সহিত সূক্ষ্মাতিস্থঙ্করূপে পর্য্যবেক্ষণ ও গণনা না করিলে উহাদিগের কোন স্বকীয় গতি আবিষ্কৃত হইতে পারে না"। নক্ষত্রদিগের দূরত্বের তুলনায় স্থৰ্য্য হইতে পৃথিবীর দূরত্ব অতি অকিঞ্চিৎকর ; কোন সক্ষত্র হইতে যদি স্থৰ্য্য ও পুথিবীকে যুগপৎ দৃষ্টিগোচর করিবার উপায় থাকিস্ত, তাঁহা হইলে দেখা যাইত যে, পৃথিবী বেম খণ্ঠের গাঙ্গে প্রায় সংলগ্ন রহিয়াছে।