পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন সম্প্রতি "আলোক-দূরত্ব পরিমাপ করিবার নিয়ম উদ্ভাবিত হইয়াছে ; ফুকো ( Foucault ) প্রভূতি বৈজ্ঞানিকের চেষ্টায় প্রমাণিত হইয়াছে যে আলোক গতিশীল এবং উহার বেগ সেকেণ্ডে প্রায় মাইল । আমরা যখন একটা আলোক দেখি, তখন ইহা বুঝিতে হইযে যে ঐ আলোকাধীর হইতে আলোক একটা পথে সঞ্চরণ করিয়া আমাদের নেত্রে প্রবেশ করিতেছে । যতক্ষণ ন৷ এইরূপ ঘটিতেছে, ততক্ষণ আমাদের চক্ষু ঐ আলোকের ও আলোকাধীরের অস্তিত্ব অনুভব করিতে পারে না । গতিমাত্রই সময়সাপেক্ষ, অতএব আলোক-রশ্মিরও চলিতে সময় লাগিতেছে । প্রতি সেকেণ্ডে ১৮৬,০০০ মাইল রশ্মির বেগ এইরূপ মানিয়া লইয়া গণনা করিলে দেখা যায় যে, স্বর্ঘ্য হইতে পৃথিবীতে আলোক আসিতে প্রোয় ৮ মিনিটের কিঞ্চিয়,নি সময় অতিবাহিত হয়, অর্থাৎ কোনও মুহূৰ্ত্তে আমরা স্বৰ্য্যকে ঠিক যে-স্থানে দেখিতে পাই, স্বৰ্য্য তাহার প্রায় ৮ মিনিট পূৰ্ব্বে ঐ স্থানে অবস্থিত ছিল। ইহা হইতে দেখা যায় যে পৃথিবীর কক্ষব্যাসের এক প্রাস্ত হইতে অপর প্রাস্তে আলোক পৌছিতে ১৬ মিনিটের অধিক ও ১৭ মিনিটের কিঞ্চিৎ কম সময় লাগিয়া থাকে । ইহাকে গণনার ভিত্তি ধরিয়া ইহার সহিত তুলনায় কোন নক্ষত্র হইতে আলোক আসিতে যে সময় অতিবাহিত হয়, তাহার দ্বারা ঐ নক্ষত্রের দূরত্বের পরিমাপ হয় এবং ঐ দুরত্বকে সাধারণতঃ আলোক-দুরত্ব বলা হয় ; যে-সকল নক্ষত্র মুক্ত নেত্রে দেখা যায় তাহাদিগের আলোক পরীক্ষা করিয়া জানিতে পারা গিয়াছে যে, সৌরজগতের সর্বাপেক্ষা নিকটবৰ্ত্তা যে নক্ষত্র, তাহা হইতে এই জগতে আলোক আসিয়া পৌছিতে প্রায় ৪৫ বৎসর অতিবাহিত হয় । কোন কোন নক্ষত্র হইতে আলোক আসিতে প্রায় বিশ, ত্রিশ, এমন কি পঞ্চাশ বর্ষ পর্য্যস্ত অতিবাহিত হয় । আকাশে সৰ্ব্বাপেক্ষ উজ্জ্বল নক্ষত্র "লুব্ধক" (Sirius ) হইতে সৌরজগতে আলোক আলিতে প্রায় ৬ই বৎসর ব্যয়িত হইয়া থাকে এবং যে নক্ষত্রে ধ্রুবতারা রহিয়াছে, উহা হইতে সৌরজগতে আলোক অসিতে প্রায় ৪৬ই বৎসর অতিবাহিত হয় । সুতরাং আলোক-দূরত্ব গণনা করিলে bు,6 లా తి নাক্ষত্রিক জগৎ ہتيoNسيt সহজেই বুঝা যায় যে, নাক্ষত্রিক জগৎ কত দূর বিস্তৃত এবং উহার বিস্তৃতির তুলনায় সৌরজগৎ কত ক্ষুদ্র, আর ইহাও অকুমান করা যায় যে নাক্ষত্রিক জগৎ যেমন বিশাল, তেমন নক্ষত্রগণও আমাদিগের স্বৰ্য্যাপেক্ষ বহু গুণ বৃহৎ 1. এই ধ্রুবতার ও কাসিওপিয়া সক্ষত্রপুঞ্জ যে ছোটবড় নানা শ্রেণীর নক্ষত্র দেখা যায়, তাহাদিগের আপেক্ষিক আকারের পরিচয় পাওয়া সম্ভব মহে । অনেক নক্ষত্র আকারে বৃহত্তর হইয়াও দূরত্বের আধিক্যবশতঃ ক্ষুদ্রতর দেথা যায়। বাস্তবিকপক্ষে নক্ষত্ৰজগতের সীমা নিদ্ধারণ করা এখনও পর্য্যন্ত মানুষের সাধ্যাতীত রহিয়া গিয়াছে । পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে যে, আকাশের মধ্যে মধ্যে নক্ষত্রগুলি পুঞ্জীভূত রহিয়াছে বলিয়া মনে হয় এবং সেই ধারণায় উহাদিগের আকার, নাম ইত্যাদি কল্পনা করা হইয়াছে। এই একত্রস্থিত নক্ষত্রগুলিকে নক্ষত্ররাশি বলা হইয়াছে । এই নক্ষত্ররাশিদিগের নামকরণ কি প্রকারে হইল এবং কখন, কোথায় ও কি অভিপ্রায়ে এই নাম দেওয়া হইল তাহা জানিবার বাসনা স্বতঃই মনে জাগে । কিন্তু উহার সন্তোষজনক উত্তর এ-পর্য্যস্ত পাওয়া যায় নাই । তবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি লইয়া বিচার করিলে আমাদিগের জিজ্ঞাস্ত বিষয়গুলির উত্তর অনেকট পাইতে পারা যায়। প্রথম, জনশ্রুতি (folk-lore); for, finfo onto, ( documentary evidence ) ; তৃতীয়, আসিরিয়া দেশে এই সম্বন্ধে কি মুল প্রমাণ পাওয়া যায়, ইউফ্রেটিজ, উপত্যকায় সম্প্রতি ষে স্মৃতিমন্দির বা খোদিত প্রস্তরাদি আবিষ্কৃত হইয়াছে তাহ হইতে যাহা জানা যায় ; চতুর্থ, নক্ষত্ররাশির নিজেদের মধ্যেই কি প্রমাণ পাওয়া যায় । স্বৰ্য্য ও চন্দ্রের স্তায় আকাশের অধিকাংশ নক্ষত্র