পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গে তাহার সামঞ্জস্ত হইল না ; না তাহার আরও কোনো হেতু আছে, তাহ দেখা দরকার। বৌদ্ধধৰ্ম্ম হয়ত সেই সব বিষয়ে অনেকট মিটমাট করিয়া বাংলা দেশে স্বপ্রতিষ্ঠিত হইতে পারিল। অধ্যাপক সিলভ্য লেভি প্রমুখ কেহ কেহ অভিযোগ করেন যে বৌদ্ধধৰ্ম্ম যেমন আকুষ্ঠিত ভাবে ভারতের ভিতরে বাহিরে আপনাকে প্রসারিত করিয়া দিয়াছে, জৈনধৰ্ম্ম সেইরূপ করিতে পারে নাই । উভয় ধর্শ্বের উৎপত্তিস্থান এক হইলেও ক্রমে এইরূপ দাড়াইল যে বৌদ্ধধৰ্ম্ম বেশী প্রতিষ্ঠিত হইল পূৰ্ব্ব-ভারতে ও জৈনধর্শ্ব প্রতিষ্ঠিত হইল পশ্চিমভারতে । পূৰ্ব্ব দিকে বৌদ্ধধৰ্ম্ম ভারত ছাড়িয়া ব্ৰহ্ম শুাম চীন প্রভৃতি দেশে বিস্তৃত হওস্বাক্ষ ঐসব দিক হইতে ভারতবর্ষের কোনো রাজনৈতিক - বিপদ ঘটিবার সম্ভাবনা গেল দূর হইয়া । জৈনধৰ্ম্ম যদি তেমন করিয়া ভারতের বাহিরে পশ্চিমে ছড়াইয়া পড়িত তবে হয়ত ভারতের রিবর্তী বহু দুঃখ ও দুর্গতি ঘটিতেই পারিত না । কথাটা গবিয়া দেখিবার মত। আবার অনেকে এই অভিযোগও রেন যে, জৈনধৰ্ম্ম বৌদ্ধধর্শ্বের মত পরকে আপনার করিম ইতে পারে নাই, সকলকেই দূরেই ঠেকাইয়। রাখিয়াছে। জৈনদের গ্রন্থভাণ্ডারগুলি ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের দন্ত অমূল্য সব উপকরণে ভরা। যদি এগুলি সবার কাছে উন্মুক্ত হইতে পারিত ভৰে ভারতের ইতিহাসগত অনেক ংশয় দূর হইয়া যাইত আর জৈনধর্শ্বের মাহাত্ম্যও প্রত্যক্ষ হইত। কিন্তু যখন দেখি মুনি জিন বিজয়জী, ত্তিত মুখলালজী, পত্তিত বেচরদাসজী প্রভৃতির মত লাকের কাছেও তাহা উন্মুক্ত হইতে চাহে না তখন আর ভরসা কোথায় ? যাহারা অভিযোগ করেন তাহারা ইহাও বলেন জৈনধৰ্ম্মে ক্রমে বণিকরাই হইলেন প্রধান, তাই সংগ্রহ ও রক্ষার কাজ তি সহজে ইয়াছে প্রসার ও প্রচারটা তত সহজে হয় নাই । অহিংসার জাদশ যে-জৈনধর্মে সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় কথা ছিল সই মৈত্রী-প্রধান জৈনধর্শ্বের বণিকদের বাণিজ্যনীতি জাজ পাশ্চাত্য সব নিষ্ঠুর বাণিজ্য-ব্যবস্থার সঙ্গে মিশিয়া কলুষিত ইয়াছে। আজ গৌণভাবে নানাধি ব্যাপক মানবरिणाब्र थछ अंश् शयनाइनचडि नाशै। नछाडाइ जॉन्गऊाम्र জৈনধর্মের প্রাণশক্তি هوwe এই দিনে দেখা বাইতেছে হাতে মারা হইতেও বহুব্যাপক ও অতি নিষ্ঠুর ভাবে ধীরে ধীরে অজ্ঞাতসারে বধ করা যায় ‘ভাতে মারিয়া । যাহাতে এইরূপ বহুব্যাপক স্বগভীর নরহিংসার অপ্রত্যক্ষ রক্তে এই প্রাচীন পবিত্র ধৰ্ম্ম কলুবিত না হইতে পারে তাহ প্রতে:ক মৈত্রীর সাধক জৈনধৰ্ম্মহিতৈষীর দেখা উচিত । যে-জৈনধৰ্ম্ম ছিল সন্ন্যাস ও তপশ্চর্যাার আদর্শে অনুগ্রাণিত আজ তাহাই কত ব্যর্থ ঐশ্বৰ্য্যবিলাসে ও আড়ম্বরে হইয়াছে পৰ্য্যবসিত ! জৈন দেবালয় প্রতিমা উৎসব প্রভৃতি সবই নিষ্ঠুর ধৈভববিলাসে ভারাক্রান্ত । একটু তলাইমা দেখিলেই দেখা যাইবে আর্থিক ষে ভিত্তির উপর এই সব ধৰ্ম্ম-উৎসবগুলি প্রতিষ্ঠিত তাহ নানা প্রকারের লোকসম্মত বহুব্যাপক হিংসার অপ্রত্যক্ষ রক্তে কলুষিত, কাজেই এই সব ধৰ্ম্মাচরণকে পবিত্র করার জন্মও সৰ্ব্ববিধ বিলাস ও আড়ম্বর তাগ করা প্রয়োজন । ধৰ্ম্মের পক্ষে দারিদ্র্য মোটেই অশোভন নহে । এবং আদর্শের বিশুদ্ধির জন্ত আদি ধৰ্ম্মগুরুর সেই দারিগ্রাকে গৌরবের সঙ্গেই বহন করিয়া গিয়াছেন। বরং ষে ঐশ্বর্ষ্যের মূলে কোথাও কিছুমাত্র বিশুদ্ধির অভাব আছে, সেই ঐশ্বৰ্য্যই ধর্শ্বের পক্ষে একান্ত অশোভন ও সাধনার সর্বাপেক্ষা কঠিন বাধা । জৈনদের এক একটা শোভাযাত্রায় যে ব্যয় হয় তাহা ভাবিলেও অবাক হইয়া যাইতে হয়। এমন অবস্থাৱ । ইহঁাদের মহাতপীদের কঠোর তপস্তা দেখিয়াও যদি কেহ মনে করেন তাহার মূলেও এক প্রকার অপ্রত্যক্ষ রাজসিকতা আছে, তবে তাহাকে নিতাস্ত দোষ দেওয়া যায় না । তপস্তার মূলেও যদি দেখাইবার ইচ্ছা বা রাজসিকতা থাকে, তবে তাহ বাহ বৈভব হইতেও ধর্থের পক্ষে সাজাতিৰ, কারণ তাহাকে ধর্শ্বের অঙ্গ বলিয়াই সবাই জানে। : সকলের উপর শোচনীয় ইহঁজের একান্তু তীব্ৰ জাঙ্ক কলহ। অতি প্রাচীন কাল হইতে ইছাদের মধ্যে দলাদলির জার অন্ত নাই । ইহঁাদের “নিকুব গচ্ছ প্রভৃতি ভেঙ্গের কথা ত পূর্বেই বলা হইছে, তাহ ছাড়াও দেখা যায় ইহঁদের ডেরাবাসী মূর্তিপূজক শাখাতে চৌরাশিটি সম্প্রদায়, স্থানকবাসী শাখাতে, বত্ৰিশটি ভেদ । তেজ ও ভাগের আর च्यख नाहे:1 • • • • • • ; : " . ९ ॐ