পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so * , , বাংলার মৃৎশিল্প আজ নূতন নহে—বহু যুগ হইতে বঙ্গদেশীয় মৃৎশিল্পিগণ নানা প্রকারের মৃন্ময়-মূৰ্ত্তি, নানা প্রকারের দেবদেবী গঠন করিয়া বাঙালীর স্কৃতিত্বের পরিচয় দিয়া আসিতেছেন । প্রাচীন যুগেও এই মৃৎশিল্পে চরম উৎকর্ষ সাধিত হইয়াছিল । আমাদের বাংলার মাটি মাটি নয়,— সোনা ; আমাদের দেশে পুৰ্ব্বে এরূপ বৃহদাকার মৃৎপাত্র নিৰ্ম্মিত হইত, যাহা দুই তিন মণ তরল পদার্থ ধারণ করিত । মাটির বাসন এরূপ মজবুত হইত ঘাহা বহুদিন যাবৎ উত্তাপ সহ করিয়াও ভাঙিত না । মেটের উপর বাংলার অভাব বাংলার মাটিতেই মোচন হইত – বিদেশী o স্থাপত্য-শিল্পের নিদর্শন ও বুদ্ধ-মূৰ্ত্তি এলুমিনিয়মের বাসন আমদানী করিয়া এরূপ বেকার সমস্তা উৎপাদনের প্রয়োজন হইত না । বাংলার মাটিতে বাঙালী কারিগর কত প্রকার শিল্পকৌশল দেখাইয়া লোককে স্তম্ভিত করিত, যাহার নমুনা এখনও কোন কোন প্রাচীন a 9 ংলার মৃৎশিল্প ও কুম্ভকার জাতি 国一 s B. s মন্দিরগাত্রে যুগ-যুগান্ত ঝঙ্কণ-বৃষ্টির আঘাত সহ করিয়াও অক্ষুণ্ণ রহিয়াছে। এখনও প্রাচীন গৌড়ে এবং বাকুড়া ও বিষ্ণুপুর অঞ্চলে এমন অনেক ধ্বংসেন্মুিখ প্রাচীন হবৃহৎ মন্দির দেখা যায় যাহার অন্তান্ত অংশ ভাঙিয়া পড়িলেও রিইনফেসিড পদ্ধতিতে নিৰ্ম্মিত যমুনা-মূৰ্ত্তি - মৃন্ময়মূৰ্ত্তি-সমম্বিত টালিগুলি অক্ষুণ্ণ অবস্থার রহিয়া বাংলার কৃতিত্বের পরিচয় দিতেছে। প্রাচীন মৃৎশিল্পিগণের মধ্যে নদীয়ার কুম্ভকারগণই চিরপ্রসিদ্ধ। এই রঙ্গদেশীয় কুম্ভকারগণ বহু প্রাচীন যুগ হইতে অতি উচ্চশ্রেণীর হিন্দু বলিয়া