পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন ७धोख्छन्न-ठनर्मूो

48
جاسو

তীব্রতর হইতে লাগিল—পাস্তয়রের ভয়ও তত বাড়িতে লাগিল । অবশেষে বালকটিকে যে দিন সৰ্ব্বাপেক্ষা তীব্র জীবাণুর দ্বারা টীকা দেওয়া হইল সেদিন রাত্রিতে পাস্তয়রের চক্ষুতে আর নিদ্রা আসিল না ! সমস্ত রাত্রি তিনি ছটফট করিয়া কাটাইলেন। কেবলই মনে ভয় হইতে লাগিল—যদি কলা প্রত্যুষে গিয়া দেখি যে ছেলেটি জলাতঙ্ক রোগের দারুণ জালায় চীৎকার করিতেছে, তবে কি করিব ? কিন্তু ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত দুশ্চিস্তার অবসান হইল। গিয়া দেখিলেন যে, ছেলেটি দিব্য নিশ্চিন্তভাবে নিদ্রা যাইতেছে। বহুদিন পরে পাস্তয়রও সুখে নিদ্রা গেলেন । অনতিকাল মধ্যে এই অভিনব চিকিৎসা-প্রণালীর খ্যাতি পৃথিবীর এক প্রস্ত হইতে অপরপ্রান্ত পর্য্যস্ত ছড়াইয়া পড়িল এবং ছয় মাসের মধ্যে ৩৫০টি রোগী এই প্রণালী দ্বারা চিকিৎসিত হইল। তন্মধ্যে কোন-একটি রোগী কুকুর-দংশনের সাইক্রিশ দিন পরে চিকিৎসার্থ আসিয়াছিল বলিয়া রোগের হস্ত হইতে পরিত্রাণ পায় নাই । ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে ২৬৭১টি রোগীর মধ্যে মাত্র পচিশটি মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এই চিকিৎসায় আশাতীত সাফল্য দর্শনে ফরাসী দেশের বিজ্ঞান riffs ( Academie des Sciences ) ştiit of S est" কমিটি প্যারী শহরে পাস্তয়ের ইন্সটিটিউট (Pasteur Institute ) স্থাপন করিবার জন্ত চাদা সংগ্ৰহ করিতে আরম্ভ করেন এবং ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দে এক বিরাট গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহার নাম দিলেন ‘পাস্তয়র ইন্সটিটিউট । এই বিজ্ঞান-মন্দিরের উদ্দেশ্য হইল জলাতঙ্ক রোগের চিকিৎসা করা এবং সেই প্রসঙ্গে অন্তন্তি বহুপ্রকার রোগের জীবাণুর প্রকৃতি সম্বন্ধে পরীক্ষা করা । ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দে ২৮শে সেপ্টেম্বর অসংখ্য নরনারীর আশীৰ্ব্বাদ মাথায় লইয়া পাস্তরর মহাগ্ৰস্থান করেন । - পাস্তয়র শত শত সহযোগী বৈজ্ঞানিক ও ছাত্রকে সত্যের সন্ধানে অনুপ্রাণিত করিয়া গিয়াছেন। মাজ পৃথিবীর সকল দেশেই পাস্তয়ুর ইন্সটিটিউটের শাখা প্রতিষ্ঠিত হইয়া সহস্ৰ সহস্র রোগীকে নীরোগ করিতেছে । বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারে পাস্তয়র মানবজাতির ষে মহদুপকার করিয়া যে প্রভাব বিস্তার করিয়া গেলেন তাহা প্রবল পরাক্রান্ত শত শত সম্রাট, সেনাপতি বা রাজনৈতিকের প্রভাবের তুলনায় সহস্ৰগুণে শ্রেষ্ঠ । প্রাস্তুর-লক্ষ্মী ঐআশুতোষ সান্যাল, বি-এ কে দিয়েছে তারে পরায়ে আদরে গোধুম-ধবের শাড়ী : সবুজ আঁচল কাপে হাওয়া লেগে, প্রাণ লয় মোর কড়ি { দেহের উজল রংটুকু কিবা— দরুষে ফুলের কাঞ্চন বিভা ! মরি মরি আহা জপের বিথার— নিখিলের মনোহারী ! তিসির কুহুম নয় নয় কহু, পাল্লার খাটি ফুল, ধুমধুসর ঐ মেঘথর— কুঞ্চিত কালে চুল। . . ... -- - - بطنجسس 8 ه لا হিজলের তরু সে যে অমুখন, আলতার রাগে রাঙায় চরণ, খেজুর-রসের মদির গন্ধে আঁথি দুটি চুলু ঢুল। যৌবন বুঝি দিয়েছে তাহার বুকের চুয়ারে দোল, এ কি মধুরিমা ! শুধু শুমিলিমা— সবুজের হিল্লোল ! অপরূপ রূপ । প্রকৃতির ছিয়া, নিবিড় পুলকে উঠেছে নাচিয়া, তার সনে যেন পরাণ অামার হ’ল আঞ্জ উতরোল ।