পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b一位ミ সমস্ত জানালাগুলি বন্ধ করিয়া দিয়া ফ্রকুঞ্চিত করিয়া হাতের কাছে যে বইটা পাইল টানিয়া লইয়া এধারের ঈজিচেয়ারটার উপর আসিয়া বসিল । ミ> ঘরের আলো জলিতেছিল, নিৰ্ম্মল পিতলের জয়পুরী ধূপদানিতে করিয়া ঘরে ধুপধুনা দিতেছিল। কাজ শেষ হইয়া গেলে শেলফের উপর হইতে একটা বই বাছিয়া লইয়া পড়িতে বসিল । চন্দ্রকান্তও অনেকক্ষণ হইতে একটা পুথি খুলিয়া অন্তমনস্কের মত বসিয়াছিলেন। এইবারে আস্তে আস্তে সেটা হইতে চোখ তুলিয়া ডাকিলেন, “নিৰ্ম্মল |” “কি বলছ বাবা ?” কিছুক্ষণ ইতস্তত করিয়া চন্দ্রকান্ত কহিলেন, “তোদের মধ্যে কি যেন একটা হয়েছে, মা ! সেদিন অত রাত্রিতে বিস্তর অনুরোধ সত্বেও যামিনী তাড়াতাড়ি মেসে চলে গেল। তার পরে একটি দিনও আর আসে না । চিঠিপত্র লেখে তো ?” নিৰ্ম্মলা মাথা নাড়িয়া কহিল, “ন৷ ” “তবেই তো।” চন্দ্ৰকান্ত নিজের চুলের মধ্যে অঙ্গুলি চালনা করিতে করিতে কহিলেন, “ত হ’লেই যে দেখছি...” নিৰ্ম্মল হাসিয়া উঠিয়া কহিল, “ত হ’লে কি বাবা ? আচ্ছা, তোমার আজ হঠাৎ এসব কথা মনে হচ্ছে কেন ? তিন-চার মাস আগে যখন তুমি আর আমি এই ছোট্ট টেবিলটির দু-পাশে বসে পড়াশোনা করতুম তখন তে: কেউ আমাদের চিঠিপত্র লিখত না । তখন তো আমরা নিজেদের মধ্যেই বেশ ছিলুম। আমির কি আবার আগেকার মত হতে পারি নে ?” চক্ৰকান্ত চাহিয়া দেখিলেন তাহার মুখমণ্ডল শাস্ত । নিৰ্ম্মল স্বচ্ছ ললাটখণ্ডটুকুতে কোন চিত্ত কিংবা অশাস্তির ছায় পড়িয়াছে কিনা বোঝা যায় না । তিনি মৃত্যুকণ্ঠে কহিলেন, “আগেকার মত কেন হ’তে চাইছ নিৰ্ম্মল ? অাগে তো কেবল একমাত্র আমিই তোমার জীবনকে আবৃত করে ধরেছিলুম। কিন্তু আমার ধা-কিছু দেবার, তোমাকে যা-কিছু শেখাবার সে সমস্তই নিঃশেষ 'ಇಷಣ

  • S38S

ক’রে এখন যে আমি চাইছি সংসারের মাঝে তুমি সার্থক হয়ে ওঠ । এক-এক সময় আমি অবাক হয়ে ভাবি---” চুলের মধ্যে র্তাহার আঙুলগুল থামিয়া গেল। চিস্তিত মুখে বৃদ্ধ উজ্জ্বল বিজলি বাতির দিকে চাহিয়া কি যেন ভাবিবার জষ্ঠ চুপ করিলেন । “আমার জন্তে আজকাল তুমি মনে মনে কেন এত ভাব বাবা ?” • “আমি এক-এক সময় ভাবি—” নিজের চিন্তার স্বত্র ধরিয়া তিনি বলিয়া ঘfইতে লাগিলেন, “হয়ত তোমার উপর আমি অল্পায় করেছি, নিম্মলা ।” “অষ্ঠায় কি করেছ, বাবা ? আমাকে তুমি যন্ত ভালবেসেছ, এত ভাল কেউ কাউকে বাসে না ।” “সে কথা নয় মা । আমি নিজেকে দিয়ে তোমাক বড্ড বেশ ঢেকেছি নিৰ্ম্মলা । তোমার নিজের যথাৰ্থ বিকাশ হয়ত তাতে বাধা পেয়েছে। তা নইলে.” _X氨 “তুমি আজ কথা বলতে বলতে এত থেমে যাচ্ছ কে বাবা ? তা নইলে কি ?” “ত নইলে যামিনীর মত ছেলের প্রতিও তোমার মন আকৃষ্ট হ’ল না কেন ? তা ছাড়া ঘে-পরিবারে তুমি বধু হয়েছ সে-পরিবারের প্রতিও তোমার কিছু কৰ্ত্তব রয়েছে।” “সে কি কৰ্ত্তব্য আমাকে বলে দাও না । আমি ত কিছুই বুঝতে পারি নে। তুমিও তো আমাকে এ-সম্বন্ধে আগে কিছু বল নি ।” “না, আগে অামি ভাবতেও পারতেমন তোমাকে বাদ দিয়ে আমার নিজের জীবনকে কখনও কল্পনা করতে হবে । কিন্তু এখন ক্রমশঃ বুঝতে পারছি তোমারই সুখের জলে তার প্রয়োজন । আমি কেন আমার ব্যর্থ জীবনের সমস্ত সন্তাপ নিয়ে অহৰ্নিশি তোমাকে ঘিরে থাকব ? তুমি ধ ফুলের মত সৌন্দর্ঘ্যে, কল্যাণে, প্রেমে ফুটে উঠেছ। তোমাকে কত লোকে কামনা করছে ! - আমার জীর্ণ জীবনকে ত্যাগ করে তুমি কি তোমার লক্ষ্মীর আসন অধিকার করবে নামা ?” বলিতে বলিতে আবেগভরে চৌকি হইতে উঠিয়া তিনি নিৰ্ম্মলার কাছে দাড়াইয় তাহা মাথায় হাত রাখিলেন । র্তাহার চক্ষু ছল ছল করিে