পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চালকলা-খেকো বামুন, কতই আর বুদ্ধি হবে ? করাঙ্গীর তেমন শাসন নেই, আমার বাপের আমলে হ’লে একথা মুখে আর উচ্চারণ করতে হত না বামুনের পোকে ” গৃহিণী ৰঙ্গিলেন, “যাক গে দাসী চাক:রর সঙ্গে ঠাট্ট করেছে, আমাদের সামনে দাড়িয়ে ত বলে নি ? শুনেছি বটে গুহদের নাতনী ভারি ডাকসাইটে সুন্দরী, সেদিন ব্রজতাতির বউও বলছিল ।” e বয়সকালে পিসীমারও সুন্দরী বলিয়া থ্যাতি ছিল, তাই পারতপক্ষে তিনি কাহাকেও সুন্দরী বলিয়া স্বীকার করিতেন না । তিনি বলিলেন, “ওগো যার গান শুনি নি সে বড় গাউনি, তার যার রাল্লা থাই নি সে বড় র*াধুনি । বাংলা দেশে না-কি আবার অমন মেয়ে নেই ? বামাপদঘটক বাংলা দেশের সব মেয়েকে দেখেছে না-কি ? বিয়ে দিতে হবে, বীপমরা মেয়ে, কাজেই ও-রকম ভুল भझ . দু-চার কথা না য়টালে চলবে কেন ?” বিমলের মা বলিলেন, “ন গো ঠাকুরবি, মেয়ে সুন্দর হওয়ারই কথা, ছোটবেলায় ওর মাকে দেখেছি থাসা দেখতে, এ ত তারই মেয়ে, সুন্দর হবে না কেন ?” ননদিনী বাদ্ধক্যের দরজায় পৌছিয়াও ষে অতীত রূপের জ”কি করিয়া বেড়ান, ইহা করলীি-গৃহিণীর ভাল লাগিত না । যাহা হউক, দুই পরিবারেই আসন্ন উৎসবের সাড়া পড়িয়া গেল । চজক রূ ত দুইটিই কস্তাদানের ব্যাপার, মৃতরাং জোগাড়টা খুৰ ষ্ট্রাজকীয় ভাবেই হইতে লাগিল। উমাশশী নিজের যথাসৰ্ব্বস্ব বাহির করিয়া দিল, গহনাতে টাকাতে তাহা নিতান্ত মন হইল না। তা ছাড়া পুর্ণিমার মাতামহও ক্রটি রাখিবেন না বোঝা গেল । মেয়ের অকালবৈধব্য থানিকট যে নিজের দোবে ঘটিয়াছে, তাহ অন্ততঃ নিজের কাছে তাহাকে স্বীকার করিতেই হইত, হতরাং নাতলীর বিবাহে যথাসম্ভব খরচ করিয়া তিনি সে ত্রুটিটার প্রায়শ্চিত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। পত্রিটি পছন্দ হইলেই হয়, আর সব আয়ােজন এক রকম সম্পূর্ণই হইয়া গেল । - কিলের স্বল্পও এদিকে পত্রিীর পর পাত্ৰী আসিয়া জুটতে লাগিল। দশবারোটিকে নামস্থর করার পর একটি গান্ধীর কথা বিশ্বের আয়ের একটু মুনে লাগিল। মেয়েকে

  • ష్ట్రి

অবশ্য তিনি দেখেন নাই, ৰহুদিন পূৰ্ব্বে কোন এক কুটুম্বের বাড়িতে তাহার মা-মালীদের দেখিয়ছিলেন। তাছাদের ত চোখে ভালই লাগিয়াছিল, মেয়ে সেই রকম হইলে মন্দ হইবে না । বিমলের পিসীমা বলিলেন, “ম-মৗসীর মন্তই যে হবে এমন কি কথা আছে ? তাই যদি সবাই হ’ত, তাহ’লে আর ভাবনা ছিল না ।” কথাটার ঠেশ, কোথায়, তাহা আর কেহ বুকুক বা নাই বুঝুক বিমলের মা বুঝিলেন । মনে মনে বলিলেন, “তিন কাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে, এখনও ঠসক দেখ না । রূপ ত আর কারও হয় না ?” প্রকাশ্যে কিছু বলিলেন না, কারণ ননদের মুখের উপর কথা বলার নিয়ম তখনও প্রবর্তিত হয় নাই । - পিসীমা নিজেই বলিয়৷ চলিলেন, “নিজের একবার দেখতে পারলে হ’ত । বেটাছেলেরা ওসব বোঝেও না, ওদের চোখে ধুলো দিতে কতক্ষণ ? সেই যে আমার সেঙ্গদেওরের বিয়ের সময় কি ঠকানটাই না ঠকালে ।” ভ্ৰাতৃজায় বুলিলেন, “নিজের কি ক’রে আর দেখা ঘায় ? সেই কোনূ রাজ্যে তাদের বাড়ি, ধারে কাছে হ’লে না-হয় ছুতেী-নাত ক’রে দাসীন্টাসী পাঠিয়ে দেখা যেত : , ননদ বলিলেন, “ওদের বাড়ি সেই জোড়তলা গায়ে ত ? আমাদেরও ত বাগানবাড়ি রয়েছে তার খুব কাছেই, চল না একটা ছুতো করে দিন-কয়েক সেখানে থেকে আসি । তারপর মেয়ে দেখতে খুঁত ক্ষণ ? • কৃছেই জগদ্ধাত্রী মন্দির আছে, সেখানে পুজো দিতে গেলেই ङ्'ल ?” বিমলের মা মুখভার করিয়া বললেন, “তোমার তাই যেতে দিলে उ ? জোড়তলা ষে শুষ্কদের জমিদারীর মধ্যে বললেই হয়, সেই জল্পে ওদিকে আমাদের কোনদিনই যেতে দেন না।” ননদ বলিলেন, “তারা আছে নিজেদের বিয়ের ভাবনা নিয়ে, তোর কোথায় যাচ্ছিল, নাৰাছিল, তাই দেখতে আসছে আর কি ? হ’লই বা তাদের জমিদারীর কাছে? এখন কোম্পানীর মুলুক, সে দেশ আর নেই যে যখন যার খুলী ঘরে ঢুকে মাখাটা কেটে