পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫ్రీహిరి অনেক স্থলে কোন প্রকার প্রলোভন না দেখাইয়া, কোন রকম ছল প্রতারণা ন-করিয়া বলপূৰ্ব্বক বাড়ির বাহিরে বা বাড়ির মধ্য হইতে হরণ করিয়া কুমারী, সধবা ও বিধবাদের উপর দুবৃত্তি লোকে অত্যাচার করে । এসকল স্থলে, যদি অত্মিীয়-স্বজন বা অন্ত লোক কেহ থাকেন, উহাদের সংখ্যা খুব কম হইলেও দুবৃত্তদের কাজে বাধা দেওয়া উচিত । র্তাহীদের সংখ্যা ও শক্তি যথেষ্ট হইলে দুষ্ট লোকের পরাজিত ও প্লুত হইবে । যথেষ্ট না-হইলে হয়ত তাহার আহত বা হতও হইতে পারেন । এরূপ সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বদমায়েসদের কাজে বাধা দেওয়া উচিত । এই কৰ্ত্তব্যবোধ মুসলমান সমাজে ও. হিন্দু সমাজে সৰ্ব্বত্র জাগ্রত হওয়া অবিস্তক । যে-ঘে গ্রামে ও শহরে এরূপ ছুবৃত্ত লোক আছে বলিয়া জানা যাইবে বা সন্দেহ হইবে, সেখানেই নারীরক্ষক দল গঠিত হওয়া কৰ্ত্তব্য । ছুকৃত্তিদের দুগ্ধৰ্ম্মে বাধা দিবার লোক থাকিলে যদি প্তাহার কুত বা আহত ও অক্ষম হন, কিংবা যদি সেরূপ লোক সী-থাকেন, কিংবা অন্ত যে-কোন অবস্থায়, নারীর উপর অত্যাচারের উপক্রম হইলেই, তিনি যাহাতে প্রাণপণে তাহাতে বাধা , দিতে পারেন, সামাজিক মতের দ্বারা ও শিক্ষার দ্বার নারীদের মনে তদনুরূপ যথেষ্ট সাহস ও শক্তি উৎপাদনের চেষ্টা কয় আবগুক, এবং তাহদের শরীরও পটু করিয় তাহাদিগকে আত্মরক্ষার্থ অস্ত্রব্যবহারে দক্ষ ও সুমন্ত্যস্ত করা উচিত । অস্ত্ৰও সৰ্ব্বদল কঁহিীদের কাছে থাকা চাই। - এসব কথা নিতাস্ত পুরাতন, নুতন নয় । কিন্তু পুরাতন কথ1.পুনঃপুনঃ স্মরণ করিবার গ্রয়োজন আছে । অন্তঃপুরে বা বাহিরে, সম্পর্কিত লোক বা নিঃসম্পর্ক লোক যাহার নারীদের উপর কোন প্রকার অত্যাচার করে, তাহাঙ্কের বিরুদ্ধে জনমত খুব প্রবল হওয়া উচিত । দুষ্টলোকেরা ধনী ও পদমর্যাদবিশিষ্ট হইলে তাহদের সামাজিক শাসন কয় না । ইহা নিতান্ত লজ্জার বিষয় । : নারীরক্ষাবিষয়ে হিন্দুসমাজের কতকগুলি লোক ব্যক্তিগতভাবে 'ও সমষ্টিগতভাবে ( অর্থাৎ সভা সমিতি S BB BB BBBS BBB DDDD S BBB BBB লোকের উদ্যোগী হওয়া উচিত , নারীরক্ষাকল্পে ৰেকট সভাপতি গঠিত হইছে অর্ধভাবে ষ্টান্ধৱ যথেষ্ট কাজ করিতে পারেন না। আমরা তাহাদিগকে অর্থ-সাহায্য করি না । ইহা গুরুতর ক্রটি । মুসলমান সমাজের কেহ কেহ ব্যক্তিগত ভাব নারীরক্ষার চেষ্টা করিয়াছেন, তাহীদের চেষ্টা সফল হইয়াছে, কেহ কেহ নিজেকে বিপন্ন করিয়াও নারীরক্ষণ করিয়াছেন, এরূপ সত্য সংবাদ খবরের কাগজে পড়িয়া প্রীত হইয়াছি, এবং এই সতলোকগুলির প্রতি আস্তরিক শ্রদ্ধা অনুভব করিয়াছি । সে-সব বিপন্ন বা আক্রাস্ত নারীর সাহাঘা ইছারা করিয়াছেন, তাহদের অনেকে হিন্দুনারী । ইহাতে আরও স্পষ্টভাবে বুঝা যায়, যে, তাহার নারী বলিয়াই নারীকে সম্মান করিতে, বিপন্ন মানুষের সাহান্য বিপন্ন বলিয়াই করিতে জানেন । সমষ্টিগতভাবে অর্থাৎ সভাসমিতি গঠন করিয়া মুসলমান সমাজের লোকের এ-বিষয়ে কোন কৰ্ত্তব্য করিয়াছেন বলিয় আমরা অবগত নহি । যদি করিয়া থাকেন, তাহা হইলে কেহ আমাদের অজ্ঞতা দূর করিলে উপকৃত হইব । একবার একটি মুসলমান কাগজে পড়িয়ছিলাম, গে, মুসলমান সমাজে বিধবাবিবাহ প্রচলিত থাকায় এবং নারীহরণাদি না-হওয়ায় বা খুব কম হওয়ায় এ-বিষয়ে কিছু করিবার প্রয়োজন সে-সমাজে অনুভূত হয় নাই । কিন্তু সরকারী বিবরণে যে-সব সংখ্য দেওয়া হহয়ছে, তাহ হইতে দেখা যায়, অত্যাচরিতা নারীদের মধ্যে মুসলমান নারীর সংখ্যাই অধিক । অতএব, যদি সাম্প্রদায়িক ভাবেই এ-বিষয়টির আলোচনা করা যায়, তাহ হইলেও মুসলমানদের সমষ্টিগতভাবে, দলবদ্ধভাবে, কিছু করা উচিত। হিন্দুসমাজে, সকলের দ্বারা অনুস্থত ও পালিত না-হইলেও, যেমন “যত্র নার্য্যস্ত পুজ্যন্তে রমস্তে তত্র দেবতাঃ,” “যেখানে নারীরা পূজিত হন সেখানে দেবতারা আনন্দ পান,” এই বাক্য প্রচলিত আছে, তেমনি মুসলমান সমাজে, “স্বর্গ জননীর পদতলে বা এতদ্রুপ বাক্য শুনিতে পাওয়া যায়। আমরা মুসলমান সমাজ শিক্ষিতা মহিলাদের মধ্যেই নারীরক্ষার বিষয়ে অগ্রণীত্ব দেখিবার আশা করি । , হিন্দুসমাজ সভাসমিতি গঠন করিয়াছেন বলিয় যে বলিয়ছি, তাছাতে ব্রাহ্মসমাজের লোকদিগকেও ধরিয়াছি। ষে নারীক্ষানমিতির প্রধান কৰ্ম্মী শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণকুমার মিত্র,