পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Նց . निब्रखनब्र ब्रक नद्रछग्नि थांकां निग्न कजां*ौ दलिल, “দাদা, বৌদি, একটিবার বাইরে এস। বুলবুলিকেও ভাক ৷” ঘরের ভিতর তিনজনই ছিল, বাহির হইয়া আসিল, । কল্যাণী বলিল, “তোমরা তিনজনেই জান সে গয়না তোমাদের কাছে আছে । যে হোক একবার বার করে দাও । আমি গয়না নিয়ে যাব না। শুধু একবার হাতে করব। তারপর উপবাস ভঙ্গ করে নিজের বাড়ি চলে যাব । মা বুলবুলের অকল্যাণ করব না।” কল্যাণীর মুখের চেহারা দেখিয়া নিরঞ্জন গমনা বাহির করিয়া আনিল। সকলকে কল্যাণী মা’র ঘরে লইয়া গেল । বুলবুলি দুইটা রেকবীতে সন্দেশ ও ফল লইয়া আসিল । কল্যাণী স্বামীর দিকে রেকাৰী দুইটা ঠেলিয়া দিয়া বলিল, “ওগে, একটু মিষ্টিমুখ কর " ৰিস্মিত হীরালাল ভয়ে ভয়ে একটা সন্দেশ তুলিয়া মুখে দিল । কল্যাণী গহনাগুলা দাদার হাত হইতে f fસ્વાઃ ; Sళ98O লইয়া বলিল, “ওগে, আমাদের খোকার ত বিয়ে দিতে হবে । আমার ঘরের মেয়েই ঘরে নিয়ে যাব । বুলবুলিকে আজই আমি এই গয়না দিয়ে আশীৰ্ব্বাদ করে গেলাম। নহরপুরে আর কাজ নেই, ঘরেই থাক ঘরের মেয়ে। আমার আর কে বা আছে, ও সব গমনাগাটি আমার বেী-ই পরবে ।” নিরঞ্জন ও হীরালাল পরস্পরের দিকে সন্ধি দুষ্টতে তাকাইতে লাগিল। কল্যাণী ইতিমধ্যে মা’র দেয়ালে-টাঙানে ধান্তগুচ্ছ হইতে ধান ছিড়িয়া বুলবুলের মাথায় দিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিতেছে। স্বামীর হাতেও কয়েকটা ধান গুজিয়া হাতখানা বুলবুলের মাথার উপর সে-ই উপুড় করিয়া ধরিল। সকলের বিস্ময় ভাঙিবার পূৰ্ব্বেই সে নিজেই শাখটা তুলিয়৷ বাজাইয়া দিল । বাড়ি ফিরিবার সময় হীরালাল গাড়ীতে স্ত্রীকে বলিল, “এ বাপু, কাটা দিয়ে কাটা তোলা। যাক, দাদা যদি আর না বিয়ে করেন ত বাড়িখানা খোকাই পাবে।” মুসলমান সভ্যতার ধারা ও প্রাচীন জ্ঞানচর্চা শ্ৰীকালিকারঞ্জন কানুনগো, এম্-এ, পি এইচ-ডি ইসলাম বলিতেই ইতিহাসের সহিত অপরিচিত অমুসলমানের মনে ধ্বংসের বিরাট মূৰ্ত্তি ভাসিয়া উঠে। বস্তুত, ইসলামের অভু্যখান যেন প্রলয়ের মহাপ্লাবন । হজরত মহম্মদের মৃত্যুর পর সহসা ইহার ঝটিকাবিক্ষুব্ধ তরঙ্গোচ্ছ্বাস আরব-মরুর বেলভূমি অতিক্রম করিয়া বিধাতার রুদ্ররোষের ন্তায় পূৰ্ব্ব-রোম বা বাইজেণ্টাইন সাম্রাজ্য ও ইরানের সাসানী সাম্রাজ্যের উপর প্রচও বেগে আপতিত হইল। আরব জাতির এই বিপুল বিজয়-অভিযান ও ইসলাম-প্রচারকে কোন কোন ঐতিহাসিক গথ, ভাণ্ডাল প্রভৃতি অসভ্য জাতি কর্তৃক পশ্চিমরোমক সাম্রাজ্য ধ্বংসের সহিত তুলনা করিয়া থাকেন। কিন্তু আরব জাতি ও উক্ত জাতিসমূহের প্রসারকে একই পৰ্যায়ভূক্ত করা যায় না। কেননা, গণ ভাগুলি প্রকৃতির পশ্চিমদক্ষিণ ইউরোপ ও উত্তর-আফ্রিকায় রোমের সভ্যতা ও সাম্রাজ্য ধ্বংস উপচিত জনশক্তির মহাপ্লাবন ছাড়া আর কিছুই নহে। এ সমস্ত জাতির কোন অনুপ্রেরণা ছিল না, জগতকে তাহদের নূতন কিছু দেওয়ার ছিল না। কিন্তু ইসলাম এশিয়ার ফরাসীবিপ্লব ; আরব জাতি এ বিপ্লবের অগ্রদূত। ইসলামের বিজয় প্রাচীন সভ্যতার রাহুগ্রস কিংবা বর্বর পশুবলের তাওক নহে । পৌত্তলিকতা ও পৌরহিত্যবর্জিত উন্নততর একেশ্বরবাদ, সাম্য মৈত্রী ও স্বাধীনতার ভিত্তির উপর স্বপ্রতিষ্ঠিত অভিনব ধৰ্ম্মরাজ্যের আদর্শ লইয়া মুসলমান বিশ্ববিজয়ে বহির্গত হুইয়াছিল। নূতনের সহিত ঘাত প্রতিঘাতে পুরাতনের পরাজয় ও আংশিক ধ্বংস অনিবাৰ্য্য। যে-কারণে রাঙ্কগুপ্রধান ও রাজশাসিত ইউরোপ ফরাসী-বিপ্লবের প্রচণ্ড আঘাত্তে ভাঙিয়া পড়িয়ছিল ঠিক সেই কারণেই সমসাময়িক পূৰ্ব্ব রোমক সাম্রাজ্য, পারস্ত ও হিন্দুস্থান ইসলামের আক্রমণ প্রতিরোধ করিতে পারে নাই । মানব-আত্মার যেমন ধ্বংস নাই, তেমনি জাতির আত্ম-স্বরূপ