পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খণতিকنسفاقفلتة . श्रूशणक्षौम चाष्ट्रंखtच बां ७ वtघ्रौच चमित्रं সভ্যতারও সম্যক বিনাশ নাই। ইহা জরাজীর্ণ ক্ষয়রোগগ্ৰস্ত জাতিকে ত্যাগ করিয়া নূতন জাতিকে বরণ করে। বিজিত জাতির সভ্যতা অপেক্ষাকৃত কম সভ্য বিজেতাগণকে প্রায়ই জয় করিয়া থাকে। মুসলমান গ্রীস জয় করিবার বহুশতাব্দী পূৰ্ব্বে গ্রীক-জ্ঞানচর্চা মুসলমান-রাজ্যে প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল। মুসলমানের সঙ্গীত ও দর্শনকে বনাম গ্রীস হইতে গ্রহণ করিয়াছিল। সঙ্গীত ও দর্শনকে আরবী ভাষায় মুসিকি ও ফলসফ করা হইয়াছে। আরিস্তু (Aristotle ), আফলাতুন (Plato) ও জালিলুস ( (inlen ) গ্রীক হইলেও মুসলমানেরা নিতান্ত আপনার করিয়া লইয়াছে। জ্ঞানরাজ্যে মুসলমান জাতিভেদ ও ধৰ্ম্ম-বৈষম্য বিচার করে নাই । সমস্ত বিজিত জাতির জ্ঞানভাণ্ডার অনুসন্ধান ও উদ্ধার করিয়া মুসলমান উহার সংরক্ষণ ও প্রচার করিয়াছে। আমরা এই প্রবন্ধে প্রধানতঃ মুসলমান কর্তৃক প্রাচীন জ্ঞানচর্চা এবং প্রসঙ্গক্রমে মুসলমান সভ্যতার ক্রমবিকাশের সংক্ষেপ আলোচনা করিব। হজরত মহম্মদের পরবর্তী প্রথম খলিফ-চতুষ্টয়ের রাজ্যকালকে (হিঃ ১১-৪১ ) ইস্লামের স্বর্ণযুগ বলা হয়। উছ ধৰ্ম্মনিষ্ঠার সত্যযুগ, কিন্তু সভ্যতা ও জ্ঞানচর্চার শৈশব মাত্র। মরুবাসী আরব সবেমাত্র তখন শহুরে হইয়াছে ; লুঙ্গী-চাদর ছাড়িয়া মুসভা ইরানীয়দের অনুকরণে পায়জাম, মোজ, টুপী ব্যবহার করিতে আরম্ভ করিয়াছে। পয়গম্বরের সময় মক্কামদিনায় যে-কয়জন লেখাপড় জানিত তাহদের সংখ্যা হাতের আঙ্গুলে গণনা করা যাইত। এ-সময়েও অবস্থা সেরূপই ছিল। কোবণশৰ্শক, জেহাদ ও বেহেশত (স্বর্গ ) ছাড়া অন্য কোন বিষয় তপন থাটি মুসলমানের চিন্তার অতীত ছিল। আরবদের মধ্যে একদল ছিল কপটাচারী ( মোনাফেক্ ) ; সুবিধাবাদ ছাড়া অন্ত কোন ধৰ্ম্মবিশ্বাস তাহদের ছিল না। তাহারা সুজল৷ স্বফলা সিরিয়া, মিশর ও ইরাকের সুরমা উদ্যানবাটিকায় বিজয়লব্ধ ঐশ্বধ্য ও নারী-সৌন্দর্ঘ্যে ভূস্বর্গ হুষ্টির স্বপ্নে বিভোর। মহাত্মা আলীর মৃত্যুর পর ওীয়গণ খেলাফং অধিকার করিল। ইহারা ছিল নামেমাত্র মুসলমান ; অধিকাংশই হজরত কর্তৃক মক-অধিকারের পর দায়ে ঠেকিয় ইসলাম গ্রহণ করিয়াছিল। ওীয়গণের শতবর্ষব্যাপী রাজত্বকাল সাম্রাজ্যগৰ্ব্বিত আরব জাতির বীরত্ব-গৌরবে উদ্ভাসিত – কলঙ্কিত। মুসলমানের ওীয় খেলাফতকে স্থায়হীন ধৰ্ম্মহীন যথেচ্ছাচার এবং পাপ ও ব্যভিচারের যুগ, বলিয়া থাকেন। আরব জাতির নৈতিক জীবনে ইহা যেন ইসলাম-প্রতিষ্ঠিত সংযমের কঠোর নিগড়ে আবদ্ধ চিরস্বাধীন, ভোগলোলুপ, অতৃপ্ত বেদুঈন প্রকৃতির বিদ্রোহ—মুসলমান সাম্রাজ্যে “পিউরিটান রেজিম'-এর পর ‘রেষ্টোরেশান । দ্বিতীয় ওমর ও হিশাম ব্যতীত এই বংশের খলিফাগণ প্রকাশ্বে মদ্যপান করিতেন । দ্বিতীয় বলিদ (Walid ) একটি শরাবের চৌবাচ্চ তৈয়ার করাইয়াছিলেন। উহাতে ডুব-সাতার দিয়া মদ খাওয়াই ছিল তাহার পরম জানন। তাহার হাতে কোরাণশরীফেরও লাঞ্ছনার অবধি ছিল না। একদিন কোন কারণে তিনি তীরধষ্ণু লইয়া কোরাণের উপর । চাদমারী ( target ) করিতে আরম্ভ করেন। এই প্রসঙ্গে । লিখিত র্ত{হার কবিতার একছত্র – “When thou meetest thy Lord on the Then cry unto God e'# 10, torn.” একমাত্র দ্বিতীয় ওমর ছাড়া এ-বংশের কোন খলিফা বিজিত জাতিদের মধ্যে ইস্লাম-প্রচারের কোন চেষ্টা করেন নাই, বরং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বাধা দিয়াছিলেন। তাহাদের সময়ে নিয়ম ছিল, শুধু কলম পড়িলে কেহ মুসলমান হইবে না, সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ং হওয়া চাই । কিন্তু এত করিয়াও আরব ছাড়া অন্য জাতীয় অমুসলমান ইসলাম গ্রহণ করিলে তাহদের সময়ে জিম্মিরা জিজিয়া বা মুগুকর হইতে রেহাই পাইত না। ইস্লামের অনুশাসন ন মানিলেও আরবেরা ইসলামকে তাহাদের মৌরসী সম্পত্তি মনে করিত। আরব ছাড়া অঙ্ক কেহ ইসলাম গ্রহণ করিয়া মুসলমান সাম্রাজ্যে নাগরিকের পূর্ণ অধিকার লাভ করুক ইহা তাহদের অভিপ্রেত ছিল না। সঙ্গীত, প্রাচীন আরব কবিতা, মহম্মদ ও র্তাহার পরবর্তী খলিফা-চতুষ্টয় ছাড়া অন্ত বিষয়ক, যথা— প্রাচীন পারস্য ও দক্ষিণ-আরবের রাজবংশের ইতিহাস ও যুদ্ধকাহিনী—তাছাদের কাছে বিশেষ সমাদৃত হইত। র্তাহাজের ধারণা ছিল, মরুবালী বেদুইনের তাবুই প্রকৃত মন্থযাত্ৰ শিক্ষার । শ্ৰেষ্ঠ স্থান। সেজন্য বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে শিক্ষাসমাপ্তির জন্থ : • Umayyads and Abbasides; trans. by. ಸ್ನ್ಯ হইলেও উহা নিরঙ্কুশ ভোগলালসার জাৰিল প্রবাহে p. 104 --