পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

翰8 অনড় পৰ্ব্বতশ্রেণী মনুষ্যচালিত তরস্বতী এই যন্ত্রের দিকে গভীর বিস্ময়ে চেয়ে থাকে তখন এই পাৰ্ব্বত্য রাজ্যে যে অনধিকারপ্রবেশ করেছি এ-কথা স্পষ্টই মনে আসে। প্রায় অৰ্দ্ধপথে শিলং ১৮ মাইল ডম্পেপ। থেকে ‘এলিফ্যাণ্ট জলপ্রপাত এই জায়গাটা এদিকে সবচেয়ে উঁচু ছয় হাজার ফুট হবে। এখানকার গেটে চেরাপুঞ্জি থেকে আগত এবং চেরাপুঞ্জিগামী দুই দল মোটর এসে পৌছলে তবে গেট খুলে দেওয়া হয়। এর পর চেরাপুঞ্জি নেমে যেতে হয়, কেন-না, চেরাপুঞ্জি মাত্র ৪০০০ ফুট উচু। ডম্পেপ থেকে চের পর্য্যন্ত ৬ মাইল রাস্তার সৌন্দর্ঘ্যের সমারোহ ভাষার দ্বারা বর্ণনা করতে পারি আমার এমন ক্ষমতা নেই। কেবল এটুকু মনে আছে যে, চেরার পথে বা দিকে গহবরের যে বিশালতা এবং তারই পরপারে অপরাহ্লের রৌদ্রালোকিত পৰ্ব্বতশ্রেণীর যে অপার্থিব সৌন্দর্য্য দেখেচি এবং দেখে যে SKDBO আনন্দ লাভ করেচি তার সঙ্গে তুলনা দিতে পারি এমন আর কিছুই মনে পড়ে না। ছোটবেলায় নানাবর্ণ-রঞ্জিত চিত্র দেখে বালক-মন যেমন অনাবিল আনন্দে পুলকিত হয়ে উঠত বোধ হয় একমাত্র সেই আনন্দের সঙ্গেই এষ্ট আনন্দের তুলনা দেওয়া যায় । ১৮৬৬ সাল পৰ্য্যন্ত খাসিয়া এবং জয়স্তিয়া পাহাড়ের জেলসদর ছিল চেরাপুঞ্জি । ১৮৬৬ সালে এই সদর কাছারি চেরাপুঞ্জি থেকে শিলঙে নিয়ে আসা হয়। আরও ৮ বছর অর্থাৎ ১৮৭৪ সালে শিলং আসামের রাজধানী ব’লে পরিগণিত হয় । মৌসমষ্টি-জলপ্রপাত চেরাপুঞ্জি থেকে আরও তিন মাইল গেলে মোস্মাই জলপ্রপাত দেখতে পাওয়া যায়। ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে যে ভীষণ ভূমিকম্প হয় তারই ফলে এই জলপ্রপাত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে । আমি যখন দেখতে গিয়েছিলুম তখন জানুয়ারি মাস। স্বতরাং জল ছিল না। কিন্তু ঐ ভূমিকম্পের