পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাতিক খাসিয়া ও জয়ভিন্ন পাহাড় এবং কামাখ্যা அே আগে মৌস্মাই পৃথিবীর মধ্যে তৃতীয় জলপ্রপাত বলে বিখ্যাত ছিল শুনেচি। মাটির থেকে এটা ১৮০০ ফুট উচু। জলপ্রপাতের প্রসঙ্গে আর একটা কথা মনে পড়ল। সেটা হচ্চে এই যে খাসিয়া এবং জয়ন্তিয়া পাহাড়ে যতগুলি জলপ্রপাত আছে ভারতবর্ষের. আর কোন পাহাড়ে তত নেই। মৌসুমাইকে নিয়ে ৮টি জলপ্রপাতের নাম আমিই বলতে পারি—আরও দু-একটা থাকা বিচিত্র নয়। এলিফ্যান্ট জলপ্রপাতটি শিলং থেকে ৭ মাইল দূরে এক নিভৃত কন্দরে অবস্থিত। বীডন এবং বিশপ—এ দুটি পাশাপাশি বললেই হয়। শহর থেকে কাছেই। প্রথমটির থেকে ইলেক্ট সিটি সরলগাছের বন ও পথ -শিল: তৈরি হচ্ছে এবং সেই বিদ্যুৎশক্তি আলোর আকারে সমস্ত শিলং শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে । ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় এবং তাহার ভায়ের এই ইলেক্‌টুক্‌ কোম্পানীর কর্ণধার। শ্রেডঈগল জলপ্রপাতটির নাম থেকেই বোঝা যায় যে সেটি দেখতে ঠিক যেন একটি ঈগল পার্থী ডান মেলে উড়ছে এম্নি । * চেরাপুঞ্জির রৈাপওয়ে একটি দ্রষ্টব্য ব্যাপার। চেরাপুঞ্জির কামাপা মন্দির পৰ্ব্বতশ্রেণীর ঠিক নীচেই হচ্চে শ্রীহট্টের সমতলভূমি— আকাশ যদি পরিষ্কার থাকে, তবে শ্রীহট্রের এই সমতলভূমি পাহাড়ের উপর থেকে প্রত্যুযে এত সুন্দর দেখায় যে তা বর্ণনাতীত। মনে হয় কে যেন একজন শিল্পী অত্যন্ত যত্ন করে মাটির উপর একখানি সবুজের গালচে বিছিয়ে দিয়েছে এবং সেই গালচের উপর গলিত রৌপ্যের ধারা একে-বেঁকে বয়ে যাচ্ছে— এই ধারাগুলি হচ্চে নদী এবং অন্যান্য জলাশয়। শ্ৰীহট্টের দিকে পাহাড়ের পাদমূলেই হচ্চে ভোলাগঞ্জ শহর । থাপায় করে নামূলে ভোলাগঞ্জ চেরা থেকে ৯ মাইল পথ। থাপা মানে মোড়ার মত একটা যান, যেটাকে পিঠে বেঁধে ও-দেশের লোক পাহাড়ের পথে ওঠানামা করে। সাধারণতঃ রোগী এবং স্ত্রীলোকেবা এই থাপায়