পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BBB S BBBB BBBB BBB S BBBBBBB BB BB BB DB BBB BB BBB BB BBB BBBB বাংলা তাদের দ্বিতীয় ভাষা নিয়েছে। প্রথম শ্রেণীর তিনজন ছাত্র আমাদের সঙ্গে বাংলা ভাষায় কথাবাৰ্ত্তী কইলেন এবং তারাই আমাদের রোপওয়ের কাছ থেকে আশ্রমে নিয়ে গেলেন। এই চেরাপুঞ্জির আশ্রমের এবং চেরা থেকে আরও বার মাইল নীচের পথে শেলাপুঞ্জি আশ্রমের প্রতিষ্ঠাত স্বামী প্রভানন্দ এক অদ্ভুত কৰ্ম্মী। তিনি সমস্ত খাসিয়া এবং জয়স্তিয় পাহাড়টি যেন একেবারে মুখস্থ করে ফেলেছেন। আজ তিনি শিলং, কাল চেরাপুঞ্জি এবং পরশু হয়ত শিলচরের পথে । খাসিয়া ভাষায় তিনি অসাধারণ ব্যুৎপন্ন এবং উক্ত ভাষায় ঘণ্টার পর ঘণ্ট। মনোগ্রাহী বক্তৃতা দিতে পারেন। খাসিয়া ভাষায় তিনি একখানি হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারির বই লিখচেন দেখে এসেচি এবং ‘ক খুবর খাসি’ নাম দিয়ে একখানি দ্বৈভাষিক ( খাসিয়া এবং বাংলা) পাক্ষিক সংবাদপত্র চালাবেন স্থির হয়ে গেছে । উপরে সিমের যে সাবধানতার কথা উল্লেখ করেছি সেট অস্বাভাবিক নয়। কেন-ন, মুসলমান সম্প্রদায়ও ওখানে ধৰ্ম্মপ্রচারের চেষ্টা করেছিলেন, বিশেষ সফল হতে পারেন নি । বিভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের এই ধৰ্ম্মপ্রচারের চেষ্টা দেখে ওঁরা একটু ঘাবড়ে গেছেন-নিজের কোথায় আছেন ঠাহর পাচ্ছেন না। মুসলমানদের ধৰ্ম্মপ্রচারের অনুবিধার কারণ তাদের চেষ্টার ত্রুটি নয়—কারণ এদের দুই দলের খাদ্যের অসামঞ্জস্ত। মুসলমানের শূকরের মাংসকে বলেন 'হারাম, আর খাসিয়া পরমানন্দে শূকর এবং গরুর মাংস গলাধঃকরণ করেন, বিশেষ করে শূকরের। এইখানে খাসিয়া জাতি এবং তাদের আচার-পদ্ধতির কথা কিছু বললে বোধ হয় অপ্রাসঙ্গিক হবে না। খাসিয়া এবং জয়স্তিয়া পাহাড়ের অধিবাসীদের প্রধানতঃ তিন উপজাতিতে ভাগ করা যায় –(১) চেরাপুঞ্জি থেকে শিলং পৰ্য্যস্ত যে বিস্তৃত মালভূমি তার অধিবাসীর নাম খাসি বা খাসিয়া, (২) জয়স্তিয়া পাহাড়ের অধিবাসী অর্থাৎ পূৰ্ব্বদিকে কাছাড়ের সংলগ্ন প্রদেশের অধিবাসীদের নাম সিণ্টেং এবং (৩) পশ্চিমে গারো পাহাড়ের সংলগ্ন প্রদেশের অধিবাসীদের নাম লিঙ্গা। খাসিয়া স্ত্রীলোকের স্বাধীন, তাদের কোন পদ নেই। তারাই বাজারে সমস্ত বেচা-কেনা করে, হিসাবে ১৩ বাস্তবিকই এদের সততা অনুকরণযোগ্য। এখন পৰ্যন্ত চেরাপুঞ্জি, শিলং প্রভৃতি অঞ্চলে চৌর্যবৃত্তি অপরিজ্ঞাত। খাসিয়া সভ্যতায় পুরুষেরা গৌণ, তাদের অধিকাংশ বাড়িতেই থাকে। স্ত্রীলোকের অত্যন্ত পরিশ্রমী-দোকান রাখা থেকে আরম্ভ করে পথের ধারে বসে পাথর ভাঙা পৰ্যন্ত কুলীর কাজ সব মেয়েরাই করে। চেরাপুঞ্জি খাসিয়া কৌলীম্ভের পীঠস্থান। প্রকৃত খাসিয়া জাতি অর্থাৎ যাদের রক্তে কোন প্রকারের মিশ্রণ হয়নি এবং যাদের জীবন শহরের জাৰিলতার পলি নয় তাদের চেরাপুঞ্জিতেই দেখতে পাওয়া যায়। শিলং শহরে চারিপাশের গ্রামের এবং পাহাড়ের খাসিয়া স্ত্রীলোকের এসে জড়ো হয়েচে বলে এবং তাদের জীবন কিঞ্চিৎ অস্বাভাবিক বলে প্রকৃত খাসিয়া স্ত্রীপুরুষের টাইপ শিলঙে কম। খাসিয়া স্ত্রীলোকদের সুন্দরী বলা যেতে পারত যদি তারা আর একটু লম্বা হত। তাদের গায়ের রং উজ্জল গৌরবর্ণ, চক্ষু দীর্ঘায়ত, নাক একটু"থ্যাবড়া, পাহাড়ো পথে ওঠ-নাম করার জন্য পায়ের মাংসপেশী সবল এবং স্বপুষ্ট । খাসিয়া জাতির উৎপত্তি সম্বন্ধে যথেষ্ট গবেষণা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। ইউরোপীয় পণ্ডিতদের কৃপায় আমরা জানতে পেরেছি যে, খাসিয়া জাতি ইন্দো-চীনের মনু আনাম পরিবারের অস্তভুক্ত। ভাষার তরফ থেকে বৰ্ম্মীদের সঙ্গে খাসিয়াদের নিকট-সাদৃশু আছে বলে মনে হয়। বৰ্ম্মীদের মত খাসিয়ারাও পুরুষদের নামের পূৰ্ব্বে ইংরেজী 'ইউ- এই অক্ষরটি ব্যবহার করে। রেভারেও এইচ রবার্টস একখানি খাসিয়া ভাষার ব্যাকরণ লিখেছেন। তার উপক্রমণিকায় বলেছেন যে, অল্পদিন আগেও খাসিয়ার ব্রহ্মদেশের সঙ্গে সংবদ্ধ ছিল এবং তাদের রাজার বগুত স্বীকার করত । প্রত্যেক বছর খাসিয়া পাহাড় থেকে ব্ৰহ্মদেশের রাজার নিকট করের চিহ্নস্বরূপ একখানি কুঠার পাঠানো হত। ভারতবর্ষের পাৰ্ব্বত্য জাতির সংখ্যা এক কোটি ষাট লক্ষ । আসাম প্রদেশের অর্ধেক লোক পাৰ্ব্বত্য পৰ্যায়ভুক্ত। ১৯৩১ সালের আদমন্ত্রমারীর বিবরণে জানা যায় যে, খাসিয়া জাতির মোট সংখ্যা ১৭১৯৫৭ । তার মধ্যে ৩৯২৮৯ জন धुंछेॉन । ... "