পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

به هد ফাইলনিচইল গেল কাল হইল কাল। গোটা " . কি করে প্রতিদ্বিতীয় জিতবে সেই নিয়ে অপযশী হইলাম রে বন্ধু ছক্ষেরি কপাল ॥ সৰ্ব্বদা ব্যস্ত। আর মেয়েদের কাজ নিয়ন্ত্রিত করছেন ঠাকুমা বহুদিন ঘুরে ফিরে পাগলিনীর বেশে কাঞ্চনমালা নিজের বাড়িতে ফিরে এসে শুনতে পেলেন বিয়া কইরা রাজার পুত্র মুখে বস্তা খায় । স্বপ্নেও একদিন কঙ্কারে না জিগায় । কিন্তু জমিদার-পুত্রের মত কাঞ্চনমালা সমাজের কাছে ক্ষম পেলেন না—তার নারীত্বের জন্য । তিনি জনমের মত শেষবার জমিদার-পুত্রকে দেখে চলে এলেন ভরা নদীর ঘাটেতে। তার মরার খবর যাতে কেউ না জানে, তাই তিনি সবাইকে ডেকে বলছেন, আমি মইরাছি নদী না বলিও কারে । টুনীপন্থী নাহি জানে ন কইও বন্ধুরে। নদীর বিরিক্ষি লতা ঘুমাও পাখী ডালে। আমার কথা না কহিও বন্ধুর নিকটে । জীবনের ব্যর্থতায় কাঞ্চনমালা জমিদার-পুত্রকে অভিশাপ দিতে পারলেন না, তিনি যে জমিদার-পুত্রকে ভালবাসেন এই সত্যই নারীর কাছে যথেষ্ট এবং তাই সহজেই জমিদার পুত্র ক্ষম৷ পেলেন। তিনি বলে গেলেন লা লইও না লইও বন্ধু কাঞ্চনমালার নাম । তোমার চরণে বন্ধু আমার শতেক পরণাম ॥ গায়ের লোক, পশু, পার্থী— কেউ জানল না কাঞ্চনমালার কথা, কিন্তু সন্ধ্যার সময় ঘরের দাওয়ায় বসে ঠাকুমটি তার নাতিপুতির কাছে একে দিলেন সমাজের সুখদু:খের একটি স্মৃতি, নারীজীবনের অসাধারণ চরিত্রবল,-কিরূপে সে দুঃখের মানিতে পুড়ে নীরবে আত্মদান করল। ঠাকুমা এখন ছেলেমেয়েদের বাইরে ছুটাছুটি করতে পাঠিয়ে দেন। তারা এখন, ‘চোখ বান্দী’, ‘পালান পালান’, ‘কুমীর কুমীর’, খেলা করে। মেয়েরা কুমীর হয় আর ছেলেরা তার বাচ্চ নিতে এসে বলে, “এ গাঙে কুমীর নাই, হাপুদ-স্থপুল ।" বাংলা দেশে এই অবধিই মেয়ে ও ছেলের একসঙ্গে চলাফের দেখতে পাওয়া যায়, তারপর উভয়েই দুটি বিভিন্ন দিকে চলে যায়। ছেলেরা এখন ‘গোল্লাছুট, ‘দাড়ে বান্দা চিবুড়ী ইত্যাদি খেলা করে। বিক্রমপুর অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায় অনেক সময় দশ-বার বছরের ছেলের ঠাকুমাটিকে চিবুড়ী করে। তারা এখন বলে, “চি চট্ৰক আমের বোল, গাছে উঠে মারি শোল, শোলের কপালে ফোট, খেজুমারি গোটা 30 ব্ৰতকথায়, ব্ৰতবৃত্যে। আনন্দে তারা মেঘকে পৃথিবীতে ডেকে আনে, বককে অসীম আকাশে উড়তে শেখায়। তাদের o కలి فینجا حمf الجو 5.eا aPతో 睡入廖 tN9 Игл» פאא | পিড়ি চিত্র সৌন্দর্যবোধ জেগে ওঠে ব্রত-আলপনায়, নিৰ্ম্মাণ-পূহ ফুটে ওঠে রন্ধন ইত্যাদি কার্য্যে, স্বজন-স্পৃহা ফুটে ওঠে সিকে, কঁথি ইত্যাদি সেলাই করাতে, সংগ্রহ-স্পহী জাগানে হয় দূৰ্ব্বা, ফুল ইত্যাদি সংগ্রহ করতে দিয়ে। ঠাকুমা এখন তাদের খেলা কমিয়ে দিয়েছেন, ব্ৰতকথা, ব্রতনুতাই তাদের কাছে আদরের বস্তু, তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের আভাস পেতে স্বরু করেছে এই সব ব্ৰতকথার মধ্য দিয়ে। ঠাকুম এখন তাকে একটু রসিকতা করে বলেন - . দোল দোল দুলুনি। রাঞ্জা মাথায় চিরণি । বন্ন জাসবে এখনি । নিয়ে যাবে তখনি ॥