পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক । जाडोब्र जोबध्न ब्लाङ्कमात्र मात्र ృea বাপ কন্দিবেন, বাপ কাম্পাবেন দরবারে বসিয়ে । সিধির ঐ সিন্মুর লাগে, বানিয়ার চন্দন লাগে সেই যে বাপ টাকা দিয়াছে পেটরাট ভরিয়ে । তারে আনতে গেলে এই সব লাগে গো ৷” ভাই কানাবেন ভাই কালবেন আঁচল ধরিয়ে, সেই যে ভাই কাপড় দিয়াছেন আলনাট সাজিয়ে ॥ ম, বাব, ভাইবোনের ভালবাস, সমস্ত ঝগড়াবিবাদ এবং সব খেলাধূলার লীলাক্ষেত্র ছেড়ে গেলে যে তারা ব্যাকুল হয়ে কাদবেন তারই ইঙ্গিত দেওয়া হয় এই ছড়ার মধ্যে। এখনও অনেক গ্রামে ‘চোদ প্রদীপ জালা’ উৎসবে মেয়ের ঠাকুমার কাপড় ধ'রে তুলসী তলায়, ঘরের আনাচে-কানাচে, পুকুরঘাটে প্রদীপ ভাসিয়ে দেয়। এই ঠাকুমার কোলেপিঠে নিয়ত মানুষ হয়েছে যে, তার ভাবী শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথায় বাড়ির সবাই উদ্বিগ্ন, কিন্তু ঠাকুমার কোন চিন্তা নেই, তিনি আরও উৎসাহের সঙ্গে বলছেন পুটু যাবে শ্বশুরবাড়ি সঙ্গে যাবে কে ? ধরে আছে হাতীঘোড়া কোমর বাধাছে । আমকাঠালের বাগান দেব ছায়ায় ছায়ায় যাতি । চার মিনসে কাহার দেব পালক বহাঁতি ৷ সর ধানের চিড়ে দেব পথে জল খেতে । চার মাগী দাসী দেব পায়ে তেল দিতে উড়কী ধানের মুড়কী দেব শাশুড়ী ভুলাতে ৷ এখন আর ঠাকুমার নাতির দিকে বিশেষ লক্ষ্য নেই, কারণ সে এখন নিজের পায়েই নিজে চলতে শিখেছে। আমরা একদিন গায়ের এক ঠাকুমার কাছে গেছি, ঠাকুমা শুনলেন যে তার নাতি গ্রামের কোন এক প্রতিবেশীর বাড়ীতে উপদ্রব করছে । আমনি ঠাকুমাটি আমাদের বললেন, “বাবারে, কি আর বলব, চিত্তিরি নাই সুখ, ভেবেছিলাম আমার যেমন নিমাই তেমন আছে, কিন্তু এদিকে, আমার তলদে নিমাইয়ের ডোরায়ে গেছে । বাড়িতে বিবাহের ধুমধাম পড়ে গেছে। সবাই যখন বৃদ্ধিশ্ৰাদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত, ঠাকুম কিন্তু ওদিকে বিয়ের ‘আনন্দ নাডু তৈরি করতে ছুটাছুটি করছেন। ঠাকুম তার হাত দুপ দিয়ে ধুয়ে ছেলেকে আশীৰ্ব্বাদ করেন এবং এই সময় এয়োরা যে গান করে সে গানটি শেষ না হওয়া পৰ্য্যস্ত শকুমার সামনে ছেলেকে দাড়িয়ে থাকতে হয় । প্রথমে এমোরা বলেন, যেন ছেলে ঠাকুমার কাছে জিজ্ঞেস করছে আমি যাব সেই অশোকবনে সাঁতারই অন্বেষণে তীরে জানতে গেলে কি কি লাগে গো ? তখন সবাই মিলে ছেলেকে বেঁধে তার চার পাশে মেয়েকে সাত পাক ঘোরাচ্ছে, ঠাকুম কিন্তু এদিকে তাদের বরণ ক’রে নিয়ে আসবেন বাসরঘরে । যদিও বাসরঘরে বর ও কন্তীয় জে-খেলার সময় আমোদ-আহলাদ ক’রে গান গাওয়া ट्ध्न রাম যদি ঢালে পাশ দাসী হব ঐ চরণে । এদিকে, সীত ধৰি চালে পাশ পণ করিব রাজ্যধনে । কিন্তু ঠাকুমার এই সব ফাক কথায় মন ভিজছে না, তিনি প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখতে চান । তার সোহাগভরা হাড়ি নিয়ে এলেন। তখন বরের মাথার মুকুটের এক অংশ আর কনের মাথার মুকুটের এক অংশ সোহাগভরা ছাড়ির জলের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে খুব জোরে ঘুরিয়ে দিলেন। এখন যদি দেখেন মুকুটের ওই শোলার টুকরা দুটি পরস্পর সংযুক্ত হয়ে ঘুরছে, তবে ঠাকুমা বুঝবেন বর-কনের মধ্যে