পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজঘাটের ব্রতনুত্য . . . . . . ঐগুরুসদয় দত্ত - দু-বছর আগের কথা। তখন বাংলার শিক্ষিত মেয়েদের বছর-দেড়েক আগে ফরিদপুর জেলার নলিয়া গ্রামে ব্ৰতমধ্যে নাচের প্রবর্তন করবার চেষ্টা আরম্ভ হয়েছে । কিন্তু নৃত্য ও বিবাহ-নৃত্যের আবিষ্কার করবার স্বযোগ আমার যেমন অন্যান্ত রসকলার ক্ষেত্রে, তেমনি নৃত্যকলার ক্ষেত্রেও হয়েছিল। সে-সম্বন্ধে সচিত্র আলোচনা যখন নানা কাগজে বাংলার শিক্ষিত সমাজ আদর্শ খুজছিল AAA S S S S - - অন্য প্রদেশ থেকে এবং অতীত যুগের পুথি ও মন্দিরগাত্র থেকে। বিশেষ করে গুজরাট অঞ্চলের গরবা নাচের অনুকরণ করবার তখন খুব একটা হুজুক পড়েছিল। আমি কিন্তু শৈশব থেকেই জানতাম, বাংলা দেশে ভদ্র মেয়েদের মধ্যে এমন নৃত্য এখনও বেঁচে আছে, যা গরবার চেয়ে কোন অংশে কম নয় ; এমন কি, ভঙ্গীর বলিষ্ঠতার দিক দিয়ে এর স্থান আরও উচ্চে"। কিন্তু আশ্চর্য্যের কথা এই যে আমাদের দেশের ভদ্রসমাজ তখন এ-বিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিলেন । অঞ্জলি-বৃত্য প্রকাশ করেছিলাম, তখন বাংলার শিক্ষিত সমাজের মধ্যে খুব একটা সাড় পড়ে। শাস্তিনিকেতনের স্বগীয় জগদানন্দ রায় মহাশয় এ-বিষয়ে আমাকে লিখেছিলেন—“এমন নৃত্য যে আজও . আমাদের দেশে আছে তাহ আজ আপনার রচনা হইতে জানিলাম।” কিন্তু এর অল্পদিন পরেই আর একটি নৃত্য আবিষ্কার করবার সৌভাগ্য আমার হ’ল, যার তুলনায় নলিয়ার নৃত্যও স্নান হয়ে গেল । এই নৃত্যটির নাম ঘট-ওলানো নৃত্য। যশোহর জেলায় রাজঘাট অঞ্চলে এখনও ' এর প্রচলন আছে। রাজঘাট গ্রামটি