পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভৈরব নদীর কূলে । ঐ গ্রামের কাছাকাছি বুনা নামক স্থানে শীতলা দেবীর একটি বহু প্রাচীন মন্দির আছে । কাছেই একটি বৃহৎ বটগাছের নীচে শীতলাতল । চারি পাশের ষাট-সত্তর খানা গ্রাম থেকে নানা বয়সের ইতর ভদ্র মেয়েপুরুষ দেরীর কাছে পূজা দিতে যায়। গ্রামলীর বন্ধাৰ, রোগ (বিশেষ কয়ে ‘মায়ের অনুগ্রহ অর্থাৎ বসন্ত রোগ) এবং নানা ব্যাপারের স্বফলের জন্য দেবীর কাছে মানত করেন । ৰেদিন পূজা হবে তার তিন বা পাচ কিংবা সাত দিন আগে যে গৃহস্থ মানত করেন। পাড়ার বয়স্ক মেয়েদের এই উপলক্ষে নিমন্ত্রণ করা হয়। মানতকারিণী সেদিন উপবাসী থাকেন। মেয়েরা সমবেত হ’লে উলুধ্বনি সহকারে সকলে ঘাটে যান। মানতকারিণী কুলার উপর একটি পিতলের ঘট রেখে সেই ঘট ও কুলা মাথায় করে জলে ডুব দেন। ঐ জলভরা ঘট ও কুলা ঘাট থেকে মাথায় করে এনে ঘরের মধ্যে ঘটস্থাপন করেন । তারপর সমবেত মেয়ের - SO8O আরও দুটি গানের নমুনা দিচ্ছি— (১) পদ্মের আসন পদ্মের চাটন* পদ্মের সিংহাসন, পদ্মের পাতায় জন্ম নি:লন সত্যনারায়ণ । ও পাম-চুত্য ঘট কেন নড়ে রে দেবী, আসন কেন টলে, ঐ আসতেছেন ম-শীতল৷ এই আসরের পরে । (১) ঝড়ি বৃষ্টি:অন্ধকারে গোপাল গেলন.নদের ঘরে । জোড়-বৃত্য সেই ঘরের মধ্যে সমস্ত রাত্রি জাগরণ করেন। জাগরণের সময় সমষ্টি-গীত হয়ে থাকে। প্রথমে হয় বন্দনা গান— প্রথমে বন্দিলাম আমি গুরুর চরণ —জামার মামেক ও ধন, আমার আসরে কর রে আগমন । তারপরে বন্দিলাম আমি প্রচরির চরণ– ইত্যাদি। কুড়ে-মোড়া আপন যদি মা ধন হ’ত ক্ষিধের বেলায় ননী দিত । কৃষ্ণধন আমার কোলে জায়, আর রে গোপাল করি কোলে— তাপিত প্রাণ শীতল করি ।